মালয়েশিয়ার সবজি বাজারের সবচেয়ে বেশি যোগান আসে দেশের শীতলতম স্থান ক্যামেরুন হাইল্যান্ড থেকে। তবে কৃষিতে কাজ করা শ্রমিক সংকটের কারণে সেখানেও উৎপাদন কমেছে। ফলে কৃষকরা যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, তেমনি বেড়ে চলছে সবজির দামও। ক্যামেরুন হাইল্যান্ডে কৃষি শ্রমিকদের আশি শতাংশই বাংলাদেশি। নিউ সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি ওং সেং ই বলেন, চাহিদার তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ শ্রমিকের সংকট রয়েছে। ফলে প্রায় এক চতুর্থাংশ জমি এখনও খালি পরে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, শ্রমিক সংকট অনেক বছর ধরেই। তবে কখনোই পরিস্থিতি এতোটা ভয়াবহ ছিল না। উৎপাদন সমস্যার কারণে কৃষকরা বাজার পতনের শঙ্কায় রয়েছেন। বিশেষ করে যারা তাদের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করেন। একজন অদক্ষ শ্রমিকের বেতন ক্যামেরুন হাইল্যান্ডে ১ হাজার রিঙ্গিত (২১ হাজার টাকা) থেকে ১ হাজার ১শ রিঙ্গিত (২৩ হাজার ২০০ টাকা)। আর যদি শ্রমিক পদোন্নতি পেয়ে সুপারভাইজার হন, তবে দুই হাজার রিঙ্গিত থেকে ৩ হাজার রিঙ্গিত (৪২ হাজার টাকা থেকে ৬৩ হাজার টাকা) পর্যন্ত হয়।
ফসল বিশেষজ্ঞ কেসি কেওয়াং নিউ সানডে টাইমসকে জানান, সরকার থেকে এমন কিছু চাহিদা রয়েছে যেটা আসলেই মেটানো প্রায় অসম্ভব। যেমন শ্রমিকদের আবাসস্থলের ফিটনেস সার্টিফিকেট। এখানে শ্রমিকদের আবাসস্থলগুলো অনেক দুর্গম এলাকায় আবার পাহাড়ের চূড়ায়। এসব স্থানে বেশিরভাগ সময়ই অস্থায়ী আবাসস্থল গড়ে তোলা হয়। এসব স্থানে চাইলেও মালিকরা স্থায়ী আবাস গড়ে তুলতে পারেন না। টয়লেট ব্যবস্থাও অপ্রতুল। কারণ সেখানে বিদ্যুৎ এবং বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নেই। পিপলস প্রগ্রেসিভ পার্টির সভাপতি তান শ্রী এম কায়ভিয়াস বলেন, বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে ক্যামেরুন হাইল্যান্ডে ১৫ হাজারের বেশি শ্রমিক রয়েছেন। এদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশি এখন নিজেরাই অবসরপ্রাপ্ত কৃষক বা ওরাং আসলিদের থেকে জমি বর্গা নিয়ে কৃষি কাজ করছেন। দেশের কৃষিখাতকে বাঁচাতে আরো বেশি বিদেশি শ্রমিক প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
No comments:
Post a Comment