দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে প্রথমধাপের মতো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীর তালিকায় এগিয়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশের ৪৭টি জেলায় ৬৩৯টি ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ৩৩টি ইউপিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিনাভোটে আগেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে প্রথমধাপে ৫৪টিতে বিনাভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই ধাপে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন দুই হাজার ৬৬২ জন। ১৭টি রাজনৈতিক দলের এক হাজার ৪৯৩ জন ও স্বতন্ত্র এক হাজার ১৬৯ জন। আর সাধারণ সদস্য পদে ২১ হাজার ২৫৯ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৬ হাজার ৪৯৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সহিংসতার কারণে ৩৩টি ভোটকেন্দ্র স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটকেন্দ্র স্থগিত থাকার কারণে বেশকয়েকটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ফলাফল স্থগিত আছে।
গতকাল রাত দেড়টা পর্যন্ত প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, বেশিরভাগ ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। ৬৩৯টি ইউপির মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী ৪৩০টি বিজয়ী হয়েছে। বিএনপির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৫৫টি ইউপিতে। স্বতন্ত্র হিসাবে জয়লাভ করেছেন ১০৪ জন প্রার্থী। যারা অধিকাংশ আওয়ামী লীগ-বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। এছাড়াও জাতীয় পার্টি-জাপা ৯টি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ জয় পেয়েছে ২টি ইউপিতে।
ঢাকার কেরানীগঞ্জের ১১টি আওয়ামী লীগ ও স্থগিত ১
জিনজিরায় হাজী সাকুর হোসেন সাকু, আগানগরে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খুশি, কালিন্দীতে হাজী মো. মোজাম্মেল হোসেন, বাস্তায় হাজী মো. আসকর আলী, রোহিতপুরে মুক্তিযোদ্ধা হাজী মো. আব্দুল আলী, কলাতিয়ায় মো. তাহের আলী, তারানগরে মো. মোশারেফ হোসেন ফারুক, হযরতপুরে মো. আনোয়ার হোসেন আয়নাল, কোন্ডায় সাইদুর রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, তেঘরিয়ায় হাজী মো. জজ মিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, শুভাইড্ডায় হাজী মো. ইকবাল হোসেন।
গাজীপুরে ৬ ইউপিতে আওয়ামী লীগ, ১টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী
দ্বিতীয় পর্বে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বেসরকারীভাবে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন তুমুলিয়ায় আবু বকর মিয়া, বক্তারপুরে আতিকুর রহমান আখন্দ, জাঙ্গালিয়ায় গাজী সারওয়ার হোসেন, জামালপুরে মাহবুবুর রহমান খান, বাহাদুরসাদীতে মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ, মোক্তারপুরে শরিফুল ইসলাম তোরন। এছাড়া নাগরী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর কাদির মিয়া জয়ী হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগ ৫টি, বিএনপি ১টি, স্বতন্ত্র ৩টিতে জয়ী
কটিয়াদীতে জয়ী আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানরা হলেন বনগ্রামে কামাল হোসেন মিলন, সহশ্রাম ধূলদিয়ায় আবুল কাসেম আকন্দ, মুমুরদিয়ায় সৈয়দুজ্জামান, মসূয়ায় ইদ্রিছ আলী, লোহাজুরীতে আতাহার উদ্দিন ভূঞা রতন, জালালপুরে স্বতন্ত্র হাবিবুর রহমান রুস্তম। আচমিতায় বিএনপি’র মাহাবুবুর রহমান বাচ্চু, করগাঁওতে স্বতন্ত্র শরাফত লস্কর পারভেজ ও চান্দপুরে স্বতন্ত্র মাহতাব উদ্দিন জয়ী।
শেরপুরের নকলার ৯ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী
বিজয়ীরা হলেন, গণপদ্দি ইউনিয়নে মো. শামছুর রহমান আবুল (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), নকলায় মো. আনিছুর রহমান সুজা, উরফায় মো. রেজাউল হক হীরা, গৌড়দ্বাড়ে মো. শওকত হোসেন খান মকুল, বানেশ্বরদীতে আলহাজ মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত, পাঠাকাটায় ফয়েজে মিল্লাত, টালকি ইউনিয়নে মো. বদরুজ্জামান, চরঅষ্ট্রধরে মো. গোলাম রব্বানি ও চন্দ্রকোনায় সাজু সাঈদ সিদ্দকী।
নেত্রকোনায় ১০টিতে আওয়ামী লীগ, ৩ টিতে বিএনপি ও ২টিতে স্বতন্ত্র
আটপাড়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে সব’কটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ীরা হচ্ছেন, স্বরমশিয়া ইউনিয়নে আব্দুস সাত্তার, শুনুই ইউনিয়নে সানোয়ারুদ্দিন চৌধুরী, লুন্বেশ্বর ইউনিয়নে মাহফুজুল হক, বানিয়াজান ইউনিয়নে ফেরদৌস রানা আনজু, তেলীগাতি ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর হাসান, দুওজ ইউনিয়নে সেলিম খান ও সুখারি ইউনিয়নে কফিল উদ্দিন খোকন তালুকদার।
মদন উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতে আওয়ামী লীগ, ৩টিতে বিএনপি ও ২টি তে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন। বিজয়ীরা হচ্ছেন কাইটাইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাফায়েত উল্লাহ রয়েল, গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একেএম নূরুল ইসলাম সদ্দু, মাঘান ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের জিএম শামসুল আলম, চানঁগাও ইউনিয়নে বিএনপির এন আলম, নায়েকপুর ইউনিয়নে বিএনপির আতিকুর রহমান রোমান এবং ফতেপুর ইউনিয়নে বিএনপির রফিকুল ইসলাম খান বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়াও মদন সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বদরুজ্জামান মানিক এবং তিয়শ্রী ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফখরুদ্দিন আহমেদ বেসরকারীভাবে নিবার্চিত হয়েছেন।
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ ৫টি, স্বতন্ত্র ২টিতে জয়ী
জয়ীরা হলেন, হাদিরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আবুল কাশেম, ঝাওয়াইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম, মির্জাপুরে আওয়ামী লীগের হালিমুজ্জামান তালুকদার, আলমনগরে আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আব্দুল মোমেন, ধোপাকান্দিতে আব্দুল হাই (স্বতন্ত্র) হেমনগর ইউনিয়নে রওশন খান আইয়ুব (স্বতন্ত্র) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। নগদাশিমলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের এডভোকেট আবুল কালাম জুরাত জয়ী হয়েছেন।
মানিকগঞ্জে বিএনপি-৬, আওয়ামী লীগ-৬, স্বতন্ত্র-৮
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার খলসী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে শাখাওয়াত জাহাঙ্গীর সেনা (বিএনপি), চকমীরপুরে শফিকউদ্দিন শফি (স্বতন্ত্র), বাঁচামারায় আব্দুল লতিফ (স্বতন্ত্র), চরকাটারীতে আব্দুল বারেক (স্বতন্ত্র), বাঘুটিয়ায় তোফাজ্জল হোসেন (স্বতন্ত্র), জিয়নপুরে বিলায়েত হোসেন (আওয়ামী লীগ), ধামশ্বরে সাদেকুর রহমান তুলা (স্বতন্ত্র) ও কলিয়ায় জাকির হোসেন (স্বতন্ত্র) নির্বাচিত হয়েছেন।
হরিরামপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নে শফি বিশ্বাস (বিএনপি), কাঞ্চনপুরে ইউনুছ আলী গাজী (আওয়ামী লীগ), বলড়ায় তড়িকুল ইসলাম খান (বিএনপি), সুতালড়ীতে আব্দুস সালাম (আওয়ামী লীগ), রামকৃষ্ণপুরে কামাল হোসেন (আওয়ামী লীগ), গোপিনাথপুরে আব্দুল কুদ্দুস (বিএনপি), ধূলসুরায় মো. জাহিদ (স্বতন্ত্র), বাল্লায় কাজী রেজা (বিএনপি), হারুকান্দীতে আসাদুজ্জামান চুন্নু (স্বতন্ত্র), আজিমনগরে বিল্লাল হোসেন (আওয়ামী লীগ), বয়ড়ায় জাহিদুল ইসলাম তুষার (বিএনপি) ও চালায় সামসুল ইসলাম (স্বতন্ত্র) নির্বাচিত হয়েছেন।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ ২ স্বতস্ত্র ১
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নে মো. ইমাম হাচান শিপন (স্বতন্ত্র), বানা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের হাদী হুমায়ুন কবীর বাবু, পাচুড়িয়ায় আওয়ামী লীগের সরদার মিজানুর রহমান বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আওয়ামী লীগ ৫, বিএনপি ১
উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের নিকরাইল ইউনিয়নের আব্দুল মতিন সরকার, গাবসারা ইউনিয়নের মনিরুজ্জামান মনির, ফলদা ইউনিয়নের সাইদুল ইসলাম তালুকদার দুদু, অর্জূনা ইউনিয়নের আইয়ূব আলী মোল্লা, অলোয়া ইউনিয়নের নুরুল ইসলাম এবং গোবিন্দাসী ইউনিয়নে বিএনপির মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বাবলু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
গোপালগঞ্জে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৪ জনসহ আওয়ামী লীগের ২০ এবং স্বতন্ত্র ১
পাইককান্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের এস.এম শাহজাহান, মাঝিগাতীতে কাজী মনোয়ার হোসেন মন্টু, নিজড়ায় আজিজুর রহমান, গোপীনাথপুরে আমিনুল হক শরীফ লাচ্চু, জালালাবাদে এম. সুপারুল হক টিকে, চন্দ্রদীঘলিয়ায় বি.এম ওবায়দুর রহমান ও উরফিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. ইকবাল হোসেন গাজী নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের লতিফপুর ইউনিয়নে ফকরুল ইসলাম, দূর্গাপুরে মো. নাজিব আহম্মেদ নাজিব, বোড়াশীতে এম.এম মনির আহম্মেদ ননী, কাঠিতে মো. বাচ্চু শেখ, কাজুলিয়াতে মাখন লাল দাস, গোবরায় শফিকুর রহমান চৌধূরী টুটুল, শুকতাইলে মোঃ শহিদুল ইসলাম, হরিদাসপুরে মুন্সি মকিদুজ্জামান, করপাড়ায় এ্যাড.সিকদার শাহ সুফিয়ান, বৌলতলীতে সুকান্ত বিশ্বাস, সাতপাড়ে সুজিত্ মন্ডল, সাহাপুরে সুবোধ চন্দ্র হীরা, রঘুনাথপুরে শ্রীবাস বিশ্বাস ও উলপুরে মোঃ কামরুল হাসান বাবুল মোল্লা আগেই নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগ ১০টি, বিএনপি ১ ও স্বতন্ত্র ৯টি
গৌরীপুরের মইলাকান্দায় বিএনপি’র রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ, গৌরীপুরে স্বতন্ত্র মো. আনোয়ার হোসেন, অচিন্তপুরে আওয়ামী লীগের শহিদুল ইসলাম অন্তর, মাওহা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র রমিজ উদ্দিন স্বপন, সহনাটীতে আওয়ামী লীগের আব্দুল মান্নান, বোকাইনগরে আওয়ামী লীগের মো. হাবিব উল্লাহ, রামগোপালপুরে স্বতন্ত্র আব্দুল্লাহ আল আমিন জনি, ডৌহাখলায় আওয়ামী লীগের মো. শহিদুল ইসলাম, ভাংনামারীতে স্বতন্ত্র মফিজুন নুর খোকা, সিধলায় আওয়ামী লীগের জয়নাল আবেদিন বিজয়ী হয়েছেন।
তারাকান্দা উপজেলায় প্রাথমিক ফলাফলে তারাকান্দা সদরে আব্দুল জব্বার (স্বতন্ত্র), কামারগাঁওয়ে রফিকুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), কাকনিতে মশিউর রহমান রিপন (আওয়ামী লীগ), ঢাকুয়ায় মেজবাহ উদ্দিন মন্ডল (স্বতন্ত্র), রামপুরে মদন চন্দ্র সিংহ রায় (আওয়ামী লীগ), বিসকায় আব্দুস সালাম মন্ডল (আওয়ামী লীগ), বানিহালায় আবুল হাসনাত (আওয়ামী লীগ), বালিখায় রেজাউল করিম (স্বতন্ত্র), গালাগাঁওয়ে জিয়াউল হক জিয়া (স্বতন্ত্র), কামারিয়া ইউনিয়নে এবাদত হোসেন তালুকদার (স্বতন্ত্র) বিজয়ী হয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগ ১১, বিএনপি ২ এবং স্বতন্ত্র ৫ ইউপিতে জয়ী
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার পাটাভোগ ইউপিতে বিজয়ী হয়েছেন ফিরোজ আল মামুন (আওয়ামী লীগ), কোলাপাড়ায় নেছারুল্লাহ সুজন (আওয়ামী লীগ), শ্রীনগরে মো. মোখলেছুর রহমান (আওয়ামী লীগ), রাঢ়ীখালে আ. বারী খান বারেক (আওয়ামী লীগ), ভাগ্যকূল ইউপিতে কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাত্ (আওয়ামী লীগ), বাঘড়া ইউপিতে নূরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), বীরতারা ইউপিতে আজিম হোসেন খান (আওয়ামী লীগ), তন্তর ইউপিতে মো. জাকির হোসেন (আওয়ামী লীগ), ষোলঘর ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আজিজুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), বাড়ৈখারী ইউপিতে সেলিম তালুকদার (স্বতন্ত্র), কুকুটিয়া ইউপিতে মো. বাবুল হোসেন বাবু (স্বতন্ত্র), হাঁসাড়া মো. সলেমান খান (স্বতন্ত্র), আটপাড়া ইউপি আইয়ুব আলী খান (স্বতন্ত্র) ও শ্যামসিদ্ধি ইউপিতে মো. রতন (বিএনপি)। সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট শামসুল হুদা বাবুল (আওয়ামী লীগ), কেয়াইন ইউপিত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আশরাফ আলী (আওয়ামী লীগ), রাজানগর ইউপিতে কামাল হোসেন (স্বতন্ত্র) এবং শেখরনগর ইউপিতে মো. নজরুল ইসলাম খান (বিএনপি)।
জামালপুরে ২৪টির মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৩, স্বতন্ত্র ২
জামালপুর সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৩জন আওয়ামী লীগ ও ২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বেসরকারী ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন, কেন্দুয়ায় শেখ মাহবুবুর রহমান, শরিফপুরে আলম আলী, লক্ষ্মীরচরে আফজাল হোসেন বিদ্যুত্, তুলশীরচরে শহিদুল্লাহ, ইটাইলে হাফিজুর রহমান, ঘোড়াধাপে মতিউর রহমান, বাঁশচড়ায় আব্দুল জলিল, রানাগাছা আব্দুল জলিল, শ্রীপুরে আজিজুল হক, শাহবাজপুরে আয়ুব আলী খান, মেষ্টায় জামিনুর ইসলাম তালুকদার, দিগপাইতে মিজানুর রহমান ও রশিদপুরে আব্দুল্লাহ আল মামুন(আ.লীগ)। আর স্বতন্ত্র নরুন্দিতে শাহ্জাহান আলী ও তিতপল্লায় হারুনুর রশিদ। অন্যদিকে, মেলান্দহ উপজেলার ১০টির মধ্যে একটিতে ফলাফল স্থগিত রয়েছে। অবশিষ্ট ৯টিতে ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয় পেয়েছে। কুলিয়ায় আব্দুস ছালাম, মাহমুদপুরে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ঝাউগড়ায় আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী, ঘোষের পাড়ায় ওবায়দুর রহমান, নাংলায় মাহফুজুল হক মাফল, ফুলকোচায় মমিনুল ইসলাম বাবু, চরবানি পাকুরিয়ায় শাহাদত্ হোসেন, শ্যামপুরে সিরাতুল জামান সুরুজ, আদ্রায ফরহাদ হোসেন।
নরসিংদীতে ১৫টিতে আওয়ামী লীগ ও ১টিতে বিএনপি
আওয়ামী লীগ দলীয় জয়ী প্রার্থীরা হলেন, দুলালপুরে মিয়া হোসেন নাজির, সাধারচরে মাছিহুল গনি স্বপন, পুটিয়ায় খন্দকার হাসান উল সানি এলিছ, জয়নগরে নাদিম সরকার, যোশরে মো. রাসেল আহমেদ, আইয়ুবপুরে মজিবুর রহমান সরকার এবং বাঘাব ইউনিয়নে বিএনপি দলীয় প্রার্থী তরুণ মৃধা জয়ী হয়েছেন।
আর বেলাবো উপজেলার ৮টিতেই আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তারা হলেন বেলাব গোলাপ মিয়া,আমলাবে পরশ মোল্লা, বাজনবে খন্দকার মোকলেছুর রহমান, চরউজিলাবে আখতারুজ্জামান, বিন্নাবাইদে গোলাম মোস্তফা গোলাপ, নারায়ণপুরে মোসলেহ উদ্দিন সেন্টু, পাটুলিতে ইফরানুল হক জামান, সল্লাবাদে জাকির হোসেন স্বপন।
কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ ৮, বিএনপি ৫
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীরা নির্বাচিত হন। তারা হলেন-চৌয়ারায় আবুল কালাম আজাদ সোহাগ, বারপাড়ায় মো. সেলিম আহম্মদ, জোড়কাননে (পূর্ব) মো. হারিস মিয়া, জোড়কাননে (পশ্চিম) হাসমত উল্লাহ ও পেরুলে (দক্ষিণ) এ.জি.এম শফিকুর রহমান। কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়নের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। একটি (চিতড্ডা) স্থগিত। ৫টি ইউনিয়নে বিএনপি ও ৩টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি মনোনীত নির্বাচিত প্রার্থীরা হলেন- আগানগরে ইফতেখার আলম শাহীন, ভবানীপুরে সৈয়দ রেজাউল হক রেজু, লক্ষ্মীপুরে নুরুল ইসলাম, আড্ডায় মো. জাফর উল্লাহ চৌধুরী, আদ্রায় মো. ফজলুল হক। আওয়ামী লীগের জয়ীরা হলেন-খোশবাসে নাজমুল হাছান, পয়ালগাছায় সৈয়দ মাহিন, ঝলমে নুরুল ইসলাম নুরু।
চট্টগ্রামের ২৮টিতে আওয়ামী লীগ ও ১টিতে জাতীয় পার্টি জয়ী
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৯টি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। ২ নম্বর হিঙ্গুলীতে নাছির উদ্দিন হারুন, ৩ নম্বর জোরারগঞ্জে মকসুদ আহম্মদ চৌধুরী, ৪ নম্বর ধুম ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর ভূইয়া, ৫ নম্বর ওসমানপুরে মফিজুল হক মাস্টার, ৬ নম্বর ইছাখালীতে নুরুল মোস্তফা, ৭ নম্বর কাটাছরায় রেজাউল করিম হুমায়ূন, ৮ নম্বর দূর্গাপুরে আবু সুফিয়ান বিপ্লব, ৯ নম্বর মিরসরাই সদরে এমরান হোসেন, ১৬ নম্বর সাহেরখালী ইউনিয়নে কামরুল হায়দার চৌধুরী। সীতাকুন্ড উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের সবগুলোতেই আওয়ামী লীগের প্রাথীরা জয়ী হন। এরা হলেন-সৈয়দপুরে এইচ এম তাজুল ইসলাম নিজামী, ২নং বারইয়াঢালায় রেহানউদ্দিন রেহান, ৪নং মুরাদপুরে মো. জাহেদ হোসেন, ৫নং বাড়বকুন্ডে মো. সাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী, ৬নং বাঁশবাড়িয়ায় মো, শওকত হোসেন জাহাঙ্গীর, ৭নং কুমিরায় মোর্শেদ হোসেন চৌধুরী, ৮নং সোনাইছড়িতে মনির আহমেদ, ৯নং ভাটিয়ারীতে মো. নাজিম উদ্দিন, ১০ নং সলিমপুরে সালাহউদ্দিন আজিজ। সন্দ্বীপ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতে আওয়ামী লীগ ও একটিতে জাতীয় পার্টি জয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের জয়ীরা হচ্ছেন-সারিকাইতে ফকরুল ইসলাম পনির, মগধরায় আনোয়ার হোসেন, মাইটভাঙ্গায় মিজানুর রহমান, মুছাপুরে আবুল খায়র নাদিম, আজিমপুরে আব্দুল আজিজ, রহমতপুরে মাস্টার ইলিয়াছ খান, হারামিয়ায় মোহাম্মদ আলী খসরু, আমানউল্যায় শাহাদত্ চৌধুরী, গাছুয়ায় সামছুদ্দিন রাজধন, সন্তোষপুরে মাকছুদুর রহমান ফুল মিয়া। হরিশপুরে জাতীয় পার্টিও এমএ ছালাম নির্বাচিত। বাউরিয়ায় আওয়ামী লীগের জামাল উদ্দিন এগিয়ে রয়েছেন।
কক্সবাজারে বিএনপি ৩, আওয়ামী লীগ ২, বিদ্রোহী ১, স্বতন্ত্র ১
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে বিএনপি সমর্থিত নির্বাচিতরা হলেন- পেকুয়ায় বাহারদুর শাহ, মগনামায় শরাফত উল্লা, শীলখালীতে নূর হোসাইন। আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হলেন- উজানটিয়ায় শহিদুল ইসলাম চৌধুরী ও টেটংয়ে জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী। রাজাখালীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সৈয়দ নূর এবং বারবাকিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা বদিউল আলম জয় পেয়েছেন।
চাঁদপুরে আওয়ামী লীগ ৫, বিএনপি ২
চাঁদপুর জেলায় হাইমচর ও চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৮টি ইউপির মধ্যে ৭টির ফল পাওয়া গেছে। এর ৫টিতে আওয়ামী লীগ ও ২টিতে বিএনপি জয় পেয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচিতরা হলো-চাঁদপুরের রামপুরে মো: আল মামুন পাটওয়ারী, আশিকাটি ইউপিতে বিল্লাল পাটওয়ারী, হাইমচরে শাহাদাত সরকার, গাজীপুর ইউপিতে হাবিবুর রহমান গাজী, নীলকমলে সালাউদ্দিন সরদার। বিএনপির দুই বিজয়ী হলেন-শাহ মাহমুদপুরে স্বপন মাহমুদ, মৈশাদী ইউপিতে মনিরুজ্জামান মানিক।
নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ ১১, বিদ্রোহী ৩
নোয়াখালীর কবিরহাটে ৪টিতে আওয়ামীলীগ ও ৩টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত জয়ীরা হলেন- সোন্দলপুর ইউনিয়নে নুরুল আমিন রুমি, নরোত্তমপুরে এ কে এম সিরাজ উল্যা, চাপরাশিরহাটে মহিউদ্দিন টিটু, ধানশালিকে ইয়াকুব নবী। বিদ্রোহী জয়ীরা হলে- ধানসিঁড়িতে মো. আবদুল মন্নান, বাটইয়াতে মো. মিজানুর রহমান ও ঘোষবাগে মো. মহসিন মিন্টু। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আট ইউপির সাতটিতে আওয়ামী লীগ ও একটি ইউপির পাঁচটি কেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে। বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- চরএলাহীতে আব্দুর রাজ্জাক, চরফকিরায় জামাল উদ্দিন লিটন, চরহাজারীতে নূরুল হুদা, চরকাকরায় হাজী শফিউল্যা, চরপার্বতীতে মোজাম্মেল হোসেন কামরুল, মুছাপুরে শাহীন চৌধুরী, রামপুরে ইকবাল বাহার চৌধুরী। সিরাজপুরে পাঁচ কেন্দ্র স্থগিত।
ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ ৯, বিদ্রোহী ১, স্বতন্ত্র ১
ব্রাহ্মনবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত, একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও ১টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের জয়ীরা হলেন- ইব্রাহিমপুরে আবু মুসা, কাইতলায় (দ.) শওকত আলী, লাউরফতেপুরে ফারুক আহমেদ, সাতমোড়ায় মাসুদ রানা, শ্রীরামপুরে আজহার হোসেন জামাল, রছুল্লাবাদে আলী আকবর, বিটঘরে (টিয়ারা) আবুল হোসেন, বিদ্যাকুটে এনামুল হক, নাটঘরে আবুল কাসেম। বীরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কবির আহমেদ ও নবীনগর পূর্বে স্বতন্ত্র প্রার্থী মৌসুমী আক্তার বিজয়ী হন।
যশোরে ১২টির ১০টি আওয়ামী লীগের
যশোর সদর উপজেলার ১২টির মধ্যে ১০টিতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। একটিতে জিতেছেন বিএনপি প্রার্থী। চাঁচড়া ইউনিয়নে ভোট স্থগিত রয়েছে। আওয়ামী লীগের বিজয়ী চেয়ারম্যানরা হলেন হৈবতপুর ইউনিয়নে সিরাজুল ইসলাম, চুড়ামনকাঠিতে আব্দুল মান্নান মুন্না, কাশিমপুরে মশিয়ার রহমান সাগর, লেবুতলায় আলীমুজ্জামান, ইছালীতে এসএস আফজাল হোসেন, নওয়াপাড়ায় নাসরিন সুলতানা, উপশহরে এহসানুর রহমান লিটু, কচুয়ায় লুত্ফর রহমান, রামনগরে নাজনীন নাহার আলমগীর ও বসুন্দিয়ায় সিরাজুল ইসলাম খান রাসেল। ফতেপুর ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী রবিউল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ ২, বিদ্রোহী ২
চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত ২ জন এবং আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী ২ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনীত নির্বাচিতরা হলেন- পদ্মবিলায় আবু তাহের বিশ্বাস ও কুতুবপুরে আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক। একই দলের বিজয়ী দুই বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন- আলুকদিয়ায় ইসলাম উদ্দিন ও মোমিনপুরে গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার।
মেহেরপুরে আওয়ামী লীগ ২, বিদ্রোহী ২
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত ২ জন ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ২ জন প্রার্থী জয় লাভ করেছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত নির্বাচিতরা হলেন- বাগোয়ানে আয়ূব হোসেন ও মহাজনপুরে আমাম হোসেন মিলু। এই দলের বিদ্রোহী নির্বাচিতরা হলেন- মোনাখালীতে মফিজুর রহমান ও দারিয়াপুরে তৌফিকুল বারী বকুল পাল।
মাগুরায় ১২টির ১১টিতে আওয়ামী লীগ, ১টিতে স্বতন্ত্র
মাগুরা সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১১টিতে আওয়ামীলীগ এবং ১টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন । আওয়ামী লীগের জয়ীরা হলেন- কুছন্দি ইউপিতে আবুল কাশেম মোল্লা , চাউলিয়াতে হাফিজার রহমান, শক্রজিত্পুরে সঞ্জিত্ কুমার বিশ্বাস , বেরইল পলিতায় খন্দকার মহব্বত্ত আলী ,জগদল ইউপিতে সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, মঘিতে আব্দুল হাই সর্দার, হাজরাপুরে কবীর হোসেন, হাজীপুরে মোহাজারুল হক, বগিয়ায় মীর রওনক হোসেন, রাঘব দাইড় ইউপিতে আশরাফুল আলম ,আঠারখাদায় সঞ্জিবন বিশ্বাস। গোপাল গ্রামে নাজমুল হাসান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন ।
কুষ্টিয়ায় ২০টির মধ্যে ১৮টি আওয়ামী লীগ, জাসদ ২টি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের সবকটিতে ল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এরা হচ্ছেন- রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে সিরাজ মন্ডল, আদাবাড়িয়ায় মকবুল হোসেন, পিয়ারপুরে আবু ইউসুফ লালু, খলিসাকুন্ডিতে সিরাজুল বিশ্বাস, বোয়ালিয়ায় মহিউদ্দিন বিশ্বাস, আড়িয়ায় সাঈদ আনসারী বিপ্লব, প্রাগপুরে আশরাফুজ্জামান মুকুল মাষ্টার, ফিলিপনগরে একেএম ফজলুল হক কবিরাজ, রিফায়েতপুরে জামিরুল ইসলাম বাবু, মরিচায় শাহ আলমগীর, চিলমারীতে সৈয়দ আহম্মেদ, হোগলবাড়িয়ায় সেলিম চৌধুরী, মথুরাপুরে সর্দার হাশেম উদ্দিন হাসু, ও দৌলতপুর ইউনিয়নে মহিউল ইসলাম। জেলার ভেড়ামারা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত চার প্রার্থী ও জাসদ মনোনীত দুই প্রার্থী বিজয়ী হন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিজয়ীরা হলেন- মোকারিমপুর ইউনিয়নে আব্দুস সামাদ, বাহিরচরে রওশন আরা সিদ্দিকী, ধমরপুরে শাহাবুল আলম লালু, জুনিয়াদহে শাহেদ আহম্মেদ শওকত। জাসদের দুই বিজয়ী হলেন- চাঁদগ্রামে আব্দুল হাফিজ তপন ও বাহাদুরপরে আশিকুর রহমান ছবি।
ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ ৭ ও বিদ্রোহী ৩
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টিতে আওয়ামী লীগ, ৩টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও ২টিতে জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ১টির ফলাফল পাওয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নির্বাচিতরা হলেন- এসবিকে ইউনিয়নে মোঃ আরিফুল হাসান চীেধুরী, বাঁশবাড়িয়ায় মোঃ আব্দুল মালেক মন্ডল, মান্দারবাড়িয়ায় মোঃ শফিদুল ইসলাম। আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা হলেন-ফতেপুরে মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, পান্তাপাড়ায় মোঃ ইসমাইল হোসেন, স্বরূপপুরে মোঃ মিজানুর, শ্যামকুড়ে মোঃ আমানুল্লাহ হক, নেপায় মোঃ শামসুল আলম, কাজীরবেড়ে মোঃ সেলিম রেজা, যাদবপুরে এ বি এম শহিদুল ইসলাম। নাটিমা ইউনিয়নে জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ফকির আহমেদ ও আজমপুরে আবদুস সাত্তার জয়ী হন।
ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ ৭ স্বতন্ত্র ৩
রাণীংশকৈল উপজেলার ৫টির মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩টি স্বতন্ত্র ২ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ী আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী হলেন- ১নং ধর্মগড় ইউনিয়নে সফিকুল ইসলাম মুকুল, ৪নং লেহেম্বা ইউনিয়নে আবুল কামাল আজাদ, ৬নং কাশিপুর ইউনিয়নে আব্দুর রউফ। স্বতন্ত্র ২নং নেকমরদ এনামুল হক ও ৭নং রাতোর আব্দুর রহিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে। হরিপুর উপজেয়ায় ৬টি ইউনিয়নে ৪টিতে আওয়ামী লীগের প্রাথী বিজয়ী হয়েছেন। ১ টিতে স্বতন্ত্র। আর একটিতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফলাফল পাওয়া যায়নি। বিজয়ী আওয়ামী লীগের ৪ প্রার্থী হলেন: ১নং গেদুরা আব্দুল হামিদ, ২নং আমগাঁও শামসুল হুদা তালুকদার, ৪নং ডাঙ্গীপাড়া মনিরুজ্জামান মনি, ৬নং ভাতুড়িয়া শাহজাহান আলী। স্বতন্ত্র ৫নং হরিপুর আতাউর রহমান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে।
নওগাঁর ১৯টির মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৪, বিদ্রোহী ৩, বিএনপি ১, বিদ্রোহী ১
ধামইরহাট উপজেলায় ৮টির মধ্যে মধ্যে ৬টি আওয়ামী লীগ ১টি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং ১টিতে বিএনপির প্রাথয়ি জয়ী হয়েছেন। বে-সরকারি জয়ী চেয়ারম্যানরা হলেন- আগ্রাদ্বিগুন আ’লীগের ছালেহ উদ্দিন, আড়ানগর আ’লীগের শাহাজাহান আলী কমল, খেলনা আ’লীগের আব্দুস ছালাম, ইসবপুর আ’লীগের আবু ওয়াদুদ সামার, আলমপুর আ’লীগের ফজলুর রহমান, জাহানপুর আ’লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান আলী, ধামইরহাট আ’লীগের কামরুজ্জামান ও উমার বিএনপি’র আলহাজ্ব নুরুজ্জামান মন্ডল।
পত্নীতলা উপজেলায় ১১ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ৮টি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ২ বিএনপির বিদ্রোহী ১ টিতে জয়ী হয়েছে। জয়ী চেয়ারম্যানরা হলেন- ঘোষনগর আওয়ামী লীগ আবু বক্কর সিদ্দিক, পত্নীতলা আওয়ামীলীগ মোস্তফা শাহ্ চৌধুরী, শিহাড়া আওয়ামীলীগ মোস্তাফিজুর রহমান, আকবরপুর আওয়ামীলীগ স্বতন্ত্র কামাল হোসেন, মাটিন্দর আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র জাহাঙ্গীর আলম, আমাইড় আওয়ামীলীগ ইসমাঈল হোসেন, পাটিচরা আওয়ামীলীগ রায়হানুল আলম, নজিপুর আওয়ামীলীগ সাদেক উদ্দীন, দিবর আওয়ামীলীগ আব্দুল হামিদ সরকার, নির্মইল আওয়ামীলীগ আবুল কালাম আজাদ, কৃষ্ণপুর বিএনপি স্বতন্ত্র নজরুল ইসলাম।
পাবনায় আওয়ামীলীগ ৭, বিএনপি ৩ বিজয়ী
ভাঙ্গুড়া উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদে আজ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন, একটি ইউনিয়নে বিএনপি জয় লাভ করেছে। আওয়ামীলীগের বিজয়ীরা হলেন পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নে আলহাজ মোঃ হেদায়তুল্লাহ,দিলপাশার ইউনিয়নে অশোক কুমার ঘোষ ,খানমরিচ ইউনিয়নে মোঃ আছাদুর রহমান এবং অষ্টমণিষা ইউনিয়নে বিএনপির আইনুল হক।।
ফরিদপুর উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের ৪ জন,এবং বিএনপির ২ জন নির্বাচিত হয়েছে। এরা হলেন, ফরিদপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের সরোয়ার হোসেন(নৌকা), বনওয়ারীনগরে বিএনপির জিয়াউর রহমান(ধানেরশীষ), বিএলবাড়িতে জাহাঙ্গীর হোসেন(ধানের শীষ), ডেমড়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মাহফুজুর রহমান( নৌকা), হাদল ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের সেলিম রেজা (নৌকা), এবং পুঙ্গলী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের আমিনুর রহমান(নৌকা)।
বগুড়ার শিবগঞ্জে আওয়ামী লীগ ৪, বিএনপি ৩
শিবগঞ্জ উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নের পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলে ৪টিতে আওয়ামী লীগ, ৩ টিতে বিএনপি এবং ৫টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। এর মধ্যে ময়দানহাট্টা ইউনিয়নে এসএম রূপম (আওয়ামী লীগ), কিচক ইউনিয়নে এবিএম নাজমুল কাদির চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), বুড়িগঞ্জ ইউনিয়ন আবদুল গফুর মন্ডল (আওয়ামী লীগ), বিহার ইউনিয়নে মহিদুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), পিরব ইউনিয়নে সফিকুল ইসলাম সফিক (বিএনপি), শিবগঞ্জ ইউনিয়নে তোফায়েল আহম্মেদ সাবু (বিএনপি), মোকামতলা ইউনিয়নে মোকলেছার রহমান খলিফা (বিএনপি) , মাঝিহট্ট ইউনিয়নে মির্জা গোলাম হাফিজ সোহাগ (স্বতন্ত্র), আটমূল ইউনিয়নে মোজাফ্ফর হোসেন (স্বতন্ত্র), দেউলি ইউনিয়ন আব্দুল হাই (স্বতন্ত্র) সৈয়দপুর ইউনিয়ন মাহমুদ হোসেন তৌফিক (স্বতন্ত্র), রায়নগর ইউনিয়নে ফিরোজ আহম্মেদ রিজু (স্বতন্ত্র) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
জয়পুরহাটে ৯টার মধ্যে ৮টি আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র ১
জয়পুরহাট সদর উপজেলার ৯ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও বাকী ৩ ইউনিয়নে বৃহষ্পতিবারে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন জামালপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের হাসানুজ্জামান মিঠু ( নৌকা), ভাদসা’তে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ ( আনারস) ও চকবরকত ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের শাহজাহান আলী ( নৌকা)। চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিতরা হচ্ছেন ধলাহার ইউনিয়নে ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ, দোগাছী ইউনিয়নে জহুরুল ইসলাম ও আমদই ইউনিয়নে শাহানুর আলম সাবু , পুরানাপৈল ইউনিয়নে খোরশেদ আলম, মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়নে আতাউর রহমান ও বম্বু ইউনিয়নে মোল্যা সামছুল আলম।
নাটোরের ১১ টির ১০টিতে জয়ী আওয়ামী লীগ
লালপুর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের বেসরকারী ভাবে পাওয়া ফলাফলে নয়টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং বাগাতিপাড়ার পাঁকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। অর্জুনপুর-বরমহাটি কেন্দে র ফলাফল স্থগিত রয়েছে। লালপুর ইউনিয়নে আবু বকর সিদ্দিক পলাশ, ২ নং ঈশ্বরদী ইউনিয়নে আমিনুল ইসলাম জয়, দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আব্দুল হান্নান, আড়বাব ইউনিয়নে ইসাহাক আলী, বিলমাড়িয়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, দুয়ারিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নুরুল ইসলাম, কদিমচিলান ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে সেলিম রেজা, ওয়ালিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আনিছুর রহমান, চংধুপইল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আবু আল বেলাল।
চাপাইনবাবগঞ্জের ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে আলীগ ৬, বিএনপি ১, স্বতন্ত্র ১
গোমস্তাপুর উপজেলায় বোয়ালিয়ায় জিয়াউর রহমান (বিএনপি), চৌডালায় গোলাম কিবরিয়া (স্বতন্ত্র), রাধানগরে মামুনুর রশিদ (নৌকা), পার্বতীপুরে লিয়াকত আলী (নৌকা), রহনপুরে শাহজাহান (নৌকা), আলীনগরে তরিকুল ইসলাম (নৌকা), গোমস্তাপুরে জামাল উদ্দীন।
সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ ৬, বিএনপি ২
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি ইউপিতে জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), বহুলীতে রুহুল আমীন (বিএনপি), কালিয়াহরিপুর আব্দুস সবুর (নৌকা), কাওয়াকোলা (স্থগিত), খোকশাবাড়ী রশিদ মোল্লা (নৌকা), মেসরা আরুল মজিদ (নৌকা), রতনকান্দি গোলাম মোস্তফা (নৌকা), সয়দাবাদ (নির্বাচন স্থগিত), শিয়ালকোলে আব্দুল মান্নান শেখ (বিএনপি) এবং ছোনগাছা শহীদুল আলম (নৌকা)।
হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ ৩টি, বিদ্রোহী ২টিতে জয়ী
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ৩টিতে আওয়ামী লীগ ও ২টিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তারা হচ্ছেন-আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে আব্দুল কদ্দুস সেন (আওয়ামী লীগ), বদলপুর ইউনিয়নে সুসেনজিত্ চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), কাকাইলছেও ইউনিয়নে হাজী নূরুল হক ভূইয়া (আওয়ামী লীগ), জলসুখা ইউনিয়নে ফয়েজ আহমেদ খেলু (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) ও শিবপাশা ইউনিয়নে আলী আমজদ তালুকদার (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী)।
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আ’লীগ-৮ ও বিএনপি-২
বড়লেখা উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের প্রকাশিত ফলাফলে আওয়ামী লীগের ৮জন চেয়ারম্যান জয়ী হয়েছেন। আর বিএনপির ২জন জয়ী হয়েছেন। আ’লীগের জয়ী চেয়ারম্যান হলেন, বর্ণি ইউনিয়নে-এনাম উদ্দিন, নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নে-ময়নুল হক, উত্তর শাহবাজপুর-আহমদ জুবায়ের লিটন, দক্ষিণ শাহবাজপুর-সাহাব উদ্দিন (বিদ্রোহী), সদর ইউনিয়ন-সোয়েব আহমদ, তালিমপুর ইউনিয়ন-বিদ্যুত কান্তি দাস, দক্ষিণভাগ উত্তর (কাঁঠালতলী)-এনাম উদ্দিন, দক্ষিণভাগ দক্ষিণ-আজির উদ্দিন। বিএনপির বিজয়ীরা হলেন-সুজানগর ইউনিয়নে-নছিব আলী, দাসেরবাজার ইউনিয়নে-কমর উদ্দিন।
সিলেটে আওয়ামী লীগ ৪, বিদ্রোহী ৫, বিএনপি ২, বিএনপি বিদ্রোহী ২
জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার ৭টি এবং কোমপানীগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন সহ মোট ১৩ টি ইউনিয়নে যারা বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হলেন: গোয়াইনঘাটের আলীরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সমপাদক গোলাম কিবরিয়া হেলাল, নন্দিরগাঁওয়ে আমিরুল ইসলাম, ফতেহপুরে আমিনুর রশীদ চৌধুরী এবং কোমপানীগঞ্জের পশ্চিম ইসলামপুরে আওয়ামী লীগের শাহ জামাল উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন।
গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলংয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী লুত্ফুর রহমান লেবু, কোমপানীগঞ্জের উত্তর রণিখাইয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন, দক্ষিণ রণিখাইয়ে রোকন উদ্দিন, তেলিখালে বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল ওদুদ আলফু মিয়া এবং ইছাকলসে কুটি মিয়া বিজয়ী হয়েছেন। বিএনপি‘র প্রার্থী হিসাবে গোয়াইনঘাটের রুস্তুমপুরে শাহাব উদ্দিন ও তোয়াকুলে খালেদ আহমদ বিজয়ী হয়েছেন। বিএনপি‘র বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে বিজয়ীরা হলেন গোয়াইনঘাটের পশ্চিম জাফলংয়ে হোসেন আহমদ এবং কোমপানীগঞ্জের পূর্ব ইসলামপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া।
সুনামগঞ্জে আ’লীগের ৯জন, বিদ্রোহী ৩জন, বিএনপির ১জন বিজয়ী
ছাতক উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৯জন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ৩জন ও বিএনপির ১জন নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতরা হলেন, ছাতক সদর ইউপিতে আওয়ামী লীগের সাইফুল ইসলাম, কালারুকা ইউপিতে আওয়ামী লীগের অদুদ আলম, সিংচাপইড় ইউপিতে আওয়ামী লীগের সাহাব উদ্দিন সাহেল, উত্তর খুরমা ইউনিয়তে আওয়ামী লীগের বিলাল আহমদ, দক্ষিণ খুরমা ইউপিতে আওয়ামী লীগের আবদুল মছব্বির, ভাতগাঁও ইউপিতে আওয়ামী লীগের আওলাদ হোসেন মাষ্টার, দোলারবাজার ইউপিতে আওয়ামী লীগের শায়েস্তা মিয়া ও ইসলামপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের আবদুল হেকিম, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আখলাকুর রহমান, জাউয়াবাজার ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. মুরাদ হোসেন, নোয়ারাই ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দেওয়ান আবদুল খালিক পীর, চরমহলা ইউপিতে বিএনপির আবুল হাসনাত বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
দিনাজপুরে আওয়ামী লীগ ১৯ , বিএনপির ৬জন, স্বতন্ত্র ৭জন
জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার এলুয়ারিতে মাওলানা নবীউল ইসলাম (বিএনপি), আলাদিপুরে মোজাফ্ফর হোসেন সরকার (নৌকা), কাজীহালে মানিক রতন (নৌকা), বেতদীঘিতে উপাধ্যক্ষ শাহ মো. আব্দুল কুদ্দুস (নৌকা), খয়েরবাড়িতে আবু তাহের মন্ডল (নৌকা), দৌলতপুরে আব্দুল আজিজ মাস্টার (নৌকা), শিবনগরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মামুনুর রশিদ চৌধুরী বিপ্লব বিজয়ী হয়েছেন। কাহারোল উপজেলার ডাবোরে সত্যজিত্ রায় (নৌকা), রসুলপুরে মোঃ নজরুল ইসলাম (বোল্ডার) (নৌকা), মুুকুন্দপুরে এ.কে.এম ফারুক (নৌকা), তাড়গাঁওতে মোঃ সাইফুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), সুন্দরপুরে মোঃ শরীফ উদ্দিন মাষ্টার (নৌকা), রামচন্দ পুরে মোঃ আতাউর রহমান বাবুল (নৌকা) বিজয়ী হয়েছেন। বিরামপুর উপজেলার মকুন্দপুরে সাইফুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), দিওড়ে হাফিজুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), জোতবানীতে আব্দুর রাজ্জাক (বিএনপি), কাটনায় নজিরউদ্দিন (বিএনপি)। বোচাগঞ্জের আটগাঁওয়ে কফিলউদ্দিন আহমেদ (বিএনপি), ছাতইলে হাবিবুর রহমান হাবু (আওয়ামী লীগ), ঈশানিয়ায় উত্পল কুমার বুলু (নৌকা),মুর্শিদহাটে মো. জাফরউলাহ (নৌকা), নাফানগরে মো. শাহনেওয়াজ পারভেজ (বিএনপি), রণগাঁওয়ে আনিসুর রহমান (নৌকা)। নবাবগঞ্জের ভাদুরিয়ায় আসমান জমিল (স্বতন্ত্র), বিনোদনগরে মনোয়ার হোসেন (স্বতন্ত্র), দাউদপুরে আব্দুলাহিল আজিম সোহাগ (আওয়ামী লীগ), গোলাপগঞ্জে মো. কবির (স্বতন্ত্র), জয়পুরে আইনুল হক (আওয়ামী লীগ), কুশদহে কায়েম সবুজ (আওয়ামী লীগ), মাহমুদপুরে আব্দুর রহিম (আ.লীগ বিদ্রোহী), পুটিমারায় সারোয়ার হোসেন (আওয়ামী লীগ), শালকুরিয়ায় এনামুল হক (বিএনপি)।
কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগ ৬, বিএনপি ৩, জাপা ৩ ও স্বতন্ত্র ১
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী ও চিলমারী উপজেলার ১৩টির মধ্যে ৬টি আওয়ামী লীগ, বিদ্রোহী ১টি, বিএনপি ৩টি ও জাতীয় পার্টি-জাপা ৩টিতে বিজয়ী হয়েছে। ৬টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিজয়ীরা হলেন, জালাল উদ্দিন, আবু তালেব ফকির, আজগর আলী, মঞ্জুরুল ইসলাম মজনু, আব্দুর রাজ্জাক মিলন, গয়ছল হক মন্ডল। বিএনপি’র বিজয়ী ৩ প্রার্থী হলেন, ফরিদুল হক শাহিন, মোখলেছুর রহমান ও আবু হানিফা। জাপা বিজয়ী ৩ প্রার্থী হলেন, এটিএম ফজলুল হক, ডাঃ শাহাজাহান আলী মোল্লা ও আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়া আওয়ামীলীগের বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন, রাজু আহমেদ খোকন।
লালমনিরহাটে ৮ আওয়ামী লীগ, বিদ্রোহী ৪
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮ টিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। আর ৩টিতে বিজয়ী হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী। পাটগ্রামের দহগ্রামে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী কামাল হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।
হাতীবান্ধায় উপজেলার সানিয়াজানে আব্দুল গফুর (বিদ্রোহী), বড়খাতায় মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল সোহেল (নৌকা), গড্ডিমারীতে মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান (নৌকা), ফকিরপাড়ায় নুরুল ইসলাম (নৌকা), সিন্দুর্ণায় নুরুল আমিন (নৌকা), নওদাবাসে অশ্বিনী কুমার বসুনীয়া (নৌকা), ভেলাগুড়িতে মহির উদ্দিন (নৌকা), সিঙ্গিমারীতে মনোয়ার হোসেন দুলু (নৌকা), ডাউয়াবাড়ীতে রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েস (বিদ্রোহী), পাটিকাপাড়ায় সফিউল আলম রোকন (নৌকা), টংভাঙ্গায় আতিয়ার রহমান আতিক (বিদ্রোহী)।
রংপুরে ১০টি আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্র ১
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১০টিতে আওয়ামী লীগ ও ১টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। এর মধ্যে চৈত্রকোলে আওয়ামী লীগৈর জিয়াউর রহমান সবুজ, বড়দরগাহে মোতাহেরুল হক বাবলু, কুমেদপুরে আলহাজ্ব মোশতাক হোসেন খাঁন চৌধুরী ফুয়াদ, মদনখালীতে সামছুল আলম, টুকুরিয়ায় আতাউর রহমান মন্ডল, শানেরহাটে মিজানুর রহমান মন্টু, পাঁচগাছিতে লুত্ফর রহমান লতিফ, চতরায় এনামুল হক প্রধান শাহীন, কাবিলপুরে রবিউল ইসলাম রবি, মিঠিপুরে এসএম ফারুখ আহমেদ এবং ভেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নে একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রবিউল ইসলাম জয়লাভ করেন।
গাইবান্ধায় ৫টি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ২ ও স্বতন্ত্র ৫
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউপিতে ৫টিতে আওয়ামী লীগ, ৫টি স্বতন্ত্র ও ২টিতে বিএনপি প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে উপজেলার বেলকায় মাওলানা ইব্রাহিম আলী (স্বতন্ত্র), দহবন্ধে গোলাম কবির মুকুল (আ.লীগ), কঞ্চিবাড়ীতে মনোয়ারুল ইসলাম (বিএনপি), তারাপুরে আমিনুল ইসলাম লেবু (স্বতন্ত্র), বামনডাংগায় নাজমুল হুদা (বিএনপি), ছাপারহাটীতে কনক কুমার গোস্বামী (আ.লীগ), ধোপাডাংগায় অ্যাডভোকেট মোকলেছুর রহমান রাজ (আ.লীগ), রামজীবনে মিজানুর রহমান (স্বতন্ত্র), সোনারায়ে সৈয়দ বদরুল আহসান সেলিম (আ.লীগ), শ্রীপুরে শহীদুল ইসলাম (নৌকা), শান্তিরামে মাওলানা সামিউল ইসলাম (স্বতন্ত্র), সর্বানন্দে (মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র)।
নীলফামারীতে আওয়ামী লীগ ৩, স্বতন্ত্র ২
নীলফামারীর ৫ ইউনিয়নে ৩ টিতে নৌকা ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। নীলফামারী সদর উপজেলার গোড়গ্রামে রেয়াজুল ইসলাম (নৌকা), চওড়াবড়গাছায় মোশাররফ হোসেন (স্বতন্ত্র), পঞ্চপুকুরে হবিবর রহমান হবি (নৌকা), লক্ষীচাপায় আমিনুর রহমান (স্বতন্ত্র), পলাশবাড়ীতে মমতাজ উদ্দিন আহমেদ (নৌকা) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
পঞ্চগড়ে আওয়ামী লীগ ৩, বিদ্রোহী ৩
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ৬টি ইউপিতে ৩টিতে আওয়ামী লীগ ও ৩টি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এরা হলেন, বোদায় মো. দেলোয়ার হোসেন প্রধান (বিদ্রোহী), বেংহারী বনগ্রামে আবুল কালাম আজাদ (আ.লীগ) চন্দনবাড়ীতে মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল (বিদ্রোহী), ঝলইশালশিরীতে মো. আবুল হোসেন (আ.লীগ), পাঁচপীরে মো. হুমায়ুন কবীর প্রধান (বিদ্রোহী), সাকোয়াতে সায়েদ জাহাঙ্গীর হাসান সবুজ (আ.লীগ)।
ভোলার ৪৮টিতেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী
ভোলার তিনটি উপজেলার ৪৮ টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এরা হলেন, ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশায় মো. গিয়াস উদ্দিন, আলী নগর ইউনিয়নে বশির আহমদ, চরশেমাইয়ায় মো. মহিউদ্দিন মাত্তবর, চর রমেশে মো. তাজুল ইসলাম, শিবপুর ইউনিয়নে মো জসীম উদ্দিন, উত্তর দিঘলদীতে লিয়াকত হোসেন মনসুর, দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে ইফতারুল হাসান ( বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), মদনপুর ইউনিয়নে একেএম নাসির উদ্দিন, মেদুয়ায় মো. মঞ্জুর আলম, চর খলিফা ইউনিয়নে মো. মেহেদি মাসুদ, চরপাতা ইউনিয়নে মো. মোশারফ হোসেন, উত্তর জয় নগর ইউনিয়নে মো. ইয়াছিন, দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নে মো. আলমগীর হাং, কাচিয়া ইউনিয়নে আ. রব কাজী, কুতবা ইউনিয়নে নাজমুল আহাসান, টবগী ইউনিয়নে কামরুল আহসান চৌধুরী, গংগাপুর ইউনিয়নে মো. রেজাউল করিম, দেঊলা ইউনিয়নে একেএম আসাদুজ্জামান, সাচরা ইঊনিয়নে মো. মহিবুলাহ মৃধা, হাসানগর ইউনিয়নে মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী, হাজির হাট ইউনিয়নে শাহরিয়ার চৌধুরী, লালমোহন ইউনিয়নে মো. শাহাজান মিয়া, ধলীগৌর নগর ইউনিয়নে হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টু মিয়া, চাচরা ইউনিয়নে মো. রিয়াদ হোসেন, শম্ভুপুর ইউনিয়নে মো. ফজলুল হক, চাঁদপুর ইউনিয়নে মো. ফকরুল আলম, ডালচর ইউনিয়নে আব্দুছ সালাম হাওলাদার, হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে সেলিম হোসেন, জাহানপুর ইউনিয়নে আলহাজ মো. ইউনুছ মিয়া, এওয়াজপুর ইউনিয়নে মো. মাহাবুব আলম, চরকলমী ইউনিয়নে মো. কাওছার, অধ্যক্ষ নজরুল নগর ইউনিয়নে মো. রুহুল আমিন হাওলাদার, মদনপুর ইউনিয়নে একেএম আছির উদ্দিন, মেদুয়া ইউনিয়নে মনজুর আলম, চরফ্যাশনে মো. মোজাম্মেল হক জমাদার ( বীর মুক্তিযোদ্ধা), ভোলা সদর রাজাপুর ইউনিয়নে মো. মিঠু (বিদ্রোহী)। চরফ্যাশনের আব্দুলাহপুর, আবুবকরপুর ও ওসমানগঞ্জে নির্বাচিতরা হলেন, আব্দুলাহপুরে মো. আল এমরান প্রিন্স, আবুবকরপুরে মো. সিরাজ জমাদার, ওসমানগঞ্জে আশ্রাফুল ইসলাম ফোটন।
শশীভূষণের রসুলপুর ইউনিয়নে ও দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকায় নির্বাচিতরা হলেন, রসুলপুর- জহিরুল ইসলাম পন্ডিত, চর মানিকা-সাফিউল্যাহ হাওলাদার। মনপুরার ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ও ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়ায় বিজয়ীরা হলেন, মো. জাকির হোসেন ও আলহাজ অলিউল্যাহ কাজল।
পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ জয়ী
পটুয়াখালীর সদর উপজেলার বড়বিঘাই ইউনিয়নে মো. ওয়াহেদুজ্জামান আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
No comments:
Post a Comment