সিরাগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ফুফুকে নিয়ে উধাও হয়েছেন মাহমুদুল তালুকদার (২৫) নামের এক যুবক। এই ঘটনায় মেয়ের মা কোর্টের মাধ্যমে মেয়েকে এফিডেফিট করে ত্যাজ্য করেছেন।
অতঃপর সোমবার সকালে কোর্টের মাধ্যমে এফিডেফিট করে মেয়ে রওশনারাকে ত্যাজ্য করেছেন বলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেয়ের মা মরিয়ম বেগম। তিনি বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্টে ছেলে মেয়ে লালন-পালন করেছি। আমার মেয়ে রওশনারা আমার আদেশ অমান্য করে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকে। তাকে ভালো হতে বললে আমাকে মারপিট করে।
এমনকি আমাকে হত্যা করার হুমকিও দেয়। এই মেয়ের কুকর্মের জন্য আমাকে সমাজে অপমান হতে হচ্ছে। সে যে কাজ করেছে এটা কোনোদিন মেনে নেয়া সম্ভব না। তাই আমার অন্যান্য সন্তানদের মঙ্গলের জন্য মেয়ে রওশনারাকে গত ৯ নভেম্বর কোর্টের মাধ্যমে ত্যাজ্য করেছি।
মাহমুদুলের মা মিনারা খাতুন বলেন, ওই মেয়েটি আমার ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমার ছেলে ঢাকায় চাকরি করে। বাড়িতে ছুটিতে এসেছিল। এর মধ্যেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে মেয়েটি। মেয়েকে ত্যাজ্যর কথা বললে তিনি বলেন, এটা মেয়ের মায়ের ব্যাপার। সে কি করল সেটা আমাদের দেখার বিষয় না।
ফুফু ও ভাতিজা পালানোর কথা স্বীকার করে মাহমুদুলের পরিবার বলেন, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ ব্যাপারটি মীমাংসার জন্য দুই পরিবারের মধ্যে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। পারিবারিকভাবে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মেয়ের পরিবার মেনে নেয়নি। তারা দুইজনের নিজের ইচ্ছে মতো বিয়ে করতে পারে। কিন্তু কোথায় আছে এ ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহিন হোসেন বলেন, উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের খাষচর জামালপুর গ্রামে এটি আলোচিত ঘটনা।
এ ঘটনায় চলতি মাসের ১৩ অক্টোবর মেয়ের বড় ভাই মানছুর রহমান বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ দায়রা জজ আদালতে মাহমুদুল তালুকদার (২৫), ছেলের বাবা শহিদুল তালুকদার (৫০), মামা মোহাম্মাদ আলী (৩৫) নানা আশরাফ আলী তালুকদারের (৬৫) বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার পর থেকে এসব আসামি পলাতক রয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ২৪ সেপ্টেম্বর মাহমুদুল তালুকদার ফুফু রওশনারাকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এই যুগলকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
No comments:
Post a Comment