চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অনুরোধে 'ওয়ান চায়না' নীতিকে সমর্থন ও এর প্রতি সম্মান দেখানোর ওয়াদা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফোনে কথা হয় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মধ্যে। ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর এই প্রথম জিনপিং তার সাথে কথা বলেন।
এই ফোনালাপের পর পরই হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়, 'দুই নেতার মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে কথা হয়েছে। শি জিনপিংকে 'ওয়ান চায়না'-এর ব্যাপারে সমর্থন ও সম্মান দেখানোর কথা দিয়েছেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউজ বলেছে, বৃহস্পতিবারের ফোনালাপ ছিল ‘খুবই হৃদ্যতাপূর্ণ।’ ‘যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিনিধিরা পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ইস্যুতে সমঝোতা ও আলোচনায় যুক্ত থাকবেন।’
ফোনালাপে দুই নেতা একে অপরকে নিজ নিজ দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান বলেও ওই বিবৃতিতে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
নভেম্বরের নির্বাচনের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিভিন্ন ইস্যুতে বেইজিং-কে চ্যালেঞ্জ করেন। এর মধ্যে তিনি কয়েক দশকের কূটনৈতিক প্রটৌকল ভেঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের তাইওয়ান পলিসি প্রশ্নবিদ্ধ করলে বেশ বিতর্ক শুরু হয়।
তাইওয়ানের নেতা সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে প্রটৌকল ভেঙ্গে ফোনে কথা বলে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, 'বেইজিং আমাদেরকে বাণিজ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সুবিধা না দিলে 'ওয়ান চায়না' পলিসিকে সম্মান করার কোন কারণ দেখছি না।'
চীন তাইওয়ানকে এখনও নিজের প্রদেশ বলে মনে করে। ১৯৭৯ সালের পর যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই দাবিকে স্বীকৃতি দেয়। তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক একগুচ্ছ প্রটৌকল অনুযায়ী চলছে, যাকে ‘ওয়ান চায়না’ পলিসি বলা হয়।
জানুয়ারিতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সব কিছুই সমঝোতার অধীনে, ওয়ান চায়না পলিসিও।’
No comments:
Post a Comment