সিলেট সিক্সার্সকে ৪০ রানে হারিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১১ রানের বিশাল পাহাড় গড়ে চিটাগং ভাইকিংস। সিলেট সিক্সার্সের সামনে ২১২ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় চিটাগং ভাইকিংস।
চট্রগামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় এই ম্যাচে টস জিতেছেন সিলেট সিক্সার্সের নাসির হোসেন। লুক রঞ্চির চিটাগং ভাইকিংসকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
ব্যাটিং করতে নেমেই ঝড় তুলেছেন লুক রঞ্চি। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি সৌম্য সরকার। মাত্র এক রান করে ফিরে যান এই ব্যাটসম্যান। ২৫ বলে ৪১ রান করেন রঞ্চি। বেশি কিছু করতে পারেননি এনামুল হক বিজয়ও। তিন রান করেন তিনি।
এই ম্যাচে স্টিয়ান ভ্যান জাইল ও সিকান্দার রাজা। ২৬ বলে ৪০ রান করে ভ্যান জাইল আউট হলেও সিকান্দার রাজা এই ম্যাচে রাজত্ব করেন। মাত্র ৪৫ বলে ৯৫ রান করেন জিম্বাবুয়ের এই ব্যাটসম্যান। নয়টি চার ও ছয়টি ছক্কা মারেন তিনি। এ ছাড়া নজিবুল্লাহ জাদরান করেন ১৯ রান। সিলেটের হয়ে কামরুল ইসলাম রাব্বি নেন দুটি উইকেট।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে প্রথম ম্যাচে মাশরাফি বিন মুর্তজার রংপুর রাইডার্সকে ৯ হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহর খুলনা টাইটানস।
মাশরাফি বিন মুর্তজার রংপুর রাইডার্সকে শুক্রবার দুপুরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ১৫৯ রানের টার্গেট দিয়েছিল মাহমুদউল্লাহর খুলনা টাইটানস। কিন্তু সেই রান করতে পারেনি গেইল-মাসরাফির রংপুর রাইডার্স। খুলনার সংগ্রহ করা ১৫৮ রান তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৪৯ রানে থামে রংপুর রাইডার্স।
খেলতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি রংপুরের। ২০ রানের মধ্যে দলের প্রধান দুই ভরসা ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও ক্রিস গেইলকে হারিয়ে বসে রংপুর রাইডার্স। আজ মাত্র দুই রান করেন ম্যাককালাম। আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান গেইল বিদায় নেন ৯ বলে ১৬ রান করে।
দলীয় ২৯ রানে মোহাম্মদ মিঠুন আউট হলে একেবারে খাদের কিনারে নেমে যায় মাশরাফির দল। এরপর ফজলে মাহমুদ আরো বিপদে ঠেলে দেন দলকে। এখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় দেশের উত্তরের দলটি। রবি বোপারা ও তরুণ ক্রিকেটার নাহিদুল হক মিলে যোগ করেন ১০০ রান।
৩৪ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন নাহিদুল। পরে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বোপারাও। তবে শেষ ওভারগুলোতে বোলারদের ওপর সেভাবে শাসন করতে পারেননি তাঁরা। ৪৩ বলে ৫৮ রান করেন নাহিদুল। ৪৩ বলে ৫৯ রান করে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন রবি বোপারা। খুলনার আফিফ দেন দুটি উইকেট।
এর আগে চট্রগামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে ১৫৮ রান তুলেছিল খুলনা টাইটানস।
মাশরাফির রংপুর রাইডার্সের কাছে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই রিলে রুশোকে হারায় খুলনা। ৪ বলে ১১ রান করেন রুশো। তৃতীয় ওভারে আফিফ হোসেন ধ্রুব ফিরলে চাপে পড়ে যায় দলটি। এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও বাহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ইনিংসটা সামলানোর দায়িত্ব নেন। ২০ রানের বেশি করতে পারেননি শা্ন্ত। দলীয় ৫৯ রানে মাহমুদউল্লাহকে একা রেখে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান।
এরপর লড়াইটা একাই নিজের কাঁধে তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। নিকোলাস পুরানকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকাটা সচল রাখেন তিনি। ২০ বলে ১৬ রান করে পুরান ফিরলেও হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাহমুদউল্লাহ। দলীয় ১৩০ রানে তিনি যখন ফিরে যান তখন তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৩৬ বলে ৫৯ রানের দারুণ একটি ইনিংস।
এরপর কার্লোস ব্রার্থওয়েট-আরিফুল হকরা স্কোর বাড়ানোর চেষ্টা করলেও ১৫৯ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা টাইটানস। বার্থওয়েট ১১ ও আরিফুল ১৬ রান করেন। রংপুরের রুবেল তিনটি ও মালিঙ্গা নেন দুটি উইকেট।
এর আগে রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা টস জিতে মাহমুদউল্লাহর খুলনা টাইটানসকে ব্যাটিংয়ে পাঠান।
শুক্রবার দুপুরে দিনের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে চট্রগামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেনন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাঁচ দিনে মোট ১০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিপিএল আবারও ঢাকায় ফিরবে। চট্টগ্রামে প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ থাকছে। প্রথমটি শুরু হবে দুপুর একটায়, আর দ্বিতীয়টি সন্ধ্যা ছয়টা থেকে। তবে শুক্রবারের ম্যাচ এক ঘণ্টা পিছিয়ে যাবে।
৮ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট পেয়েছে খুলনা। অন্যদিকে, ৬ পয়েন্ট পেয়েছে রংপুর। তারা অবশ্য খুলনার চেয়ে একটি ম্যাচ কম খেলেছে।
No comments:
Post a Comment