সিরিয়ার নারী ও শিশুদের উদ্দেশ্য-প্রণোদিতভাবে ধর্ষণ করার ক্ষেত্রে দেশটির জঙ্গিগোষ্ঠী ও সেনা সদস্যরা সমানভাবে জড়িত। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এমনটিই জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির এক তদন্তে উঠে এসেছে যে, যুদ্ধচলাকালীন যৌন নিগ্রহের মুখে পড়তে হয়েছে সিরিয়ার জনতাকে। এর বেশিরভাগের পিছনেই হাত ছিল সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ নানা জঙ্গি গোষ্ঠীর। এর সঙ্গে অনেক পদস্থ সেনা কর্মকর্তাও যুক্ত বলে তদন্তকারীদের দাবি।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অত্যাচারের শিকার হওয়ার পর অনেক নারীই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। জঙ্গি সংগঠন আইএস এর বিরুদ্ধে নারী ও অল্পবয়সী মেয়েদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ নতুন নয়। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে পাথর ছুড়ে শাস্তি দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। তদন্ত রিপোর্টে উঠে এসেছে, এই ধরনের অত্যাচারের শিকার হয়ে কিংবা তার থেকে নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে, ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ দক্ষিণ পূর্ব সিরিয়ার হামুরিয়া শহর এবং তার আশপাশের অঞ্চল থেকে পালিয়ে গিয়েছেন।
কখনো তল্লাশি করতে এসে বা তদন্তের কাজে বাড়িতে ঢুকে এই ধরনের অত্যাচার চালানো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে সেনাবাহিনী ও জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের। ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পায়নি শিশুরাও। জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, সরকারি, রাজনৈতিক এবং গোয়েন্দা শাখা থেকেই এই সব তথ্য জানা গেছে। যার প্রমাণ রয়েছে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি নথিতে।
রয়টার্স।
No comments:
Post a Comment