রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে নেইমার চোট কাটিয়ে সময়মতোই ফিরবে বলে বিশ্বাস দেশটির ফুটবল কিংবদন্তি রোনালদোর।
ব্রাজিল সবশেষ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ২০০২ সালে বিশ্বকাপের জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া আসরে। ইয়োকোহামায় জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল সেলেসাওরা। দুটি গোল করে ম্যাচ সেরা হন রোনালদো।
রাশিয়া বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই পর্বে রীতিমত দাপট দেখায় ব্রাজিল। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে বাছাই পর্ব শেষ করা তিতের দল ১৮ ম্যাচের একটিতে মাত্র হারে।
গত মাসের শেষ দিকে পিএসজির হয়ে লিগ ওয়ানে মার্সেইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে পায়ের পাতার পঞ্চম মেটাটারসাল ভেঙে যায় নেইমারের। অস্ত্রোপচারের পর এখন ব্রাজিলে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আছেন তারকা এই ফরোয়ার্ড। পুরোপুরি সেরে উঠতে আড়াই থেকে তিন মাস লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্বকাপের আগে নেইমার পুরোপুরি ফিটনেস ফিরে পাবে কি-না থাকছে সেই শঙ্কাও।
তবে নেইমারের দ্রুত সেরে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী তার স্বদেশি ও রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক তারকা খেলোয়াড় রোনালদো।
“নেইমারের চোট পাওয়াটা আমাদের জন্য বড় একটি সমস্যা। তবে আমি মনে করি সে দ্রুতই সেরে উঠবে। বিশ্বকাপের জন্য সে ফিট হবে।”
“বিশ্বকাপ, সবাই জানে এটা খুবই কঠিন একটা প্রতিযোগিতা। আমি মনে করি, কোচ পরিবর্তন করে গত দেড় বছরে ব্রাজিল উন্নতি করেছে। বিশ্বকাপের জন্য আমাদের খুব শক্তিশালী একটা দল আছে।”
বাছাই পর্বে কঠিন সমীকরণে পড়ে গিয়েছিল ব্রাজিলের চির প্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা। একুয়েডরের বিপক্ষে তাদের শেষ ম্যাচটি বাঁচা-মরার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছিল। লিওনেল মেসির হ্যাটট্রিকে ওই ম্যাচে ৩-১ গোলের দারুণ জয়ে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বের টিকিট পায় হোর্হে সাম্পাওলির দল।
বাছাইপর্বে বেগ পেলেও দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের রাশিয়া আসরে ফেভারিটদের কাতারেই রাখছেন তিনবার ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়া রোনালদো।
“আমি মনে করি, জার্মানি সবসময় শক্তিশালী, স্পেনও শক্তিশালী। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, মেসিসহ আর্জেন্টিনাও। বিশ্বকাপ জেতাটা সবসময় কঠিন।”
“তবে আমরা দারুণ একটি বিশ্বকাপ দেখতে পাবো। আশা করি, ব্রাজিল আবারও বিশ্বকাপ জিততে পারবে।”
No comments:
Post a Comment