Social Icons

Wednesday, February 8, 2017

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা মুসলিম বিরোধী কিনা আদালতের প্রশ্ন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন তাতে মুসলমানরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে কি না, সে প্রশ্ন তুলেছে দেশটির একটি আপিল আদালত। ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশে সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের শরণার্থী ও পরিদর্শকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। তবে গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনের একটি আদালত এ নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে স্থগিত করে।
 
ফেডারেল কোর্টের ওই আদেশ বাতিল চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার গত শনিবার নাইন্থ সার্কিট আপিল কোর্টে আবেদন করে। তবে কোর্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ পুনর্বহালের দাবি নাকচ করে দেয়। আদালতের রায়ে তাৎক্ষণিকভাবে বলা হয়, পুরো আপিল শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞা স্থগিতই থাকছে।
 
মঙ্গলবার সানফ্রানসিসকোর আপিল আদালতে ফের এ মামলার শুনানি হয়। আদালতের তিন বিচারকের একজন রিচার্ড ক্লিফটন প্রশ্ন করেন, সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় বিশ্বের ১৫ শতাংশ মুসলিম এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিনা, কারণ ওইসব দেশে বিশ্বের মোট মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ১৫ শতাংশ বাস করে।
 
এএফপি জানায়, মঙ্গলবার উভয়পক্ষ প্রায় এক ঘণ্টা যুক্তিতর্ক করেন। তবে নাইন্থ সার্কিট আপিল কোর্ট যে সিদ্ধান্তই দিক না কেন, এটি শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টেই সুরাহা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অগাস্ট ফ্লেনজে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের পক্ষে যুক্তি দিয়ে শুনানিতে বলে, যুক্তরাষ্ট্রে কে প্রবেশ করতে পারবে আর কে পারবে না- তা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কংগ্রেসই প্রেসিডেন্টকে দিয়েছে।
 
আদালত এক পর্যায়ে জানতে চায়, যে সাত দেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হবে- এমন ধারণার পক্ষে কোনো প্রমাণ আছে কি না।
 
জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে কিছু সোমালিয় নাগরিকের সঙ্গে জঙ্গি দল আল-শাবাবের যোগাযোগ পাওয়া গেছে।
 
ওয়াশিংটন রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করা আইনজীবী নোয়াহ পুরসেল আদালতকে বলেন, প্রেসিডেন্টের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনো ক্ষতি হয়নি।
 
বরং সরকারের ওই নিষেধাজ্ঞার কারণে এ রাজ্যের হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছিলেন, বহু শিক্ষার্থীর ওয়াশিংটনে ফেরা বিলম্বিত হয়েছে এবং অনেককে তাদের প্রবাসী স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দেয়া হয়েছে বলে যুক্তি দেখান ওই আইনজীবী।
 
শুনানির শেষ দিকে ট্রাম্পের এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের দ্বার বন্ধের উদ্যোগ কিনা সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি হলে তা হবে অসাংবিধানিক।
 
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ধর্মের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নিরপেক্ষভাবে নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন ট্রাম্প।
 
তবে আদালতে পুরসেল নির্বাচনী প্রচারণাকালে ট্রাম্পের মুসলিম বিরোধী নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত বক্তব্যের কথা তুলে ধরেন।
 
তিনি ট্রাম্পের উপদেষ্টা রুডি জুলিয়ানির একটি বক্তব্য আদালতের গোচরে আনেন। জুলিয়ানি বলেছিলেন, তাকে মুসলমানদের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার বৈধ একটি পথ খুঁজে বেরতে বলা হয়েছিল। বাসস।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates