Social Icons

Thursday, November 30, 2017

শাজনীন হত্যাকারী শহীদুলের ফাঁসির রায় যেভাবে কার্যকর হয়

পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে পুরো ফাঁসির মঞ্চে লাল ও সবুজ রঙের শামিয়ানা টানিয়ে দেয়া হয়। যাতে বাইরে থেকে ফাঁসির মঞ্চ দেখা না যায়। সামিয়ানার ভেতর বসানো হয় ফ্লাডলাইট।
এর আগে মোম মাখানো দড়িতে বালুর বস্তা ঝুলিয়ে ফাঁসির মহড়াও দেয়া হয়। ফাঁসি কার্যকরের সময় মঞ্চ সংলগ্নস্থানে একটি লম্বা টেবিলে চেয়ার পাতা হয়। তাতে পাশাপাশি বসেন উপস্থিত কয়েকজন কর্মকর্তা।
ফাঁসি কার্যকরের সময় লিভার টেনে ধরেন কারাগারের প্রধান জল্লাদ রাজু। এসময় তার কয়েক সহযোগী সঙ্গে ছিলেন। ২০ মিনিট ঝুলিয়ে রাখার পর ফাঁস কূপ থেকে লাশ তুলে ওই টেবিলে রাখা হয়। লাশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন সিভিল সার্জন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, বিধান অনুযায়ী শহিদুলের দুই পায়ের গোড়ালীর রগ কেটে দেয়া হয়। তার মৃত্যু নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ তৈরি করেন। লাশ গোসল দিয়ে কাপনের কাপড় পরানো হয়। পরে শহিদুলের ভাই মহিদুল ইসলাম কফিনে ভরা লাশ গ্রহণ করলে তা অ্যাম্বুলেন্সযোগে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে গুলশানে নিজ বাড়িতে খুন হন শাজনীন তাসনিম রহমান। শাজনীন তখন স্কলাস্টিকা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। ওই ঘটনায় করা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচার হয় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালত শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে ছয় আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেন।
তারা হলেন শাজনীনের বাড়ির গৃহভৃত্য শহীদ, বাড়ির সংস্কারকাজের দায়িত্ব পালনকারী ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসান ও তাঁর সহকারী বাদল, বাড়ির গৃহপরিচারিকা দুই বোন এস্তেমা খাতুন (মিনু) ও পারভীন এবং কাঠমিস্ত্রি শনিরাম মণ্ডল।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর এই মামলার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য হাইকোর্টে যায়। একই সঙ্গে আসামিরাও আপিল করেন। ২০০৬ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট শনিরামকে খালাস দেন। বাকি পাঁচ আসামির ফাঁসির আদেশ বহাল থাকে।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন চার আসামি হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীন। ফাঁসির আদেশ পাওয়া আসামি শহীদ জেল আপিল করেন। আপিল বিভাগ চার আসামির আপিল মঞ্জুর ও শহীদের জেল আপিল খারিজ করেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) শহীদের করা আবেদনও খারিজ হয়।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates