ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশ্যে ৬৭ যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের দেশ কিউ-৪০০ মডেলের একটি বিমান কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়েছে। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় ৫০ জন নিহতের খবর জানিয়েছে নেপালের সেনাবাহিনী। গুরুতর আহতাবস্থায় যারা উদ্ধার হয়েছেন তাদের স্থানীয় কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এর মধ্যে, ওই বিমানের যাত্রীদের নামের তালিকা পাওয়া গেছে। তার হচ্ছেন- রিজনা আব্দুল্লাহ, ফয়সাল আহম্মেদ, শামরিন আহম্মেদ, ইয়াকুব আলী, আলিফুজ্জামান, আলমুন নাহার অ্যানি, বিলকিস আরা, শিলা বসগেইন, নুরুন্নাহার বেগম, আলজিনা বরাল, চরু বরাল, আক্তারা বেগম, শাহীন ব্যাপারী, সোভিন্দ্র বোহারা, বসন্ত বোহারা, সামিরা বাজানকার, প্রবীণ চিত্রকর, নাজিয়া চৌধুরী, সাজেনা দেবকোটা, প্রিন্সি ধামী, গয়োন্ত গ্রুঙ, রেজোয়ানুল হক, রকিবুল হাসান, মেহেদী হাসান, মো. কবির হোসেন, দিনেশ হুমাগাইন, সানজিদা হক, হাসান ইমাম, মো. নজরুল ইসলাম, শ্রেয়া ঝা, পূর্ণিমা লোহানী, মিলি মহারাজন, নিগা মহারাজন, সঞ্জয় মহারাজন, ঝাং মিং, আখি মনি, মিনহাজ বিন নাসির, শেকব পান্ডে, প্রসন্ন পান্ডে, বিনোদ রাজ পাডোয়াল, শঙ্কর হরি পাডোয়াল, সঞ্জয় পাডোয়াল, এফএইচ প্রতিক, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মতিউর রহমান, শেখ রুবায়াত, কৃষ্ণ কুমার শাহানী, উম্মে সালমা, আসেনা শাকিয়া, সানাম শাকিয়া, অঞ্জিলা শ্রেষ্ঠা, সারোনা শ্রেষ্ঠা, সত্য শর্মা, হরিপ্রশাদ সুবেদি, দয়ারাম তাম্রকার, বাল কৃষ্ণ থাপা, সেতা থাপা, কিশোর ত্রিপাঠি, অবদেশ কুমার যাদব, অনিরুদ্ধ জামান নুরুজ্জামান, রফিক জামান।
ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা কবলে পড়া যাত্রীদের খোঁজ নিতে হটলাইন চালু করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। তা হচ্ছে- মো. আল আলামুল ইমাম (কনস্যুলার) +৯৭৭৯৮১০১০০৪০১, অসিত বরণ সরকার +৯৭৭৯৮৬১৪৬৭৪২২। তবে সেখানে বলা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে তাদের অন্তত দুই ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
ইউএস-বাংলার ওই বিমানটিতে ৩৩ বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। এছাড়া বিমানটিতে ক্রুসহ মোট ৭১ জন ছিলেন। যাত্রী ছিলেন ৬৭ জন। এর মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়া ৩২ জন নেপালি, একজন করে মালদ্বীপ ও চীনের যাত্রী ছিলেন।
No comments:
Post a Comment