Social Icons

Wednesday, August 31, 2016

বাংলাদেশের যেসব তারকারা আত্নহত্যা করেছেন !

“আত্নহত্যা” শব্দটি আমাদের মধ্যে এক ধরনের অস্হিরতা ও এক রকমের হাহাকার সৃষ্টি করে। আত্নহত্যা যেন হত্যাকান্ডের চেয়েও ভয়াবহ একটা ব্যাপার। পৃথিবীর বেশিরভাগ ধর্মে আত্নহত্যা ক্ষমাহীন অপরাধ। তারপরেও প্রাচীন কিছু ধর্মমতে নিরিবিলি পরিবেশে দেহত্যাগের কথা উল্লেখ আছে।

১. ডলি আনোয়ার

মনে আছে বাংলাদেশের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ডলি আনোয়ারের কথা? তার পিতা একজন চিকিৎসক, মাতা বিখ্যাত নারী নেত্রী ডঃ নীলিমা ইব্রাহিম। চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেন এর সাথে ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ চলচ্চিত্র তৈরির সময় ডলি ইব্রাহিমের পরিচয় হয় এবং পরবর্তীতে তারা বিয়ে করেন। পরিবার, সম্পদ, যশ, খ্যাতির কমতি ছিলনা, তবুও ১৯৯১ সালের জুলাই মাসে ডলি আনোয়ার বিষপান করে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার পর নানা রকম গুজব শোনা যায়। বলা হয়, ডলি আনোয়ারের স্বামী আনোয়ার হোসেন তাকে তালাকনামা প্রেরণ করেন যা সহ্য করতে না পেরে ডলি আনোয়ার বিষপান করেন। এই গুজবের কোন সত্যতা প্রমাণিত হয় নি, ফলে আরও অনেকের মতই ডলি আনোয়ারের এই মৃত্যু রহস্যই থেকে যায়।

২. সালমান শাহ

জনপ্রিয় এই নায়ক নব্বইয়ের দশকের বাংলাদেশে সাড়া জাগানো অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অকালে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুবরণ করেন। অভিযোগ উঠে যে, তাকে হত্যা করা হয়; কিন্তু তার সিলিং ফ্যানে ফাঁসিতে হত্যাকাণ্ডের কোনো আইনী সুরাহা শেষ পর্যন্ত হয়নি। তুমুল জনপ্রিয়তায় থাকা একজন অভিনেতা কেনো এভাবে হুট করে আত্মহত্যা করলেন সে প্রশ্নের এখনো কোনো সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি।

৩. মিতা নূর

মিষ্টি মেয়ে মিতা নূরের কথা নিশ্চই মনে আছে সবার। এক সকালে খবর পাওয়া গেলো এই অভিনেত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে নিজ ফ্ল্যাটেই আত্মহত্যা করেন। পারিবারিক কলহের কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেন বলে খবর রটে সে সময়। তবে অনেকেই ধারণা করেন, ক্যারিয়ারের প্রতি হতাশ হয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
৪. সুমাইয়া আজগর রাহা
প্রেমিক চলচ্চিত্র নায়ক অনন্ত জলিল, বয়ফ্রেন্ড শাকিব ও নিজ পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে লাক্স তারকা সুমাইয়া আজগর রাহা আত্মহত্যা করেছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল মিডিয়াপাড়ায়। ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া নায়ক অনন্তর ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন রাহা। তখন থেকেই অনন্তর সঙ্গে রাহার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই ছবিরই নায়িকা বর্ষাকে ২০১১ সালে বিয়ে করেন অনন্ত। এতে রাহার সঙ্গে সম্পর্কের কিছুটা ভাটা পড়ে। পাশাপাশি মিডিয়ারই এক ছেলের সঙ্গেও রাহা প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। স্বামীর প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি বর্ষা জানার পর তাদের দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। রাহার ঘনিষ্ঠজনরা বলেছেন, রাহার পরিবার ধর্মভীরু। তার বাবা-মা ধর্মীয় অনুশাসন কঠোরভাবে মেনে চলেছেন। কিন্তু রাহা ছিলেন ঠিক এর উল্টো। তার উগ্র চলাফেরা ও কর্মকাণ্ডে কখনোই সায় দেননি তারা। বরং এ বিষয়ে মেয়েকে অনেকবারই সাবধান হতে বলেন। মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের তিক্ততা ছিল চূড়ান্ত। কিন্তু কোনো কিছুই রাহাকে দমাতে পারেনি। নিজ ফ্ল্যাটে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন রাহা। কিন্তু এখনো এই আত্মহত্যার কেনো কারণ পাওয়া যায়নি।

৫. নায়লা

মূলত অভিনেত্রীই হতে চেয়েছিলেন নায়লা। সেই লক্ষ্য নিয়েই মিডিয়ায় তার পথচলা শুরু হয়েছিল। কিন্তু নায়লা তখনো জানেনি এই রঙিন দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া খুব একটা সহজ না। শিল্প আর শিল্পীর মূল্যায়ন খুব কমই হয় এখানে। তারপরেও চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন নবাগতা নায়লা। লোকনাট্য দল বনানীর একজন সদস্য ছিলেন তিনি। মঞ্চে কাজ করে নিজের অভিনয়ের দক্ষতাও বাড়াতে থাকেন। ‘ললিতা’, ‘পা রেখেছি যৌবনে’, ‘অ-এর গল্প’ ও ‘মুম্বাসা’সহ বেশ কিছু টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই হতাশায় পেয়ে বসে তাকে। সম্প্রতি তার মা মারা যাবার পর তিনি আরো বেশি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন এবং তিনি তার ফেসবুকে হতাশামূলক স্ট্যাটাস দিতেন বলে জানান তার সহকর্মীরা। কি কারণে তার এই হতাশা, সে প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই এ বছরের ২০ মার্চ তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। শ্যামলীর বাসা থেকে নায়লার সিলিং ফেনে ঝুলানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবারে তাকে দাফন করা হয় মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।

৬. মঈনুল হক অলি

বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী, থিয়েটার-কর্মী, মডেল ও অভিনেতা মঈনুল হক অলি তার বাসায় আত্মহত্যা করেছিলেন। ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর পারিবারিকভাবে অলি বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তার দাম্পত্য জীবন ভালো যাচ্ছিলো না বলে অলির ঘনিষ্ঠজনরা জানান। আর নিজের ক্যারিয়ার নিয়েও হতাশ ভুগছিলেন এ অভিনেতা। এসব কারণেই অলি আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করেন অনেকেই।

৭. পিয়াস রেজা

পিয়াস রেজার রাজধানীর ভাষানটেকে ঈদের দিন ফ্যানের সঙ্গে প্রেমিকার ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। তার পুরো নাম নাঈম ইবনে রেজা ওরফে পিয়াস (২১)। জানা গেছে, গত রোজার ঈদের দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করেন পিয়াস। ‘একমুঠো সুখ’ ‘অবশেষে’ ‘সাদাকালো মন’- এর মতো বেশকিছু জনপ্রিয় গান রয়েছে তরুণ এই কণ্ঠশিল্পীর। আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে পড়ার সময় সহপাঠীর সঙ্গে পিয়াসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ভালোই চলছিল। হঠাৎ করে কয়েক দিন আগে ওই মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি ঘটে। ওই মেয়ের একটি ওড়না পিয়াসের কাছে ছিল। সেই ওড়না দিয়েই পিয়াস আত্মহত্যা করেছেন।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates