গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পেয়ারা খেলে এবং পেয়ারার বানানো ফেসপ্যাক মুখে লাগালে ত্বকের সৌন্দর্য বেড়ে যাবে। কেননা ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও অনেক উপকারি উপাদান রয়েছে। এই উপাদান ত্বকের গভীরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানগুলোকে বের করে দেয়। এতে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে।
পেয়ারা ত্বকের জন্য আর যেসব উপকার করে থাকে তা জেনে নেই-
১) ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি : খাবারের তালিকায় নিয়মিত পেয়ারা রাখুন এতে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং প্রাণবন্ত হবে। এছাড়া পেয়ার তৈরি ফেসপ্যাক লাগিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করলে সার্বিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। পেয়ারা ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ছাড়াও স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে।
২) অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবে ক্ষতি হবে কম : পেয়ারায় রয়েছে লাইকোপেন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে ত্বককে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে সূর্যালোকের কারণে ত্বকের সৌন্দর্য যাতে না কমে, সেদিকেও খেয়াল রাখে পেয়ারা।
৩) ত্বকের বয়স কমাবে : বিভিন্ন করণে বয়স হতে না হতেই দেখা যায় ত্বক ভাঁজ পড়েছে, সেই সঙ্গে প্রকাশ পাচ্ছে বলিরেখা। সেক্ষেত্রে ত্বকের পরিচর্যায় পেয়ারা খেতে শুরু করুন। এছাড়া ফেস বানিয়ে কাজে লাগাতে শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। আসলে এই ফলটিতে উপস্থিত ভিটামিন এ, বি, সি এবং পটাশিয়াম ত্বকে জমতে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের বয়স তো কমেই, সেই সঙ্গে বলিরেখাও মিলিয়ে যেতে শুরু করে। এই কারণে চিকিৎসকরা নিয়মিত পেয়ারা খাওয়ার পরামর্শ দেন।
৫) ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে : ত্বক যত আদ্র থাকবে, তত তার সৌন্দর্য বাড়বে। তাই কখনও যাতে ত্বকের আদ্রতা না কমে, সেদিকে খেয়াল রাখাটা জরুরি। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে পেয়ারা।
৬) ত্বকের পানিশূন্যতা দূর করে : পেয়ারায় ৮১ শতাংশ পানিতে পরিপূর্ণ। তাই তো নিয়মিত একটা করে পেয়ারা খেলে ত্বকের পানির ঘাটতি দূর হয়ে যাবে। এমনকি আদ্রতা কমাতে সাহায্য করবে।
৭) হেয়ার ফল কমায় : অতিরিক্তি চুল পড়ে যাওয়ার কারণে অনেকেই চিন্তিত থাকে, তারা যদি পরিমিত পেয়ারা খায় তবে অনেকটা উপকার পাওয়া যাবে। পেয়ারায় ভিটামিন ‘সি’-তে পরিপূর্ণ থাকার কারণে চুলের পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে চুলের গোড়া শক্ত হয়ে ওঠে। ফলে মাত্রাতিরিক্তি চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা দূর হয়ে যায়।
তথ্যসূত্র : বোল্ডস্কাই।
No comments:
Post a Comment