গুদামঘরে নিজের ছয় শিশুর দেহাবশেষ সংরক্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন কানাডার উইনিপেগ শহরের এক নারী।
মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্দ্রেয়া গিসব্রেচ(৪২) নামে ঐ নারীর বিরুদ্ধে ছয়টি শিশুর মৃতদেহ লুকানোর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। প্রতিটি অভিযোগের জন্য তাকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে।
মানিতোবা প্রাদেশিক আদালতের বিচারক মুরে থম্পসন এক মাস বিচারকার্যের পর সোমবার দুপুরে এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। ২০১৪ সালের অক্টোবরে শিশুদের মৃতদেহ গুদামঘরে খুঁজে পাওয়া যায়। এ ঘটনা আবিষ্কারের পর পরই গিসব্রেচকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিচারক থম্পসন জানান, আদালতে উপস্থাপিত তথ্য-প্রমাণ দেখে কোনো সন্দেহ নেই যে গিসব্রেচ তার গর্ভধারণের বিষয়টি গোপন করে ছয় শিশুর জন্ম দিয়েছেন। প্রতিটি শিশুর দেহ বেশ খারাপভাবে পচে গিয়েছিল। ফলে শিশুগুলোর মৃত্যুর নির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে জানাতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তারা।
বিচারক থম্পসন আদালতে বলেন, প্রতিটি শিশুর ফরেনসিক প্রতিবেদন দেখে মনে হচ্ছে, তারা জীবিত জন্মগ্রহণ করেছিল।
তার মেডিকেল রেকর্ড অনুযায়ী, ছয় বার গর্ভধারণকালে তিনি কোনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হননি। গুদামঘরে শিশুদের খেলনা, পোশাক এবং কম্বল খুঁজে পাওয়া যায়।
থম্পসন আরও বলেন, অভিযুক্তের গর্ভকালীন কোনো জটিলতা ধরা পড়েনি। গিসব্রেচের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করে এটি বুঝা যাচ্ছে, শিশুগুলো যে জীবিত জন্মগ্রহণ করেছিল এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত ছিলেন। তার ইচ্ছা ছিল শিশু জন্মের ঘটনা গোপন রাখবেন।
গিসব্রেচের কারাদণ্ডের মেয়াদ আদালত ঘোষণা করেনি। এই অপরাধের কারণে তার সর্বোচ্চ ১২ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
No comments:
Post a Comment