ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মিচেল তেমের বলেছেন যুক্তরাট্রের বদলে ব্রাজিলে সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া হবে। ইতি মধ্যে সিরীয় শরণার্থী ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে স্থল পথে ,আর্জেন্টিনা ,উরুগুয়ে ,প্যারাগুয়ে ,ভেনিজুয়েলা ,গায়েনা,হয়ে প্রায় ১ লক্ষ লোক ব্রাজিলে প্রবেশ করেছে। ব্রাজিল সরকার তাদের ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে ব্রাজিলের পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড দিয়েছে। সকল শরণার্থী এখন ব্রাজিলের সব ধরণের সুবিধা পাচ্ছে। গত তিন মাসে নতুন করে আরো অনেক শরণার্থী আবেদন জমা পড়েছে। খুব শীঘ্রই তাদের ব্রাজিলের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে। ব্রাজিলিয়া পুলিশ সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রেসিডেন্ট মিচেল তেমের।
আফ্রো-এশিয়ার দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও যুদ্ধ-বিক্ষত রাষ্ট্রসমূহের অসহায় মানুষগুলো পার্শ্ববর্তী ভ্রাতৃপ্রতিম রাষ্ট্রসমূহে আশ্রয় লাভ করলেও শেষপর্যন্ত সে দেশগুলোর নানা সমস্যার কারণে ইউরোপ , আমেরিকা ,দক্ষিণ আমেরিকা পাড়ি জমাতে বাধ্য হয়েছে। সার্বজনীন মানবাধিকারের মূলনীতিতে ঐ ভাগ্যান্বেষী নিরীহ আদমসন্তানদের সমস্যা সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তারা নানামুখী অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এবং এভাবে ‘ইউরোপ, আমেরিকা ,দক্ষিণ আমেরিকা শরণার্থী সংকট’ বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।
ব্রাজিলের স্থল পথে ইমিগ্রেশন যাতে শরণার্থীদের কোনো রকম বাধা না দেয় সে দিকে নজর রাখছে ব্রাজিল সরকার। শরণার্থীরা ব্রাজিলের শান্তি ও উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে মনে করেন প্রেসিডেন্ট মিচেল তেমের ।
No comments:
Post a Comment