আসলে আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা পরিপূর্ণ নিয়ম কানন ও সঠিক দিক নির্দেশনা না পাওয়ার কারনে প্রবাস জীবনে অনেকে বিষয় থেকেই বঞ্চিত হয়ে থাকেন। আবার আমাদের বাঙ্গালীদের মধ্যে একটি বিষয় রয়েছে যে অনেকে কোন একটা বিষয় জেনে থাকলেও আপনাকে কখনোই জানাবে না!
যাইহোক কাজের কথায় আসি। আমরা যারা ইতালিতে বৈধ ভাবে কাগজ নিয়ে আছি তারা চাইলে তাদের স্বামী/স্ত্রী কে খুব সহজেই ট্যুরিস্ট ভিসায় ভ্রমণ করার জন্য আবেদন করে নিয়ে আসতে পারেন। আর এর জন্য আপনাকে বছরের পর বছর ফ্যামিলি ভিসার মত অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে না, এবং এর জন্য তেমন মহামারী কাগজ পত্রের ও প্রয়োজন হয় না। খুব সহজেই আপনি আপনার জীবনসঙ্গী কে আপনার কাছে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইতালিতে ঘুরতে নিয়ে আসতে পারেন। আর এর জন্য যা যা প্রয়োজন হয়!! সেই সকল কাগজ পত্র আপনি চাইলেই খুব সহজে সংগ্রহ করতে পাড়বেন। তাহলে আসুন জেনে নেই বিস্তারিত।
প্রথমেই আপনাকে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, আপনি ইতালি আপনার স্বামী অথবা স্ত্রী কে দুই ভাবে নিয়ে আসতে পারেন। ১- স্থায়ী ভাবে ফ্যামিলি ভিসার আবেদনের মাধ্যমে আর ২- অস্থায়ী ভাবে বা ট্যুরিস্ট ভিসায়।
আর মজার বিষয় হচ্ছে এই দু’টি ভিসার আবেদন সম্পূর্ণ ভিন্ন, ফ্যামিলি ভিসায় নানা ধরনের কাগজ পত্র চাওয়া হয়ে থাকে যা আমাদের অনেকের পক্ষেই সংগ্রহ করা সম্ভব হয়ে উঠে না তেমনি ফ্যামিলি ভিসার কার্যক্রম সম্পন্ন হতে দীর্ঘ সময় নিয়ে অপেক্ষা করতে হয়। আমাদের জানা মতে আনেককে এই ফ্যামিলি ভিসায় আবেদন করে ১ থেকে ২ বছর এর বেশি সময় ধরেও জমা দিয়ে এখন পর্যন্ত দিন গুনতে হচ্ছে। তদ্রূপ ট্যুরিস্ট ভিসায় খুব সহজেই এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সকল কাগজ পত্র তৈরি করে দূতাবাসে আবেদন করা যায় এবং মাস তিনেক এর মধ্যে ভিসাও পাওয়া যায়। বন্ধুরা তাহলে আসুন জেনে নেই কিভাবে ইতালিতে আপনি আপনার স্ত্রী অথবা স্বামী কে ট্যুরিস্ট ভিসায় নিয়ে আসতে পারেন? এবং আপনাকে এর জন্য কি কি করতে হবে? ও কি কি কাগজ পত্র লাগবে?
এই ভিসায় আবেদনের জন্য ইতালিতে আপনার যা যা লাগবে?
১- আপনার ভ্যালিড বাংলাদেশী এমএরপি তথা ডিজিটাল পাসপোর্ট
২- আপনার স্বামী/স্ত্রীর ভ্যালিড বাংলাদেশী এমএরপি তথা ডিজিটাল পাসপোর্ট
৩- ভ্যালিড পেরমেসসো দি সৌজর্ন্য অথবা কার্টা দি সৌজর্ন্য
৪- রেসিডেন্স কার্ড তথা কার্টা দি ইদেন্তিতা (থাকলে ভালো না থাকলেও আবেদন করা যায় )।
৫- বাৎসরিক আয়ের কাগজ পত্র তথা কারো অধিনে কাজ করলে কুদ এবং নিজের ব্যবসা করতে উনিকো বা রেদ্দিতো ( ঊল্লেক্ষো যদি আপনার বাৎসরিক আয় না থাকে তাহলে আপনার কোন বন্ধু বা পরিচিতদের সাহায্য নিতে পারেন)।
৬- ব্যাংক গ্যারান্টি এই ক্ষেত্রে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও হয়।
৭- স্বাস্থ্য বীমা করাতে হবে।
৮- রিটার্ন এয়ার টিকেট বুকিং তথা টিকেট বুকিং পিএনআর নাম্বার এর (মূল ও ফটোকপি দিতে হবে)
৯- উক্ত বিষয় গুলো করিয়ে সেই বিষয় গুলো দিয়ে আমন্ত্রণপত্র তৈরি করা।
উক্ত বিষয়গুলো সর্বচ্চ এক সপ্তাহের মধ্যে করিয়ে নেওয়া যায়। এগুলো করা হয়ে গেলে সকল কাগজ পত্র “অরিজিনাল” দেশে পোস্ট অথবা লোক মারফৎ পাঠিয়ে দিতে হবে এবং এই অরিজিনাল কাগজ পত্র সহ আপনার সহধর্মিণী ইতালিয়ান দুতাবসে গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করবে। তবে সেই ক্ষেত্রে দেশে তার কি কি লাগবে?
এই ভিসায় আবেদনের জন্য দেশে আপনার স্ত্রী অথবা স্বামীর যা যা লাগবে?
১- তাদের ভ্যালিড বাংলাদেশী এমএরপি তথা ডিজিটাল পাসপোর্ট
২ – “সি”(C) টাইপ ভিসা ফরম ( সম্পূর্ণরুপে সম্পন্ন এবং আবেদনকারী কর্তৃক স্বাক্ষরিত )
৩- পাসপোর্ট কমপক্ষে ১৮০ দিন পর্যন্ত বৈধ এবং অন্তত উভয় দিকে ফাঁকা ১টি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে সাথে ( সকল ভিসা পেজ এর কপি- যদি এর আগে অন্য কোন দেশের ভিসায় ভ্রমন করে থাকে )।
৪- সম্প্রতিক সময়ে তোলা পাসপোর্ট সাইজ ও ধরনের দুই কপি রঙ্গিল ছবি। ( ৬ মাসের মধ্যে তোলা ছবি হতে হবে এবং ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হতে হবে )
৫- নিকাহ নামা তথা বিয়ের সার্টিফিকেট
৬- ইতালি দূতাবাস প্রয়োজনে আরও ডকুমেন্টশনের জন্য আনুরোধ করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
৭- ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কমপক্ষে ৩০ ক্যালেন্ডার দিন প্রয়োজন হতে পারে। তবে বর্তমানে এর চাইতেও বেশি সময় নিয়ে থাকে দূতাবাস।
বন্ধুরা আশা করি আপনাদের বুঝাতে পেড়েছি, যে কত সহজেই আপনারা আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে খুব স্বল্প সময়ের মদ্ধেই ইতালিতে ট্যুরিস্ট ভিসায় নিয়ে আসতে পাড়ছেন। আর উক্ত বিষয়ে সকল ধরনের কাগজ পত্র সহ সকল বিষয় আপনারা আমিওপারি টিম এর মাধ্যমে ইতালির যেকোনো প্রান্ত থেকেই করিয়ে নিতে পাড়বেন।
তবে হ্যাঁ আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ট্যুরিস্ট ভিসায় আসার পর অবশ্যই আপনার সঙ্গীকে উক্ত সময়ের মধ্যে দেশে ফেরত যেতে হবে, যদি না যায় তাহলে পরে স্থায়ী ভিসা তথা ফ্যামিলি ভিসায় আবেদন করলে দূতাবাস ভিসা দিতে সমস্যা করবে।
*****লেখাটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ!*****