সিঙ্গাপুরে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ৪১ জন রোগীর সন্ধান পেয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। রোগীদের বেশিরভাগই বিদেশি নির্মাণ শ্রমিক। রবিবার একথা জানায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, আক্রান্তদের মধ্যে সাতজন সম্পূর্ণ সুস্থ। তবে তারা এখনো হাসপাতালে রয়েছেন।
গত মে মাসে সিঙ্গাপুরে যে জিকা আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছিল তিনি আক্রান্ত হওয়ার আগে ব্রাজিল ভ্রমণ করে এসেছিলেন। তবে নতুন করে আক্রান্তরা সিঙ্গাপুরের ভেতরেই মশার কামড়ে জিকা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নতুন আক্রান্তরা শনাক্ত হওয়ার পর আক্রান্ত নির্মাণ শ্রমিকরা যেখানে কাজ করছিলেন সে কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। তাদের থাকার জায়গা সন্তোষজনক ছিল না এবং তা মশা জন্মানোর উপযোগী।
উল্লেখ্য, এডিস প্রজাতির মশা থেকে জিকা ভাইরাস মানুষের দেহে ছড়িয়ে থাকে। জ্বর, জয়েন্ট পেইনসহ ছোটখাটো কিছু শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয় এ ভাইরাসের কারণে। আবার তা এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে সেরেও যায়। তবে বিপত্তি তৈরি হয় গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে। গত বছর ব্রাজিলে মাইক্রোসেফালি বা অস্বাভাবিক আকৃতির মাথা নিয়ে শত শত শিশুর জন্ম হয়। মশাবাহিত ভাইরাস জিকাকে এ ধরণের শিশু জন্মানোর কারণ বলে সে সময়ই সন্দেহ করা হচ্ছিল। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা নানা গবেষণা শুরু করেন। গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,জিকা ভাইরাস থেকে যে মাইক্রোসেফালি হতে পারে সে ব্যাপারে তারা নিশ্চিত। এর আগে যৌন মিলনের মাধ্যমে জিকা ভাইরাস ছড়ানোর কথাও নিশ্চিত করেছিলেন তারা। এএফপি
No comments:
Post a Comment