Social Icons

Wednesday, August 31, 2016

ছেলেকে পাওয়ার পরই প্রাণভিক্ষার বিষয়ে জানাবেন মীর কাসেম

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে দেখা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২-এর কারাধ্যক্ষ নাশির আহমেদ সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মীর কাসেম আলী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ বন্দি রয়েছেন।

কারাধ্যক্ষ নাশির আহমেদ জানান, বুধবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে মীর কাসেম আলীর পরিবারের ৯ সদস্য কারা ফটকে পৌঁছানোর পর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তারা ভেতর প্রবেশ করেন।

প্রায় দুই ঘণ্টা পর বিকাল পৌনে ৪টার দিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন।

তিনি জানান, ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেমকে ফিরে পাওয়ার পর তার সঙ্গে কথা বলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন তার স্বামী।

কারা ফটকে কাসেমপত্মী বলেন, তাদের  ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে কিছুদিন আগে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার স্বামী মীর কাসেম আলী তাকে বলেছেন- ছেলে ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। ছেলে ফিরে এলে তার সঙ্গে কথা বলেই প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি-না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত  নেবেন।

ছেলেকে কাছে পাওয়াই এখন তাদের একমাত্র লক্ষ্য বলে জানান মীর কাসেমের স্ত্রী। এরপর আর কোন কথা না বলে অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে চলে যান যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর পরিবারের সদস্যরা

জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া অন্যরা হলেন- তার দুই মেয়ে তাহেরা তাসনীম ও সুমাইয়া রাবেয়া, দুই পুত্রবধূ শাহেদা তাহমিদা আক্তার ও তাহমিনা আক্তার, ভাতিজা মো. হাসান জামান ও তিন শিশু।

এর আগে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে মীর কাসেমের ফাঁসি বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন।

এর পর বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। পরে এই যুদ্ধাপরাধীর দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ হওয়ার রায় বুধবার সকালে তাকে পড়ে শোনানো হয়।

২০১০ সালের ২৯ জুন থেকে মীর কাসেম কাশিমপুর কারাগারে আছেন। মীর কাসেমের রিভিউ খারিজের পর কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার ও আশপাশের এলাকায় সতর্কতা বাড়ানো হয়। কারাগারের নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates