উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোর দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে রাজাধানী শহর মেক্সিকো সিটিও। ছয় মাসের ব্যবধানে এটি দেশটিতে তৃতীয় বড় ভূমিকম্প।
ইউএসজিএস এর তথ্যমতে, ৭.২ মাত্রার এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ওজাকা রাজ্যের পিনোটেপা ডি ডন লুইস। যার গভীরতা ছিল ২৪.৬ কিলোমিটার।
তবে প্রাথমিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। জারি করা হয়নি সুনামি সতর্কতা। সর্বশেষ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের দুই ভূমিকম্পে মেক্সিকোর দুই শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়।
মেক্সিকোর মায়া অঞ্চলের ধর্মান্তরিত স্পন্দনশীল মুসলিমদের জীবনকথা
মূলত রোমান ক্যাথলিক দেশ মেক্সিকোর আদিবাসী মায়া অঞ্চলে একটি স্পন্দনশীল মুসলিম সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে।
মূলত রোমান ক্যাথলিক দেশ মেক্সিকোর আদিবাসী মায়া অঞ্চলে একটি স্পন্দনশীল মুসলিম সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য চিয়াপাসের শ্যামল পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ক্ষুদ্র এই মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে কথা ও ছবি তুলেছেন রয়টার্সের একজন সাংবাদিক।
এলাকাটিতে কয়েকশ’ মানুষ বাস করছে। তাদের বেশিরভাগই মায়া আদিবাসী ‘টজোটিজিল’ সম্প্রদায়ের নারী ও পুরুষ। তাদের মধ্য অনেকে খ্রিস্টান ধর্ম থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছে।
এখানকার মুসলিম পুরুষরা অন্যান্য মুসলিমদের মতোই মাথায় টুপি পরেন এবং নারীরা তাদের মাথায় হিজাব পরিধান; যা দেখে তাদের সহজেই আলাদা করা যায়।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৮০’র দশকে এখানে ইসলামে ধর্মান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়। একই সময়ে চিয়াপাসে মেক্সিকোর ‘জাপাটিসতা’ আন্দোলন ব্যাপক বিস্তার লাভ করে। এ সময় খ্রিস্টানিটি ও পুঁজিবাদসহ প্রতিষ্ঠানসমূহ ক্রমবর্ধমানভাবে সমালোচনার সম্মুখীন হয়।
গত আদমশুমারি অনুযায়ী, মেক্সিকোর ৮৩ শতাংশ ক্যাথলিক। যদিও মুসলমানদের সংখ্যা মেক্সিকোর ১২০ মিলিয়ন জনসংখ্যার ১ শতাংশেরও কম। জনসংখ্যার এই অপ্রতিসম অনুপাত চিয়াপাসের উচ্চভূমির শহর ‘সিয়া ক্রিশবাল ডে লাস ক্যাসাসের’ মায়া এবং স্প্যানিশ পরিচয়কে একত্রিত করেছে।
আহমদিয়া সম্প্রদায়ের একজন সদস্য মোস্তফা বলেন, ‘আমরা যখন ধর্মান্তরিত হই, তখন মানুষজন আমাদের দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে থাকাত। তারা মনে করেছিল আমরা সন্ত্রাসী এবং এ কারণে তারা আমাদের ভয় পেত।’
তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু সময়ের বিবর্তন এবং আমাদের নিজের কর্মকাণ্ড এই দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তিত করেছে।’
ওমর নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের ধর্ম একটি একেশ্বরবাদী ধর্ম। আমরা সাধকদের ভক্তি (পূজা) করি না।’
ওমর ছিলেন একজন আদিবাসী সাবেক খ্রিস্ট ধর্মযাজক। তিনি ১৯৯০’র দশকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হন। বর্তমানে তিনি স্থানীয় খ্রিস্টান ও মুসলমানদের মধ্যে একটি সেতু হিসেবে কাজ করছেন।
মোহাম্মদ আমিন (৫৫) নামে আরেকজন বাসিন্দা তার ইসলামে ধর্মান্তরের মূল কারণ ব্যাখ্যা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সব সময়ই নিজেকে পরিষ্কার রাখতে চেয়েছি এবং ইসলাম হচ্ছে একটি পরিষ্কার ধর্ম এবং এটাই মূলত আমাকে ধর্ম পরিবর্তনে সহায়তা করেছে।’
No comments:
Post a Comment