জোর করে হিজাব খুলে ফেলার এক মামলায় নিউইয়র্ক শহরের কর্তৃপক্ষ তিনজন মহিলার সাথে এক আইনি সমঝোতায় পৌঁছেছে এবং তাদের প্রত্যেককে ৬০ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে।
মামলার বাদী তিনজন তরুণী অভিযোগ করেছিলেন যে, নিউইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তারা সবার সামনে তাদের হিজাব খুলে ফেলতে বাধ্য করেছিলেন এবং ছবি তুলেছিলেন।
মামলাটির শুরু ২০১২ সালে। এক তরুণীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় পুলিশ তাকে আটক করে।
ব্রুকলিন পুলিশ প্রিসিংক্টে জনসমক্ষে তাকে হিজাব খুলতে বাধ্য করা হয় এবং ছবি তোলা হয়।
ওই নারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাটি আগেই খারিজ হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু হিজাব খোলার ব্যাপারে একই ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটার পর এ নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং এতদিন ধরে মামলাটি চলছিল।
অবশ্য এরই মাঝে ২০১৫ সালে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ থেকে কর্মকর্তাদের প্রতি নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এতে ধর্মীয় প্রয়োজনে যারা মাথা ঢেকে রাখেন, সেটা খুলে ফেলার ব্যাপারে নিয়মাবলী জারি করা হয়।
এই মামলার বাদী পক্ষের উকিল তাহানি আবুশি বিবিসিকে বলেন, মামলাটি শুধু মুসলমানদের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, অন্য যেসব ধর্মে মাথা ঢেকে রাখার রেওয়াজ আছে, তাদের জন্য এই মামলার রায় তাৎপর্যপূর্ণ।
ট্রাম্পের নামে নোবেল শান্তি পুরস্কারের ভুয়া মনোনয়ন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়ার ব্যাপারে একটি মনোনয়ন ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই জালিয়াতির ব্যাপারে নোবেল কমিটি নরওয়ের পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
অজ্ঞাতপরিচয় একজন আমেরিকান "বলপ্রয়োগের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি' আনার জন্য ট্রাম্পের নাম নোবেল কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেন বলে খবরে বলা হচ্ছে।
অসলোর নোবেল ইন্সটিটিউটের পরিচালক ওলাভ নিওলস্টাড স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, "আমাদের স্থির বিশ্বাস যে এই মনোনয়ন জাল। এ ধরনের 'ভুয়া মনোনয়ন' আমরা গত বছরও দেখছি।"
নোবেল কমিটির বিবেচনার জন্য প্রতি বছর মনোনয়ন পাঠানোর শেষ তারিখ ৩১ জানুয়ারি।
অক্টোবর মাসের গোঁড়ার দিকে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। আর প্রার্থীদের মনোনয়নের কাজটা চরম গোপনীয়তার মধ্যে চালানো হয়।
সরকারি কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য, সাবেক নোবেল বিজয়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ নির্বাচিত কিছু ব্যক্তিত্ব এই মনোনয়ন পাঠাতে পারেন।
সর্বসম্প্রতি ২০১৭ সালের নোবেল পুরস্কার পেয়েছিল পরমাণু অস্ত্র-বিরোধী সংগঠন আইসিএএনডাব্লিউ।
মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে বারাক ওবামা এবং বিল ক্লিনটন এই সম্মান অর্জন করেছেন।
No comments:
Post a Comment