দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি হত্যায় কালোদের উপর দায় চাপানোর আড়ালে নেপথ্যে অন্য কারণ আছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
সম্প্রতি দেশটির জোহানেসবার্গে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন মোহাম্মদ ইউসুফ স্বপন নামের এক বাংলাদেশি। দক্ষিন আফ্রিকায় স্থানীয় সময় শনিবার নিজ বাসার সামনে গাড়িতে অবস্থানকালে ৫ রাউন্ড গুলি করা হয় নিহত সেই বাংলাদেশিকে। নিহতের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর গ্রামে।
দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিন আফ্রিকায় নিরাপত্তা অস্থিরতার মধ্যে আফ্রিকান কালোদের হাতে অনেক বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সাধারনত যেকোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হলে কিংবা অনাকাঙ্খিত কোন বিদেশি হত্যাকাণ্ড হলে সহজেই কালোদের সন্দেহ করা হয়। কিন্তু ইদানিং বেশ কিছু বাংলাদেশি মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কারণ দুষছেন সেখানকার প্রবাসী সংবাদমাধ্যমসহ কোন কোন বাংলাদেশি প্রবাসী। এক্ষেত্রে স্বদেশিদের সাথে অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, বাংলাদেশিদের খুনের পেছনে কোন না কোন বাংলাদেশি দায়ী। যদিও বিষয়টি এখন পযন্ত স্পষ্ট করে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি।
গত সপ্তাহে আরেক বাংলাদেশি মৃত্যুর পেছনে একই অভিযোগ তোলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহল থেকে। আফ্রিকান সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে ওই বাংলাদেশিকে হত্যার পরিকল্পনা আসলে আরেক বাংরাদেশি করেছিল বলে জানা গেছে। পরবর্তীতে সে সম্পর্কিত ফোনালাপের প্রমাণের কথাও উঠে এসেছে।
এদিকে, গত সপ্তাহে নিহত বাংলাদেশির হত্যার অভিযোগ করতে গেলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব হত্যাকাণ্ড এখন শুধু সন্ত্রাসীরাই করছে না এর আড়ালে অভিবাসী কমিউনিটির (বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান) নিজেদের লোকেরাও জড়িত থাকার তথ্য উপাত্ত মিলেছে।
No comments:
Post a Comment