নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলার গোপালপুর গ্রামের সাহাব উদ্দিন’র কন্যা রেহানা আক্তার রমি (৩০) । সেনবাগের কাদরা ইউপির জামালপুরের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের একমাত্র সন্তানের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় ২০০৭ সালের পহেলা জুন। অনুষ্ঠান ও হয় জমকালো ভাবে, । স্বামী একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে সুনামের সাথে শিক্ষকতা করছেন।
অভাব অভিযোগ নেই বললেই চলে। দীর্ঘ ১১ বছরের দাম্পত্যজীবন চলছে সুখেই। পরিবারের কোল জুড়ে আসে ফুট ফুটে দুই পুত্র সন্তান। দু সন্তানকে বুকে নিয়ে পিতা,দাদা, দাদী ও স্বজনদের কতো স্বপ্ন। ২ সন্তানকে আদর স্নেহে ১ জনকে প্রাইমারী ও অপরজনকে ভর্তি করা হয় মাদ্রাসায়। ২০১৭ সাল ওই পরিবারে নেমে আসে কালো অধ্যায়। কামিনী যামিনী পদ্ম- রজনীগন্ধার সৌরভে সুরভিত একটি পরিবারের সম্মানহানী করলো সুন্দরী গৃহবধু রুমি। এমন অনৈতিক কান্ড কোন পরিবারেই আসা করা যায় না বা করেনা।
নিজ পুত্রের স্কুল ব্যাগে তার কাপড় চোপড় গুচিয়ে বাচ্চাটিকে স্কুলের দিকে এগিয়ে দেয়। এমন সময় আদরের সন্তান দোকান থেকে কিছু একটা নেয়ার বায়না ধরে। কিন্তু না তার তো সময় নষ্ট করছে সন্তান । পরকীয়ায় মত্ত প্রেমিকের অপেক্ষার পালা। আর কি? মায়ের মাতৃস্নেহ থেকে ববঞ্জিত করলো রাক্ষসী রুমী। এক পর্যায়ে বাচ্চাটিকে ধমক দিয়ে স্কুলে পাঠিয়ে দেয়। একটু একটু পথ এগিয়ে বার বার পেছনে তাকায় মায়ের দিকে। কাঁদো কাঁদো চোখের জল ফেলে শিশুটি স্কুলের দিকে এগিয়ে যায়।
এটা যে তার শেষ ছাহনি শেষ দেখা শেষ কথা। সময়ের সাথে তালমিলিয়ে গৃহবধু নামের কলংক রুমী ১১ বছরের সংসার জীবন ত্যাগ করে পরকীয়ায় লিপ্ত পরপুরুষের সাথে পালিয়ে যায় অজানা ঠিকানায়। ঘটনার দিন তাকে না পেয়ে দুপক্ষই খোঁজা খুঁজি করে ব্যর্থ হয় পরিবার। ব্যাপক অনুসন্ধানে শেষে সেনবাগ থানায় জিডি করা হয়। রুমি নামের সুন্দরী গৃহবধু হয় লাপাত্তা। গত ৯ দিনে ও মিলেনি তার সন্ধান। এ ঘটনায় রুমী নামের অপদার্থ,একটি পরিবারের সম্মানহানী যে কারোরই মনে রেখাপাত করবে নি:সন্দেহে।
( পরবর্তি আপডেটে বিস্তারিত জানবেন সঙ্গেই থাকুন।)
No comments:
Post a Comment