নাম বাস্তিয়ান ইয়োত্তা। জার্মানির মিউনিখের অধিবাসী। বয়স তার তখন অল্প-ই। যৌবন শরীরে, তবে তাতে আকর্ষণ ছিলো না বিন্দুমাত্র। মোটা বাস্তিয়ানের দিকে কোনো মেয়ে ফিরেও তাকাতো না। তার কাছে যে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ছিলো, তাও নয়। তাই প্রায় সবার কাছে তিনি প্রায় অচ্ছুৎ-ই ছিলেন।
একটা সময় এমন জীবন নিয়ে বেশ হতাশ ছিলেন বাস্তিয়ান। কিন্তু সময় থেমে থাকে না। কার ভাগ্য যে কখন বদলে যায়, কেউ তা জানে না। বাস্তিয়ানেরও ভাগ্যের চাকাও ঘুরল। এমনভাবে ঘুরলো যে, এখন তিনি কোটিপতি।
তাকে কোটিপতি বললেও কম বলা হবে। কারণ, এখন তিনি টাকার রাজ্যে থাকেন বলা চলে। বিছানায়, বাথটাবে, সর্বত্র তার টাকার ছড়াছড়ি!
এটা কোনো সিনেমার চরিত্র নয়। তবুও বাস্তিয়ান ইয়োত্তার কাহিনি 'স্লামডগ মিলিওনিয়ার'-র মতো ছবির চিত্রনাট্যকেও হার মানায়। এখন তার বয়স ৩৮ বছর। বেওয়াচ টেলিভিশন শো তার বরাবরই প্রিয় ছিল। 'এখন আমি আমার নিজের বেওয়াচ তৈরি করেছি। আমার সঙ্গে যে মেয়েরা আছেন তারা প্যামেলা অ্যান্ডারসনের থেকেও হট' দাবি বাস্তিয়ানের।
ইয়োত্তা এখন একজন উদ্যোক্তা। বেশ কিছু বিউটি ও সফটওয়্যার কোম্পানির মালিক তিনি। বর্তমানে নারীদের ব্যবসা দাঁড় করাতে সাহায্য করেন তিনি। পাশাপাশি, লাইফ-স্টাইল কীভাবে উন্নতি করতে হয়, সেই কোচিংও দেন।
তার ব্যবসা মন্ত্র হল, 'অন্যরা তোমার সম্পর্কে কী ভাবছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তুমি নিজে কী ভাবছ, সেটাই বড় কথা।'
তার স্ত্রী মারিয়ার বয়স ২৭ বছর। ইনস্টাগ্রামে এখন স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীর জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। অনেক সময় তিনি দামি পোশাক পরে পোজ দেন। সেই ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে।
তাদের ব্রেভারি হিলের বাড়িতে ১০টি বেডরুম আছে। বাড়িতে সাজানো গোছানো সুইমিং পুল আছে। প্রায়ই সেখানে পার্টি হয়। স্পোর্টস কারেরও সংগ্রহ আছে তার। মাসে তার খরচ মোটামুটি ১ লাখ ডলার।
সাধারণত মানুষ যখন দামি কিছু শপিং করে, তারও কিছু বাজেট থাকে। যেমন- ৩ হাজার ডলারের পোশাক, ৪ হাজার ডলারের জুতো, ৬ হাজার ডলারের ব্যাগ। কিন্তু এই দম্পতির কাছে ৫০ হাজার ডলার খরচ করা কিছুই বড় বিষয় নয়। একথা তারা নিজেরাই জানিয়েছেন।
তাদের এই লাইফ-স্টাইল এখন মানুষের আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই টেলিভিশনে মুখ দেখানোর অফারও পেয়েছেন তিনি।
No comments:
Post a Comment