Social Icons

Thursday, November 23, 2017

মা’কে বেতন দেয়া হয় না, মাতৃত্ব পেশা হল কিভাবে ?

২০১৪ সালে মিস আয়ারল্যান্ড হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন বাংলাদেশের মেয়ে মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি। আয়ারল্যান্ডেই বসবাস করেন প্রিয়তি।নান কারনে আলোচনায় থাকেন এই প্রবাসী। এবার মাতৃত্ব নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে খবরের শিরোনাম হলেন প্রিয়তি।
স্ট্যাটাসে প্রিয়তি বলেন, আমার ছোট্ট জ্ঞান থেকে আমি যতটুকু জানি এবং গুগল থেকেও আমরা যা জানি তা হলো, পেশা হচ্ছে যা আপনার জীবিকা নির্বাহ করে, যার জন্য আপনার বিশেষ দক্ষতা লাগবে আবার অনেক ক্ষেত্রে আপনার শিক্ষা, অভিজ্ঞতা এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার  ট্রেইনিংয়েরও প্রয়োজন পড়ে।ওই পেশা থেকে আপনি চাইলে অবসর নিতে পারেন অথবা আপনার পেশা পরিবর্তনও করতে পারেন জীবনের তাগিদে। আমাকে কি কেউ বলতে পারবেন মাতৃত্বের সাথে উপরের কথাগুলো কোনোভাবে মিলানো যায় কিনা?
আজও যখন বাংলাদেশ থেকে কোনো ফোন আসে এবং জিজ্ঞাসা করে কেমন আছি, আমার উত্তর যদি এমন হয়, শারীরিকভাবে ভালো আছি, কিন্তু বাচ্চাদের নিয়ে খুব স্ট্রেসে আছি, উনাদের উত্তর হয়, কি আর করবা, জন্ম দিয়েছ, মা হয়েছ, একটু কষ্ট তো করতেই হবে।
ওহ হ্যালো, আমি এইগুলো তো জানি। আমি তো আশা করছি না যে, আপনারা আরেকজন এর বাচ্চাদের পালবেন। যা আশা করি, তা হল সহমর্মিতা, করুনা বা উপেক্ষা নয়।
উনারা এতোটুকু বোঝার ক্ষমতাই রাখে না যে, স্ট্রেস যে এক মানসিক যন্ত্রণা, তা নিজ ও নিজের কর্মস্থলসহ বাচ্চাদের উপরও প্রভাব পড়ে। তারও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে, ব্রেক এর দরকার আছে বাচ্চাদের কাছ থেকে। অনেকেরই আশেপাশে খালা-ফুফু, দাদা-দাদি নাই যে তাদের কাছে গিয়ে বাচ্চারা আবদার/দুষ্টমিগুলো করবে, এটেনসন পাবে বা কিছুক্ষণ তাদের দেখে রাখবে অথবা অসুস্থ হলে তাদের খাবারগুলো তৈরি করে খাওয়াবে বা স্কুলে নিয়ে যাবে অথবা বাচ্চারা অসুস্থ হলে সারারাত জেগে থেকে পরের দিন ও বাকি সব কাজ বাদ দিয়ে একটু ঘুমাবে। কর্মজীবী মায়েদের পরের দিন হয়তো কাজে যেতে হয় নতুবা সংসারের পুরুষেরা হয়তো অপেক্ষা করতে থাকেন, কখন ফ্রেশ রান্না হবে এবং খাবেন।
তার জন্য মায়েদেরকে কি বেতন দেয়া হয়? তাহলে মাতৃত্ব পেশা হল কিভাবে? জানি, কেউ কারও পথে চলেন না। প্রত্যেকের পথ ভিন্ন। কিন্তু আরেকজনের পথ উপলব্ধি করাটাও  জরুরি। জী, মা জন্ম দিয়েছেন বলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সন্তানের দায়িত্ব আর যত্ন করেই যান, এইটা তার চাকরি নয়, ভালোবাসা! সহমর্মিতা পাক আর না পাক তিনি তার দায়িত্ব ঠিকই চোখ বুঝে পালন করে যাবেন। কিন্তু মা হয়েছেন বলে তার এইগুলো করতেই হবে, এই কথা বলে যখন মায়ের কাজের চাপগুলো উড়িয়ে দেয়া হয়, তখনই হয় মায়ের সত্যিকারের অসম্মান।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates