প্রথম ম্যাচেই কি এত বড় চ্যালেঞ্জ চেয়েছিলেন তিতে?
আর মাত্র একটি দিন। আগামীকাল (বাংলাদেশ সময় আগামীকাল দিবাগত রাত তিনটায়) ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ দিয়ে ‘তিতে-যুগ’ শুরু হচ্ছে ব্রাজিল ফুটবলে। কিন্তু শুরুতেই একটা বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে ব্রাজিলের নতুন কোচকে। একে তো ম্যাচটা ইকুয়েডরের রাজধানী কিটোতে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২ হাজার ৮৫০ মিটার উচ্চতায় অনভ্যস্ত নাকে নিশ্বাস নেওয়াই দায় হয়ে পড়বে। তারওপর ইতিহাসেরও তো একটা দায় মেটানোর চ্যালেঞ্জ তিতের সামনে—প্রায় ৩৩ বছর হয়ে গেল, কিটোতে এখনো জয়ের মুখ দেখেনি ব্রাজিল।
এই ম্যাচে এমনিতেই জয়টা খুব বেশি করে দরকার ব্রাজিলের। ১০ দলের কনমেবল (দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল অঞ্চল) বাছাইপর্বে ৬ ম্যাচ শেষে ব্রাজিল আছে ৬ নম্বরে। চার দল সরাসরি সুযোগ পাবে রাশিয়া বিশ্বকাপে, এক দল খেলবে প্লে-অফ। ‘ট্র্যাকে’ ফিরতে এই ম্যাচে জয়টাই নিশ্চয়ই বেশি করে চাইবেন নেইমাররা।
কিন্তু ওই যে, চোখ রাঙিয়ে দাঁড়িয়ে ইতিহাস। ৩৩ বছরে কোনো জয় না পাওয়ার বাধাটা তো মানসিকও। অবশ্য পরিসংখ্যানে একটা শুভংকরের ফাঁকিও আছে, এই ৩৩ বছরে ইকুয়েডরে গিয়ে ব্রাজিল ম্যাচই তো খেলেছে মাত্র চারটি! তবুও প্রশ্ন থেকে যায়, এই শতাব্দীর শুরুর দিকে অগাস্টিন দেলগাদো-অ্যালেক্স আগিনাগাদের আগে ইকুয়েডর তো বিশ্ব ফুটবলে খুব একটা বড় শক্তি ছিলও না। ব্রাজিলের সর্বশেষ জয়টাও সে সময়, ১৯৮৩ সালে।
প্রথম ১৯৮১ সালেই কিটোতে খেলতে গিয়েছিল ব্রাজিল। ১৯৮২ বিশ্বকাপে সেই ‘সর্বকালের সেরা দলে’র জিকো, সক্রেটিসরা ছিলেন সেবার। প্রথম ভ্রমণে ৬-০ গোলের জয় নিয়েও ফিরলেন জিকোরা। দ্বিতীয় সফরেও জয়, ১৯৮৩ সালে। এবার ১-০ গোলে। অবশ্য তত দিনে ’৮২-র নায়কদের অনেকেই দলছুট।
কিন্তু এরপর থেকেই কিটো যেন চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়াল ব্রাজিলের জন্য। ১৯৯৩ সালে, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি শেষ হয়েছিল গোলশূন্য ড্রতে। এই শতাব্দীর শুরুর দিকের পরপর দুবার, ২০০১ ও ২০০৪ সালে, ফিরতে হয়েছিল হারের লজ্জা নিয়ে। দুবারই ব্যবধানটা ১-০। দুটিই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ। সর্বশেষ ২০০৯ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটিও ছিল গোলশূন্য ড্র।
চারটি ম্যাচে কোনো গোলও করতে পারেনি ব্রাজিল। বোঝাই যাচ্ছে, অত উচ্চতায় খাপ খাইয়ে নিতেই ঝামেলা হচ্ছিল সেলেসাওদের। সর্বশেষ কয়েকবার তো ম্যাচ শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে কিটোতে গেছে ব্রাজিল, যাতে ম্যাচের আগে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অত বেশি উচ্চতায় খুব অল্প সময় থাকতে হয় খেলোয়াড়দের। অবশ্য তাতে লাভ আর হলো কই!
দেখা যাক, এবার ৩৩ বছরের আক্ষেপ ঘোচাতে পারেন কি না নেইমাররা। ঐতিহাসিক একটা আক্ষেপ তো কিছুদিন আগেই ঘুচিয়েছে। মাত্রই অলিম্পিক সোনা জিতে ঘুচিয়ে দিয়েছে ব্রাজিলের ফুটবলের অনন্ত একটি আক্ষেপ। সেটির প্রেরণা নিয়ে এবার ‘ইকুয়েডর’ আক্ষেপও ঘোচাতে পারবেন নেইমাররা?
এই ম্যাচে এমনিতেই জয়টা খুব বেশি করে দরকার ব্রাজিলের। ১০ দলের কনমেবল (দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল অঞ্চল) বাছাইপর্বে ৬ ম্যাচ শেষে ব্রাজিল আছে ৬ নম্বরে। চার দল সরাসরি সুযোগ পাবে রাশিয়া বিশ্বকাপে, এক দল খেলবে প্লে-অফ। ‘ট্র্যাকে’ ফিরতে এই ম্যাচে জয়টাই নিশ্চয়ই বেশি করে চাইবেন নেইমাররা।
কিন্তু ওই যে, চোখ রাঙিয়ে দাঁড়িয়ে ইতিহাস। ৩৩ বছরে কোনো জয় না পাওয়ার বাধাটা তো মানসিকও। অবশ্য পরিসংখ্যানে একটা শুভংকরের ফাঁকিও আছে, এই ৩৩ বছরে ইকুয়েডরে গিয়ে ব্রাজিল ম্যাচই তো খেলেছে মাত্র চারটি! তবুও প্রশ্ন থেকে যায়, এই শতাব্দীর শুরুর দিকে অগাস্টিন দেলগাদো-অ্যালেক্স আগিনাগাদের আগে ইকুয়েডর তো বিশ্ব ফুটবলে খুব একটা বড় শক্তি ছিলও না। ব্রাজিলের সর্বশেষ জয়টাও সে সময়, ১৯৮৩ সালে।
প্রথম ১৯৮১ সালেই কিটোতে খেলতে গিয়েছিল ব্রাজিল। ১৯৮২ বিশ্বকাপে সেই ‘সর্বকালের সেরা দলে’র জিকো, সক্রেটিসরা ছিলেন সেবার। প্রথম ভ্রমণে ৬-০ গোলের জয় নিয়েও ফিরলেন জিকোরা। দ্বিতীয় সফরেও জয়, ১৯৮৩ সালে। এবার ১-০ গোলে। অবশ্য তত দিনে ’৮২-র নায়কদের অনেকেই দলছুট।
কিন্তু এরপর থেকেই কিটো যেন চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়াল ব্রাজিলের জন্য। ১৯৯৩ সালে, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি শেষ হয়েছিল গোলশূন্য ড্রতে। এই শতাব্দীর শুরুর দিকের পরপর দুবার, ২০০১ ও ২০০৪ সালে, ফিরতে হয়েছিল হারের লজ্জা নিয়ে। দুবারই ব্যবধানটা ১-০। দুটিই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ। সর্বশেষ ২০০৯ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটিও ছিল গোলশূন্য ড্র।
চারটি ম্যাচে কোনো গোলও করতে পারেনি ব্রাজিল। বোঝাই যাচ্ছে, অত উচ্চতায় খাপ খাইয়ে নিতেই ঝামেলা হচ্ছিল সেলেসাওদের। সর্বশেষ কয়েকবার তো ম্যাচ শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে কিটোতে গেছে ব্রাজিল, যাতে ম্যাচের আগে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অত বেশি উচ্চতায় খুব অল্প সময় থাকতে হয় খেলোয়াড়দের। অবশ্য তাতে লাভ আর হলো কই!
দেখা যাক, এবার ৩৩ বছরের আক্ষেপ ঘোচাতে পারেন কি না নেইমাররা। ঐতিহাসিক একটা আক্ষেপ তো কিছুদিন আগেই ঘুচিয়েছে। মাত্রই অলিম্পিক সোনা জিতে ঘুচিয়ে দিয়েছে ব্রাজিলের ফুটবলের অনন্ত একটি আক্ষেপ। সেটির প্রেরণা নিয়ে এবার ‘ইকুয়েডর’ আক্ষেপও ঘোচাতে পারবেন নেইমাররা?
No comments:
Post a Comment