ভালোবাসা দুটি মনের এক হওয়ার আনুষ্ঠানিক বহি:প্রকাশ। দুটি হৃদয় এক সুতোয় বাধা পড়ার স্বীকৃতি। দীর্ঘদিন একসঙ্গে পথচলার পরও কোনো কোনো সময় এই প্রেম বিচ্ছেদে রুপ নেয়। ভালোবাসা স্থায়ীত্ব হবে কি হবে না সেটি পরিমাপের সর্বজন স্বীকৃত কোনো মানদন্ড নেই। তবে কিছু অনসর্গ থেকে বুঝা যায় আপনার ভালোবাসা স্থায়ীত্ব পাবে কি পাবে না?
কোন প্রেম পরিণতির দিকে যায়, শান্তি দেয়— এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজেন বেশ কিছু মনোবিদই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ সুজান ডেগেস-হোয়াইট এ বিষয়ে কিছু যুক্তিগ্রাহ্য সিদ্ধান্তে এসেছেন। তার মতে, বেশ কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যায়, প্রেম স্থায়ী হবে কি না। নীচে রইল ৫টি লক্ষণের কথা।
- আপনি নিজেকে আপনার সঙ্গীর থেকে আলাদা করে ভাবেন না। বিয়ে না করেও নিজেদের সব সময়ে ‘কাপল’ হিসেবেই ভাবেন। কিন্তু আপনি যদি দেখেন, আপনার পার্টনার তাঁর কিছু এক্সক্লুসিভ বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন, আপনি ঈর্ষান্বিত বোধ করেন। এমন ক্ষেত্রে সম্পর্ক স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম।
- আপনার সঙ্গী নতুন কিছু আপনার সঙ্গে শেয়ার করলেন। কোন নতুন অ্যাডভেঞ্চারের প্ল্যান অথবা নতুন কোনো উদ্যোগের কথা। আপনি কতটা তার অংশভাক হতে পারবেন? কতটা সেই পরিকল্পনাকে নিজের বলে ভাবতে পারবেন?
- আপনার সঙ্গীর চাকরিতে পদোন্নতি, তাঁর কোনো সৃজনশীল প্রতিভার স্বীকৃতি আপনি কতটা খুশি মনে নিতে পারেন? আপনার পার্টনারের সাফল্য আপনাকে কোনো বিপন্নতার সামনে ফেলে দেয় না তো?
- আপনার সঙ্গীকে কতটা সময় দেন আপনি সেটা বড় কথা নয়, কতটা সময় তিনি একা কাটানোর জন্য পান, সেখানেই নির্ভর করে সম্পর্কের স্থায়িত্ব। পরস্পরের ব্যক্তিগত স্পেসের স্বীকৃতি কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- মনে রাখবেন, প্রেম মানে কিন্তু পরস্পরের সঙ্গে লেপটে থাকা নয়। পরস্পরের প্রতি নজরদারি করে সময় নষ্ট করবেন না। বিশ্বাস রাখুন সম্পর্কের উপরে। বার বার ফোন করে সঙ্গীকে অহেতুক বিরক্ত করা, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অ্যাকাউন্ট স্টক করা, তাঁর মোবাইলের মেসেজ বক্স লুকিয়ে চেক করা ইত্যাদির মানে কিন্তু সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে।
সূত্র : এবেলা।
No comments:
Post a Comment