আদালতে হাজির না হওয়ায় জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল আজ।
আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নাল আবেদিন জানান, বামদলের হরতালে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে। নিরাপত্তার কারণে তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ কারণে তিনি আদালতে যেতে পারেননি।
তিনি আরও জানান, মামলার পরবর্তী তারিখ ৫, ৬ ও ৭ ডিসেম্বর।
এর আগে ২৩ নভেম্বর অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ষষ্ঠ বারের মতো আত্মপক্ষ সমর্থন করে এক ঘন্টা লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান খালেদা জিয়া। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার পক্ষে করা স্থায়ী জামিনের আবেদন দাখিল করা হলে ফের তা নাকচ করেন আদালত।
গত ১৫ জুলাই খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। তিনি লন্ডনে অবস্থানকালেই গত ১২ অক্টোবর আদালত দুর্নীতির দুই মামলায় তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তিন মাস চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পরদিন গত ১৯ অক্টোবর এই দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়। খালেদা ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান
No comments:
Post a Comment