এমন ছোট ছোট কিছু কথা বা অভ্যাস আছে, যা যেকোনো সম্পর্ককে আস্তে আস্তে ধংসের মুখে নিয়ে যায়। মানুষ অনেক সময় বুঝতে পারে না, তাদের ছোট ছোট মজা করা হয়তো কারও মনে অনেক কষ্ট দিচ্ছে। তাই, আপনি যদি এমন কোন কাজ করে থাকেন, তাহলে আজ থেকেই তা পরিবর্তন করুন। এতে আপনার সম্পর্কআবার আগের মত সুন্দর ও ভালো হয়ে উঠবে।
জেনে নিন সম্পর্কের নষ্ট হওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো-
১. অন্যের দোষ খুঁজে বের করা: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের দোষ খুঁজে বের করার অভ্যাস পুরুষেরা একদমই পছন্দ করেন না। আপনার সঙ্গীর খুঁত ধরা বাদ দিন। মনে রাখবেন, আপনার ইচ্ছামত কাজ করার জন্য উনি বাধ্য নন। তবে আপনি যদি বারবার তার দোষগুলো তার সামনে তুলে ধরতে থাকেন, তাহলে আপানাদের সম্পর্কের অবনতি ছাড়া কোন উন্নতি হবে না।
৩. অর্ধেক কথা শোনা: কারও কথা সম্পূর্ণ না শুনেই হ্যাঁ বলে দেয়াটা খুব সহজ হলেও, এই কাজটি সম্পর্কের জন্য খুবই খারাপ। অর্ধেক কথা শোনা আর বাকি অর্ধেক না শোনা, এমন একটি খারাপ অভ্যাস যা পরবর্তীতে একটি সম্পর্কে অনেক সমস্যা নিয়ে আসতে পারে। আপনাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা অবশ্যই ভালো রাখার চেষ্টা করুন, মন দিয়ে সঙ্গীর সকল কথা শুনুন। এতে সম্পর্ক আরও মধুর হবে।
৪. সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে আলোচনা না করা: সমস্যাকে এড়িয়ে চললে সমস্যা একাই চলে যাবে না। প্রকৃতপক্ষে এতে আরও বেশী সমস্যায় পতিত হতে হবে। আপনাদের সম্পর্কের মাঝে কোন সমস্যা থাকলে তা অবশ্যই কথা বলার মাধ্যমে ঠিক করে নেন। মনে রাখবেন, যে কোন সমস্যা সমাধানের প্রধান শর্তই হল আলোচনা করা।
৫. সঙ্গীর বিশ্বস্ততা পরীক্ষা করা: কখনও আপনার সঙ্গীকে পরীক্ষা করতে যাবেন না। এতে আপনাদের সম্পর্কে অবিশ্বাস ঘর বাঁধবে। তাই, সঙ্গীর উপর অবিশ্বাস করার আগে, নিজে তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করুন।
৬. মিথ্যা কথা বলা: সম্পর্কের সব থেকে খারাপ দিক হল মিথ্যা কথা বলা। ছোট ছোট মিথ্যা কথা পরবর্তীতে সম্পর্ক শেষ হবার কারন হতে পারে। মিথ্যা কথা বলার কারনে আপনাকে অসৎ হিসেবে গণ্য করা হতে পারে। আপনি কত টাকা খরচ করেছেন, কোথায় ঘুরতে গেছিলেন এসব নিয়ে মিথ্যা বলার কিছু নেই। তবে এসব নিয়েও মিথ্যে বললে, সম্পর্ক ধ্বংস হতে পারে।
৭. শুধুমাত্র নিজের খুশির চিন্তা করা: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সবাই সম্পর্ক থেকে কি পাবেন তা নিয়ে চিন্তায় থাকে আর সে নিজে কি দিচ্ছে তা চিন্তা করেন না। আপনি খুশি থাকেন আর না থাকেন, অবশ্যই আপনার সঙ্গীর খুশির উপর ধ্যান দিন। এতে আপনাদের সম্পর্ক মধুর হবে।
No comments:
Post a Comment