আধুনিক স্থাপনা নির্মাণে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয় দুবাই। একের পর এক বিস্ময়কর প্রযুক্তি ও প্রকৌশলের প্রয়োগে ভবন বানিয়ে স্থাপত্যকলায় যুগান্তকারী ঘটনা ঘটাতে দুবাইয়ের সামনে আর কেউ নেই, বলাই যায়।
তাই বলে যে এ শহরে সব আধুনিক ভবনই শোভা পায় না নয়। প্রাচীন ঐতিহ্য ও ইতিহাস তুলে ধরে এমন অনেক স্থাপনা এখনো সেই আগের গৌরবগাথা তুলে ধরছে।
এই স্থাপনাগুলোতে বিভিন্ন যুগের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য, মূল্যবোধ এবং জীবনযাপনের সবকিছুই উঠে আসে। এখানে তেমনই কিছু অনবদ্য স্থাপনার কথা জেনে নিন।
শেখ সাঈদ আল মাখতুম হাউজ : এর কথা শুনেছেন কখনো? তিনি ছিলেন পঞ্চাশের দশকে দুবাইয়ের শাসক। এই বাড়িতে থাকতেন তিনি। সেই সময়ের প্রচলিত প্রকৌশলের প্রয়োগ এই ভবন গড়ে তোলা হয়। এর বিশাল বিশাল সব জানালা আর অনন্য নির্মাণকৌশল বাড়িটিকে গরমের দিনেও ঠাণ্ডা রাখে। যখন আল-মাখতুমের পরিবার এখানে থাকত, তখন পার্সিয়ান গাল্ফের অপূর্ব দৃশ্য অবলোকন করা যেত এখান থেকে।
মজলিস ঘোরফাট উম আল শেইফ : পুরনো এই ভবনে রয়েছে ঐতিহাসিক আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি। আমিরাতি মজলিসের ইতিহাস এদের মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়।
আল ফাহিদি হিস্টোরিক্যাল ডিস্ট্রিক্ট :
প্রচলিত নকশায় তৈরি করা ভবনগুলোতে রয়েছে উঁচু উঁচু টাওয়ার। এগুলো স্থানীয় ভাষায় 'বার্জিলস' নামে পরিচিত। এখানে আরো আছে জাদুঘর এবং গ্যালারি।
হেরিটেজ হাউজ : এটি গড়ে ওঠে ১৮৯০ সালে। আমিরাতের প্রাচীন আমলের বাড়িগুলো যেমনটা হতো, এটি সেই বাড়িগুলোর সবচেয়ে আদর্শ নমুনা।
জুমা অ্যান্ড ওবায়েদ বিন থানি হাউজ : ১৯১৬ সালে গড়ে ওঠা এ ভবনে আরবের ক্যালিগ্রাফির প্রদর্শনী দেখা যাবে। এদের সম্পর্কে নানা অজানা তথ্য মিলবে এখানেই।
আল আহমাদিয়া স্কুল : ১৯১২ সালে এটা গড়ে তোলা হয়। এটা কিন্তু দুবাইয়ের প্রথম স্কুল। সেখানকার শিক্ষাব্যবস্থার ইতিহাস সংরক্ষিত রয়েছে এই স্কুলে।
হেরিটেজ অ্যান্ড ডাইভিং ভিলেজেস :
গতানুগতিক জীবনের চিত্র ছড়িয়ে রয়েছে এখানে সেখানে। অতীতের জীবনচিত্রও সংরক্ষিত রয়েছে এখানেই।
সূত্র : দুবাই পোস্ট
সূত্র : দুবাই পোস্ট
No comments:
Post a Comment