আমেরিকা অভিবাসন প্রত্যাশীদের কাছে একটি বিশেষ পছন্দের দেশ। যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে অবিবাসীদের উদ্বেগ বেরে গেছে কয়েক গুণ। দেশটির অভিবাসন আইনের নানা মুখি জটিলতায় বারবার শঙ্কাগ্রস্থ হচ্ছে বৈধ ও অবৈধ প্রবাসীরা। সভা সেমিনার করে অভিবাসনের মর্যাদা সম্পর্কে অবহিত করা হচ্ছে অভিবাসীদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেমিনারের মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে, যাতে কেউ নিজেই নিজের বিপদ তরান্বিত না করে।
এদিকে, ধরপাকড় এড়াতে অভিজ্ঞ অ্যাটর্নির পরামর্শমতো চলাফেরা করার পাশাপাশি পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে কিংবা চলতি পথে থামাতে পারে- এমন কোনো কাজ অথবা আচরণ করা থেকেও বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। নিউউয়র্ক প্রবাসী হাসান জানান, গাড়ি চালানোর সময় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করা যাবে না কিংবা সভা-সমাবেশে কোনো হাঙ্গামায় লিপ্ত হওয়াও চলবে না। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটিও পরিহার করতে হবে। অভিবাসনের এজেন্টরা দরজায় নক করলেও খোলা যাবে না। ভেতর থেকেই কথা বলতে হবে এবং নিযুক্ত অ্যাটর্নির পরামর্শ ছাড়া দরজা খোলা হবে না বলে এজেন্টদের জানাতে হবে।
এই প্রবাসী আরও জানান, অভিবাসনের আইন লঙ্ঘন ছাড়া অন্য কোনো অপরাধ না করেও অসংখ্য বাংলাদেশি ডিটেনশন সেন্টারে রয়েছেন। তাদের বাংলাদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এসব বন্ধ করতে অভিবাসী ও অভিবাসন প্রত্যাশী উভয়কেই সচেতন হতে হবে।


No comments:
Post a Comment