শীতকালে টোমেটো খেতে কে না ভালবাসে। সারা বছর টোমেটোর সুস্বাদু সালাড, বা স্যান্ডউইচে টোমেটোও বেশ উপাদেয়। তবে শুধু খেতে ভাল তা নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী টমেটো। এমনকী, রূপচর্চার জন্য টমেটোর তুলনা নেই। জেনে টমেটোর কিছু গুণ।
চোখঃ টোমেটোর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ। তাই টোমেটো চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে টোমেটো। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে টমেটো। ছানি পড়ার রুখতেও টমেটো কার্যকর।
ডায়াবেটিসঃ টোমেটোর মধ্য প্রচুর পরিমাণে ক্রোমিয়াম রয়েছে। এই ক্রোমিয়াম রক্তে শর্করার মাত্রা আয়ত্তে রাখে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। পড়–ন ডায়াবেটিস থেকে ক্যানসার, খেয়াল রাখবে পেয়ারা
হার্টঃ টোমেটোর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে প্রতি দিনের ডায়েটে টোমেটো থাকলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।
কিডনিঃ ডায়েটে টোমেটোর বীজ থাকলে কিডনি স্টোন হওয়ার ঝুঁকি কমে।
ত্বকঃ টোমেটোর মধ্যে থাকে লাইকোপেন। তাই টোমেটো খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। টোমেটো টুকরো টুকরো করে কেটে মুখের উপর ১০ মিনিট রাখন। জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক ঝকঝকে লাগবে। টোমেটোর ফেস প্যাকও ত্বকের জন্য ভাল।
চুলঃ টোমেটোর ভিটামিন এ চোখের পাশাপাশি চুল, নখ ও দাঁতও ভাল রাখে।
হাড়ঃ হাড় সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন কে। এই দুটোই টোমেটোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। ফলে টোমেটো খেলে হাড় সুস্থা থাকে।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টঃ ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন শরীরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মাত্রা বাড়ায়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
ধুমপানঃ ধুমপানের জন্য শরীরের যে ক্ষতি হয় টোমেটোর মধ্যে থাকা কোমেরিক ও ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড সেই ক্ষতি পূরণ করতে পারে।
ক্যানসারঃ টোমেটোর লাইকোপেন খুব ভাল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই লাইকোপেন ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রুখতে পারে। তাই রোজ টোমেটোর স্যুপ খেলে প্রস্টেট, কোলোরেকটাল ও পেটের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
No comments:
Post a Comment