তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে খসড়া মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে তার সাথে আইসিটি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬ ধারা বিলুপ্তির প্রস্তাব করা হবে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া প্রণয়ন নিয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা থেকে বাইরে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী একথা জানান।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্প্রতি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে উদ্যোগ চলছে তাকে নিরাপদ করতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সেই প্রয়োজনীয়তা থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে এবং আগামী শীতকালীন অধিবেশনেই এটি উত্থাপন করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ডিজিটাল জগতের নিরাপত্তা, প্রসার ও বিকাশে সাহায্য করবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ডিজিটাল জগতের নিরাপত্তা, প্রসার ও বিকাশে সাহায্য করবে।
তিনি সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করে বলেন, জনগণের সাংবিধানিক সব মৌলিক অধিকার এবং সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতির সাথে সম্পর্ক রেখে অন্যান্য আইন যেভাবে প্রণয়ন করা হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনও সেভাবে প্রণয়ন করা হচ্ছে।
তিনি মনে করেন, এই আইন ডিজিটাল সমাজ গড়তে এবং ডিজিটাল সমাজের নিরাপত্তা বিধান করতে সাহায্য করবে।
এদিকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জনগণের বাক স্বাধীনতা রক্ষার ব্যবস্থা থাকবে এবং জনগণের বাক স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য যেসব চেক অ্যান্ড ব্যালান্সের দরকার সেগুলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছাড়াও সম্প্রচার আইনেও থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা যেভাবে আছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তা সেভাবে থাকছে না। এসময় অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধির খসড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খসড়াটি সুপ্রিম কোর্ট থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। এটি অতিসত্তর রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে এবং এটা আজকেও পাঠানো হতে পারে।
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি একথা বলেন।
ডিজিটাল অপরাধ মোকাবেলা করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে এবং তা ১৬ কোটি নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধের ধরণ দেখে বিভিন্ন স্তরের সাজার প্রস্তাব করা হয়েছে। সম্প্রচার আইনে সাংবাদিক তথা গণমাধ্যম কর্মীদের ব্যবস্থা রাখা হবে।
সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জোনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment