যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহযোগীদের একজন ও হোয়াইট হাউসের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা হোপ হিকস (২৯) পদত্যাগ করেছেন। তবে তিনি ঠিক কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রেসিডেন্টের পাশে থেকে কাজ করেছেন ২৯ বছর বয়সী সাবেক এ মডেল। হোপ হিকস বলেছেন, হোয়াইট হাউসে তিনি যা করতে পারতেন, তার সবই করে ফেলেছেন। এখন আর তার কিছু করার নেই।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে এই পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
নির্বাচনী প্রচারের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন হোপ হিকস। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাকে হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স বলেছেন, হিকসের পদত্যাগের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তবে তার পদত্যাগের সঙ্গে মঙ্গলবার হাউসের গোয়েন্দা কমিটিকে দেওয়া সাক্ষ্যের কোনো সম্পর্ক নেই।
এর আগে মঙ্গলবার হাউস ইন্টিলেজেন্স কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন হোপ হিকস। খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, সেখানে তিনি কখনো কখনো ট্রাম্পের পক্ষে নির্দোষ মিথ্যা বলার কথা স্বীকার করেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ যোগসাজশের তদন্তে কোন অসত্য বলার কথা প্রত্যাখ্যান করেছেন হিকস।
রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্প শিবিরের সম্পর্ক বিষয়ে এই তদন্তে হোপ হিকস একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হতে যাচ্ছেন বলে মনে করা হয়।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতা থাকার বিষয়ে তদন্ত করছে হোয়াইট হাউসের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। তদন্তের অংশ হিসেবে হোপ হিকসকে টানা নয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর ঠিক একদিন পরই হোয়াইট হাউস ছাড়ার ঘোষণা দেন হোপ হিকস।
এর আগে গত গ্রীষ্মে ট্রাম্পর প্রথম প্রধান কর্মচারী রেইন্স প্রিবাস এবং তার প্রধান কৌশলবিদ স্টিভ বননকে বহিষ্কার করা হয়। তবে ট্রাম্পের সাবেক প্রেস সচিব সেন স্পাইসার নিজেই পদত্যাগ করেন।
No comments:
Post a Comment