Social Icons

Monday, April 30, 2018

ল্যাটিন আমেরিকার ক্ষয়িষ্ণু গণতন্ত্র, জনমনে নানা প্রশ্ন

একুশ শতকের গোঁড়ার দিকে দক্ষিণ আমেরিকার তরুণদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল।
তাদের ধারণা ছিল সে অঞ্চলে নতুন সূর্যোদয় হতে যাচ্ছে।
ভেনিজুয়েলার হুগো চাভেজ কিংবা ব্রাজিলের লুলা ডি সিলভা উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেসব দেশের জনগণকে।
কিন্তু দুই দশক পরেও সে প্রতিশ্রুতির কোন বাস্তবায়ন দেখা যায়নি।
দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে বামপন্থী রাজনীতির শক্তি ক্ষয় হয়েছে এবং ডানপন্থীদের উত্থান হয়েছে।
আর্জেন্টিনা এবং চিলির মতো দেশে ডানপন্থার বিস্তার ঘটেছে।
অন্যদিকে কয়েকসপ্তাহ আগে ব্রাজিলের লুলা ডি সিলভা দুর্নীতির মামলায় ১২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
গতমাসে পেরুর দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন পেরুর প্রেসিডেন্ট।
এ বছরের মধ্যেই ভেনিজুয়েলা, কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে, মেক্সিকো এবং ব্রাজিলে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এসব নির্বাচন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যখন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে ল্যাটিন আমেরিকায় বিশ্বাস সবচেয়ে কম।
রুসেফছবির কপিরাইটAGENCIA BRASIL
Image captionদুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল জিলমা রুসেফকে
জরিপে দেখা গেছে ৫০ শতাংশের কিছু বেশি মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে। সা পাওলোতে পাবলিক সিকিউরিটি বিষয়ে বিশ্লেষক রবার্টো স্টলফি।
তিনি বলেন, "পাঁচ বছর আগে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা মনে করতেন, গণতন্ত্র হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকরী। কিন্তু ল্যাটিন আমেরিকায় গণতন্ত্রের একটি ঢেউ আমরা দেখলাম। এরপর মনে হচ্ছে, শুধু গণতন্ত্রই যথেষ্ট নয়। এটাকে ভালোভাবে কাজ করতে দিতে হবে। মানুষের মাঝে বৈষম্য এবং আরো নানা ধরনের বিষয় আছে যেগুলোর সমাধান করা দরকার।"
একটি বড় সমস্যা হচ্ছে সহিংসতা বেড়ে যাচ্ছে।
ব্রাজিলে এখন বহু মানুষ মনে করছেন, দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে সামরিক শাসন ফিরে আসা দরকার।
ব্রাজিলে প্রায় দুই দশক ধরে স্বৈরশাসনের কবলে ছিল।
আবারো ব্যাখ্যা করছিলেন মিস স্টলফি, "জননিরাপত্তা এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা আমাদের চোখের সামনেই ঘটেছে, ইতিহাস রয়েছে। সামরিক শাসনের অবসানে হবার পরেই, অর্থাৎ আমরা যখন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে গেলাম, তখন সহিংসতা আবার ফিরে আসলো। এর মূল কারণ হিসেবে অনেকে মনে কতো যে রাষ্ট্র দুর্বল হয়ে গেছে। পুলিশ যথেষ্ট শক্তিশালী নয়, মানবাধিকার সঠিক অবস্থায় নেই। জননিরাপত্তার প্রশ্নে মানবাধিকারের বিরোধিতা করা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠলো।"
লুলাছবির কপিরাইটAFP
Image captionদুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা
কিন্তু গণতন্ত্র নিয়ে যে সংকট সেটা ব্রাজিল কিংবা অন্য যে কোন দেশে নতুন কিছু নয়।
এমনটাই মনে করেন ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফার্ণান্দো হেনরিকে কার্দোজো।
মি: কার্দোজোর মতে, "সমাজ পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। সবাই বুঝতে পারছে কিভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে হয় এবং কে কার প্রতিনিধিত্ব করছে। গণতন্ত্রের যেসব মূল্যবোধ আছে সেগুলোকে আবার আমাদের মনের ভেতরে নতুন করে গড়তে হবে। আমাদের চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। মানুষজন কী বলছে সেগুলো শুনতে এবং দেখতে হবে। এটা খুব সহজ কাজ নয়। সেজন্য নেতৃত্বের গুণাবলী থাকতে হবে।"
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, মানুষ নেতৃত্বকে বিশ্বাস করে না।
ব্রাজিলের লক্ষ-লক্ষ মানুষ মনে করে সেখানে গণতন্ত্র নেই।
তাঁরা মনে করেন, দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জিলমা রুসেফের ইমপিচমেন্টের পরে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা নিয়েছেন।
কিন্তু তিনি নির্বাচিত নন। কিন্তু সাবেক প্রেসিডেন্ট মি: কার্দোজো মনে করেন ভিন্ন কথা।
মি: কার্দোজো বলেন, "আমাদের এখানে গণতন্ত্র আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি গণতন্ত্রকে কিভাবে দেখবেন? আমরা আইন অনুসরণ করছি। আমরা সংবিধান অনুসরণ করছি। আমাদের বাক স্বাধীনতা আছে। কিন্তু যেটার ঘাটতি রয়েছে সেটা হচ্ছে বৈধতা।"
এজন্যই মানুষ নতুন ধরনের নেতৃত্ব খুঁজছে।
মেক্সিকোতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বামপন্থী প্রার্থী অন্য প্রার্থীদের সাথে বিরোধে জড়িয়েছেন।
অন্যদিকে আগামী অক্টোবরে ব্রাজিলের নির্বাচনে ডানপন্থী যে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি ব্রাজিলের ট্রাম্প হিসেবে পরিচিত।
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে চরম মতপার্থক্য আছে, কিন্তু তারা বর্তমান ধারার রাজনীতি থেকে জনগণকে মুক্ত করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, গণতন্ত্রের মাধ্যমে তারা ল্যাটিন আমেরিকায় বিভেদ কমিয়ে আনতে পারবেন কিনা।

ঝড়ে আশ্রয় নেয়া কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক আটক

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ১২ বছরের এক কিশোরীকে সাদ্দাম হোসেন (২৫) নামে এক বখাটে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রায় ৭ ঘণ্টা পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার কয়রা গ্রাম থেকে ধর্ষক সাদ্দাম হোসেনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কয়রা গ্রামে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে ওই দিন বিকালেই ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শিবপুর গ্রামের ওই কিশোরী মেয়েটি সোমবার দুপুরে কয়রা গ্রামে তার নানার বাড়ি বেড়াতে আসার সময় হঠাৎ বৃষ্টির শুরু হয়। মেয়েটি দৌড়ে গিয়ে কয়রা গ্রামের মৃত শাহ আলীর বাড়ির সামনে নির্মাণাধীন একটি ঘরের বারান্দায় গিয়ে আশ্রয় নেয়।
এ সময় শাহ আলীর বখাটে ছেলে সাদ্দাম হোসেন মেয়েটিকে ঘরের ভেতরে গিয়ে বসার জন্য ডেকে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
এ সময় মেয়েটির ডাক-চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষক সাদ্দাম ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করার পর সেখান থেকে ওইদিন বিকালেই মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
কলমাকান্দা থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, সাদ্দামকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বর রাডের পদত্যাগ

অবশেষে পদত্যাগ করলেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রাড। তুমুল সমালোচনার মুখে স্থানীয় সময় রবিবার রাতে পদত্যাগ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রে রাড বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের সরানোর বিষয়ে অসাবধানতাবশত পার্লামেন্ট সদস্যদের ভুল পথে পরিচালিত করেছেন তিনি।
 
অ্যাম্বার রাডের পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের জন্য বড় একটা ধাক্কা হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অভিবাসনসহ বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মে’কে শক্ত হাতেই সুরক্ষা দিচ্ছেল অ্যাম্বর রাড।
 
সরকারের বিতর্কিত অভিবাসননীতির কারণে ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে আসা অভিবাসীদের (উইন্ডরাশ জেনারেশন) ভোগান্তির জন্য জবাবদিহি করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গত বুধবার অ্যাম্বার রাডকে ডেকেছিল। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাম্বার রাড দাবি করেন, তিনি অবৈধ অভিবাসী বিতাড়নের উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো কাজ করেননি। পরে ঐ রাতেই গার্ডিয়ানে ফাঁস হওয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে দেখা যায়, ২০১৪-১৫ সালে কমপক্ষে ৭ হাজার ২০০ অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছে অভিবাসন বিভাগ। ২০১৫-১৬ সালে সেই লক্ষ্য বাড়িয়ে ১২ হাজার করা হয়। বাধ্য হয়ে অ্যাম্বার রাড পরদিন বৃহস্পতিবার সংসদে স্বীকার করেন, অভ্যন্তরীণভাবে কর্মদক্ষতা মূল্যায়নের অংশ হিসেবে অবৈধ অভিবাসী বিতাড়নের লক্ষ্য রয়েছে। তবে বিষয়টি তিনি এত দিন জানতেন না।

Sunday, April 29, 2018

মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও শ্রমবাজার মন্দার কারণে ব্রাজিল মুখী বাংলাদেশীরা ।


মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের শ্রমবাজার মন্দার কারণে এখন সকলের চোখ এখন দক্ষিণ আমেরিকার দিকে । দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ ব্রাজিল ।ফুটবলের দেশ হিসেবে আমরা সবাই ব্রাজিলকে চিনি। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি বিশাল, এখানে রয়েছে অ্যামাজন বন, কৃষিপ্রধান এই দেশে  জাপানের পর জাপানীদের দ্বিতীয় পছন্দের দেশ ব্রাজিল । লক্ষ লক্ষ জাপানি বহু বছর ধরে বাস করছেন এক ব্রাজিলে । সেই সাথে সিরিয়া,পাকিস্তানি, ইন্ডিয়ান , চাইনিজ নাগরিক , আফ্রিকান সহ ইউরোপিয়ান নাগরিক ও  সেই সাথে যুক্ত হয়েছে কিছু বাংলাদেশি নাগরিক । ব্রাজিল মূলত ব্যবসা করার জন্য উপযুক্ত দেশ ,যেখানে ব্যবসা করতে অনেক বেশি মুল্ধন প্রয়োজন হয়না । সেই সাথে পাওয়া যায় সরকারী সহযোগিতা । নিজের নামে ব্যবসা নিজেই করা যায় । ব্রাজিলে বেশ কয়েক জন বাংলাদেশী নাগরিক আছেন যারা ব্যবসা করে আজ প্রতিষ্ঠিত । এখানে সহজেই পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি  কার্ড পাওয়া যায় ।তাই চাইলেই পরিবার নিয়ে বসবাস করতে পারেন সকলেই ।



ব্রাজিলের বাণিজ্যিক শহর সাও পাওলোতে প্রতিদিনই কর্মের খোঁজে ,উন্নত জীবন যাপনের আশায় আসছেন বাংলাদেশীরা ।নিজে এম্বেসী মুখী না হয়ে দালালের মাধ্যমেই বেশী লোক ব্রাজিলে এসেছেন । খুব কম লোকই নিজে ব্রাজিল হাই কমিশনে ভিসা আবেদন করে ভিসা নিয়েছেন । আর দালালের মাধ্যমে ব্রাজিলে আসলে মোটা অংকের টাকা খরচ করতে হয় ।অবশ্য ২০১৮ সাল থেকে ব্রাজিল সরকার ভিসা নীতি সহজ করায় পর্যটক রা সহজেই ভিসা পাচ্ছে । মনে সাহস আর কথা বলার মত ইচ্ছা থাকলেই ব্রাজিলে ভ্রমন ভিসা পেতে পারেন সহজেই ।ব্রাজিলে ইতিমধ্যেই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন । বিশেষজ্ঞদের মতে বসবাসের জন্য ব্রাজিল হতে পারে পৃথিবীর একমাত্র নিরাপদ দেশ ।

পবিত্র শবে বরাত ১ মে

হিজরি ১৪৩৯ সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় ১ মে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল বরাত পালিত হবে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল, বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমানসহ প্রমুখ। 
সভায় জানানো হয়, আগামীকাল বুধবার (১৮ এপ্রিল) থেকে পবিত্র শাবান মাস গণনা শুরু হবে। সে হিসেবে আগামী ১৪ শাবান ১ মে দিবাগত রাতে সারা দেশে পবিত্র লাইলাতুল বরাত পালিত হবে। 

যেসব ভিসা ক্যাটাগরিতে অস্ট্রেলিয়ায় যাবেন

বহু কৃষ্টির দেশ অস্ট্রেলিয়া। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, স্বাস্থ্যকর আবহাওয়া, সামাজিক নিরাপত্তা, লেখাপড়ার চমৎকার পরিবেশ দেশটিকে সবার পছন্দের শীর্ষে রেখেছে। ২০১৭’র এপ্রিলে অস্ট্রেলিয়া সরকার হঠাৎ তাদের জনপ্রিয় প্রোগ্রাম সাব-ক্লাস ৪৫৭ বন্ধ করে দেয়। এ কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। তখন বিকল্প হিসেবে চালু করে সাব-ক্লাস ৪৮২ বা টেম্পোরারি স্কিলড শর্টেজ ভিসা (টিএসএসভি)। সাব-ক্লাস ৪৮২ মূলতঃ টিএসএসভি’র অন্তর্গত একটি ভিসা। এর অধীনে শর্ট টার্ম, মিডিয়াম ও শ্রমচুক্তিতে ভিসা হয়। এ ভিসায় বিদেশি শ্রমিকরা অস্ট্রেলিয়ায় যেকোনো বৈধ প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিতে পারেন।
সাব-ক্লাস ৪৮২ ভিসা সর্ম্পকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মূলতঃ ভারতীয়রা সাব-ক্লাস ৪৫৭-তে এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশীরাও দ্রুত ও দক্ষতার সাথে ফাইল প্রসেস করলে স্বল্প সময়ে এই ভিসা পাওয়া সম্ভব। অস্ট্রেলিয়ার ডিমান্ড লিস্টে ৪৩২টি পেশা রয়েছে। অতএব বিভিন্ন সাব-ক্লাসে আবেদন করে পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করা সম্ভব।
শেখ সালাহউদ্দিন বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার জন্য কয়েক ডজন ভিসা প্রোগ্রাম রয়েছে। তবে চারটি ক্যাটাগরিতে সেখানে যাওয়া তুলনামূলক সহজ। এর মধ্যে অন্যতম হলো-
স্কিলড মাইগ্রেশন উইথ পিআর। মোট ৬০ পয়েন্ট প্রয়োজন এ ভিসার জন্য। পয়েন্ট হিসাব করা হয় ভিসাপ্রার্থীর বয়স, কাজের অভিজ্ঞতা, পড়াশোনা এবং ভাষার ওপর চূড়ান্ত দখলের ওপর।
এরপর রয়েছে স্কিলড নমিনেটেড ১৯০ ভিসা। শর্ট লিস্টেড পেশাজীবীরা অত্যন্ত জনপ্রিয় এই প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন। এজন্য টেরিটরি থেকে স্পন্সর থাকতে হবে, যা পাওয়া খুব সহজ।
টেম্পোরারি গ্র্যাজুয়েট, সাব-ক্লাস ৪৮৫ ভিসা হলো আরেকটি জনপ্রিয় ক্যাটাগরি। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসা আছে বা কমপক্ষে দুই বছরের মধ্যে লেখাপড়া শেষ করেছেন এমন ব্যক্তিরা এই কোটায় আবেদন করতে পারবেন। গ্র্যাজুয়েট ওয়ার্ক স্টিম ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ওয়ার্ক স্টিমের ভিসার মেয়াদ ১৮ মাস থেকে চার বছর পর্যন্ত হতে পারে।
স্কিলড রিকগনাইজড গ্র্যাজুয়েট ৪৭৬ ভিসা। সদ্য ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা ছেলেমেয়েরা এই কোটায় আবেদন করতে পারবেন। বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৩১। এছাড়া গত এক বছরের মধ্যে যারা পড়াশোনা শেষ করেছেন তাঁরাই এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কোন্ ধরনের ভিসার জন্য আপনি উপযুক্ত, তা সঠিক ও বিস্তারিতভাবে জানা সবচেয়ে জরুরি। এজন্য অভিজ্ঞ ইমিগ্রেশন আইনজীবীর পরামর্শ গ্রহণের বিকল্প নেই।
আরেকটি ভিসা ক্যাটাগরি হলো ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ ভিসা (৪০৭)-অকুপেশনাল ট্রেইনিং স্কিম। এই ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় এসে দুই বছর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে বসবাস ও পূর্ণকালীন কাজের সুযোগ পাওয়া যাবে । মেয়াদ শেষে ভিসা নবায়নেরও সুযোগ রয়েছে। এ ভিসার জন্য প্রার্থীর আইইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে ৪.৫ থাকতে হবে, বয়স হতে হবে ১৮ বা তার বেশি।
এমপ্লয়ার নমিনেশন স্কিম (১৮৬)। এই স্কিমের আওতায় স্থায়ীভাবে পরিবারসহ বসবাস ও কাজ করা সুযোগ রয়েছে। নাগরিকত্বও পাওয়া সম্ভব এই স্কিমের মাধ্যমে। এজন্য প্রার্থীর অস্ট্রেলিয়ায় দুই বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। রিজিওনাল স্পন্সরড মাইগ্রেশন স্কিম (১৮৭)। স্কিল অ্যাসেসমেন্টের প্রয়োজন নেই এই ভিসায়। এই ক্যাটাগরিতে চাকরিদাতার দায়-দায়িত্ব কিছুটা কম, স্থায়ী নাগরিকত্ব পাওয়াও সম্ভব। রিজিওনাল এরিয়া থেকে জব অফারের প্রয়োজন হয়। পড়াশোনা করারও সুযোগ পাওয়া যায়।
স্কিলড রিজিওনাল সাব-ক্লাস ৪৮৯ ভিসা। রিজিয়নে দুই বছরের পড়াশোনার অভিজ্ঞতা, আইইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে ৬ থাকলেই এই ক্যাটাগরিতে ভিসা পাওয়া সম্ভব। ভিসা প্রার্থীকে পড়াশোনা শেষে রিজিয়নে এক বছর কাজ করতে হবে। চাকরিদাতার বর্তমান কাজের ঠিকানা, কাজের ধরন, অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বেতনের ওপর নির্ভর করে ভিসা পাওয়ার বিষয়টি।
শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদের মতে, অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনের জন্য সবচেয়ে জরুরি সততা ও দক্ষতা। সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে ভিসা প্রাপ্তিতে কোনো জটিলতা নেই। প্রসংগত উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ান ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে যেক’টি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তার মধ্যে ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেড অন্যতম।

প্লাস্টিকের বোতলে পানি খেলে কি ক্যান্সার হয়?

প্লাস্টিকের বোতল থেকে পানি খেলে কি ক্যান্সার হয়? কিংবা মাইক্রো ওয়েভ ওভেনে খাবার গরম করলে? নতুন এক গবেষণায় বলা হচ্ছে ক্যান্সার সম্পর্কে এরকম অনেক ভুল বা অসত্য তথ্য মানুষ বিশ্বাস করে বসে আছে।-খবর বিবিসি বাংলার।
ইংল্যান্ডে চালানো এই গবেষণার ফল ইতোমধ্যেই 'ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ ক্যান্সারে' প্রকাশিত হয়েছে।
তবে, এই গবেষণায় অংশ নেয়া ইংল্যান্ডের মোট ১৩৩০ জন খুব সঠিকভাবেই ধূমপানকে ক্যান্সারের কারণ বলে সনাক্ত করেছেন।
ধূমপান, স্থূলতা ও আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাবে যেসব ক্যান্সার হয় সেগুলো সবচেয়ে বেশি প্রতিরোধযোগ্য বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার রিসার্চ প্রতিষ্ঠান জানাচ্ছে, প্রতি দশটি ক্যান্সারের ঘটনার ক্ষেত্রে অন্তত চারটি ঘটনা লাইফস্টাইল বা জীবনযাপনের পদ্ধতি দিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে এজন্য ক্যান্সারের কারণ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানাটা জরুরি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ও ইউনিভার্সিটি অফ লিডস এর গবেষকরা বলেন, জরিপে অংশ নেয়া মধ্যে অন্তত ৪০ ভাগ মানুষ ভুলভাবে 'স্ট্রেস' বা মানসিক চাপ এবং খাদ্যাভ্যাসকে ক্যান্সারের কারণ বলে মনে করে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের অন্তত তিন ভাগের এক ভাগ বিশ্বাস করে যে, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফ্রিকোয়েন্সি (৩৫%) এবং জেনেটিকেলি মডিফায়েড (জিএম) খাবার (৩৪%) খেলে ক্যান্সার হবার আশঙ্কা রয়েছে।
তাছাড়া যথেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণ না থাকার পরেও অন্তত ১৯ শতাংশ মনে করে যে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার গরম করে খেলে এবং প্লাস্টিকের বোতল থেকে পানি খেলে ক্যান্সার হতে পারে।
জরিপে যারা অংশ নিয়েছেন এর মধ্যে অবশ্য সবচে বেশি সংখ্যক মানুষ শতকরা ৮৮ শতাংশ ধূমপান এবং ৮০ ভাগ মানুষ পরোক্ষ ধূমপান আর ৬০ ভাগ মানুষ 'সানবার্ন' বা রোদে পোড়াকে ক্যান্সারের কারণ বলে উল্লেখ করেছেন।
গবেষকরা বলছেন, ব্যাপারটা এমন নয় যে ক্যান্সারের কারণ সম্পর্কে যাদের মনে ভুল ধারণা ছিলো তারা অনেক ঝুঁকিপূর্ণভাবে জীবনযাপন করছিলেন।
বরং গবেষকরা জানাচ্ছেন যে, ক্যান্সারের কারণ সম্পর্কে যারা অনেক সঠিক তথ্য জানে তারা বেশি সচেতন এবং তারা ধূমপান থেকে দূরে থাকে। তাছাড়া সচেতন ব্যক্তিরা বেশি করে সবজি আর ফল-ফলাদিও খায় বলেও উল্লেখ করেছেন গবেষকেরা।
ইউনিভার্সিটি অফ লিডস এর ড. স্যামুয়েল স্মিথ বলেন, এটি খুবই দুশ্চিন্তার বিষয় যে, বৈজ্ঞানিক কোনো প্রমাণাদি না থাকার পরেও বহু মানুষ বিভিন্ন বিষয়কে ক্যান্সারের কারণ হিসেবে মনে করে।
স্মিথ আরও বলেন, এই শতকের শুরুর দিকে অসত্য ও অপ্রমাণিত বিষয়গুলোকে যে পরিমাণ মানুষ ক্যান্সারের কারণ হিসেবে মনে করতো, এখন তার থেকেও বেশি মানুষ সেটি মনে করছে।
আর এর পেছনে ইন্টারনেটে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য জানাটা একটা বড় কারণ বলেই মনে করছেন ড. স্মিথ। তাই, ক্যান্সারের কারণ সম্পর্কে মানুষকে সঠিক তথ্য দিয়ে জীবনযাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে জনশিক্ষা আরও বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
আর যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার রিসার্চ প্রতিষ্ঠানের ক্লেয়া হাইড বলেন, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে গ্যারান্টি দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু ক্যান্সারের সবচেয়ে বড় কারণগুলো সর্ম্পকে ভুল তথ্যের পেছনে সময় খরচ না করে সঠিক তথ্য জানলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

বৃষ্টির দিনে ভুনা খিচুড়ি

ভুনা খিচুড়ি খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম।তার উপরে যদি হয় বৃষ্টির দিন তবে তো কথাই নেই। ভুনা খিচুড়ির সাথে গরুর মাংস ভুনা। এই খাবার না হলে যেন বাঙালির বৃষ্টির দিনের ভালোলাগাই নষ্ট হয়ে যায়।ঝটপট দেখে নিন কিভাবে তৈরি করবেন গরুর মাংস ও ভুনা খিচুড়ি।
আসুন জেনে নেই কিভাবে তৈরি করবেন ভুনা খিচুড়ি ও গরুর মাংস। মাংস রান্নার জন্য
গরু বা খাসির মাংস দেড় কেজি, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, আদাবাটা ৩ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা ৩ টেবিল-চামচ, হলুদগুঁড়া ২ টেবিল-চামচ, মরিচগুঁড়া ২ টেবিল-চামচ, ধনেগুঁড়া ২ টেবিল-চামচ, ভাজা জিরাগুঁড়া ১ টেবিল-চামচ (জিরা টেলে গুঁড়া করা), গরম মসলাগুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, বিরিয়ানির মসলা আধা টেবিল-চামচ (ইচ্ছা), লবণ স্বাদ মতো, তেল আধা কাপ।
খিচুড়ি রান্নার জন্য
পোলাওয়ের চাল ১ কেজি বা ৪ কাপ, মুগ ডাল ১ কাপ (টেলে নিতে হবে), বুটের ডাল আধা কাপ (তিন থেকে চার ঘণ্টা আগে ভিজিয়ে রাখবেন), মসুরের ডাল আধা কাপ, এলাচ ৩,৪টি, দারুচিনি ১টি, তেজপাতা ও লবঙ্গ ২ থেকে ৩টি, আদাকুচি পরিমাণ মতো, সরিষার তেল আধা কাপ, ঘি ৩ টেবিল-চামচ, কাঁচামরিচ ১০,১২টি, লবণ স্বাদ মতো, গরম পানি সাড়ে ৭ কাপ (চাল মাপার কাপ)।
প্রণালি
হাঁড়িতে মাংসের উপকরণ, মাংস দিয়ে মেখে মেরিনেইট করে চুলায় মাঝারি আঁচে কষিয়ে রান্না করতে হবে৷ মাংসে থেকে পানি উঠবে তাই পানি দিতে হবে না৷
মাংস কষানো হয়ে ভাজা ভাজা হয়ে তেল উপরে উঠে আসলে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে৷
চাইলে প্রেসার কুকারে চারটি শিস দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে পারেন, তাইলে তাড়াতাড়ি হবে৷
মাংসে বেশি ঝোল থাকবে না৷ সিদ্ধ হয়ে, মাখা মাখা ঝোল হওয়া পর্যন্ত চুলার আঁচ বাড়িয়ে রান্না করুন৷
রান্নার ৩০ মিনিট আগে চাল ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন (বাসমতি চাল হলে ৩০ মিনিট আর পোলাওয়ের চাল হলে ২০ মিনিট)৷ ধুয়ে চালনিতে রেখে পানি ঝরিয়ে রাখুন৷
মুগডাল ভেজে নিয়ে ঠাণ্ডা করে চালের সঙ্গে ভিজিয়ে রাখুন৷ তাহলে ডাল সুন্দর সিদ্ধ হবে৷
আলাদা হাঁড়িতে সরিষার তেল গরম করে আস্ত সব গরম মসলা, আদাকুচি আর আস্ত কাঁচামরিচ দিয়ে কয়েক সেকেন্ড ভাজুন। এবার পানি ঝরানো চাল, তিন রকম ডাল দিয়ে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট সব একসঙ্গে ভাজুন।
চাল আর ডাল যত বেশি ভালো করে ভাজবেন খিচুড়ি তত বেশি মজা হবে এবং ঝরঝরে থাকবে।
চাল ভাজা হলে গরম পানি আর লবণ দিয়ে দুতিন বলগ (ফুটে) আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখন রান্না করা মাংস চালের সঙ্গে নেড়ে মিশিয়ে দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে ঢেকে দিন৷
২৫ মিনিট ঢেকে দমে রান্না করবেন৷ মাঝখানে ঢাকনা একদম খুলবেন না। নইলে খিচুড়ি রান্না নষ্ট হয়ে যাবে৷ ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে ওপরে ঘি দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
মনে রাখবেন চাল যতটুকু তার অর্ধেক ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করলে মজা হয়৷ চাল, পানি, ডাল একই কাপে মেপে দেবেন। মাংস দেওয়ার আগে, চালের পানি যদি ঠিক হয় তাহলে রান্নার পর খিচুড়িতে লবণ কম হবে। আর যদি সামান্য বেশি লাগে তাহলে রান্নার পর লবণ ঠিক থাকবে।

২৪০ যাত্রী নিয়ে আকাশে ইঞ্জিন বিকল

মাঝ আকাশে ইঞ্জিন বিকল দিল্লি-শ্রীনগর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের। জরুরি অবতরণ করে কোনো মতে প্রাণে বাঁচলেন ২৪০জন যাত্রী। গোটা ঘটনায় বিশেষ তদন্তে নির্দেশ দিয়েছে ভারতের অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এআই-৮১৫ বিমানটি শ্রীনগরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কিছু পরই দেখা দেয় ইঞ্জিনে ত্রুটি। সেই সঙ্গে খারাপ আবহাওয়া ছিল সেখানে। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তড়িঘড়ি বিমানটি ফিরে আসে দিল্লি বিমানবন্দরে।
এর আহে ১৯ এপ্রিল অমৃতসর থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানের জানলার প্যানেল খুলে আহত হন তিন যাত্রী।
আকাশে উড়ার ১০ মিনিট পর হঠাৎ একটি জানলার ভেতরের দিকের প্যানেলটি খুলে ছিটকে এসে লাগে ১৮-এ নম্বর আসনের যাত্রীর গায়ে। ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিনি। এই ঘটনার জেরে বিমানে বাতাসের চাপ কমে যেতে শুরু করে। আতঙ্কে অনেকেই অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে নেন। ভয়ে চিৎকার শুরু করে দেন। হুড়োহুড়িতে আরও দুই যাত্রীও আহত হন। ঘটনার তদন্ত করেছে অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়।

ঝড়ের কবলে জেট এয়ারওয়েজের ফ্লাইট, আতঙ্কে যাত্রীরা

ভারতের কলকাতা ও মুম্বাই থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা জেট এয়ারওয়েজের দুটি ফ্লাইট ঝড়ের কবলে পড়ে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট দুটি অবতরণ করে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আকাশে অতিরিক্ত সময় উড়তে থাকলে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ইনকোয়ারি বিভাগে কর্মরত জয়নাল আবেদিন জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কলকাতা থেকে জেট এয়ারওয়েজের ৯ডব্লিউ-২৭৪ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৯টা ৫ মিনিটের পরিবর্তে ৯টা ৩৪ মিনিটে অবতরণ করে। এছাড়া জেট এয়ারওয়েজের মুম্বাই থেকে আসা অপর ফ্লাইট ৯ডব্লিউ-২৭৬ ১১টা ১৫ মিনিটের পরিবর্তে ১২টা ১৮ মিনিটে অবতরণ করে।
জেট এয়ারওয়েজের কলকাতা থেকে আসা যাত্রী আশরাফুল ইসলাম রানা নামের এক যাত্রী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, রোববার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে কলকাতা থেকে রওনা দেয়া জেট এয়ার ৩০ মিনিটে ঢাকা পৌঁছানোর কথা থাকলেও পারেনি। বিমানটি ঝড়ের কবলে পড়ে ব্যাপক ধাক্কা এবং দোলুনিতে ঢাকা থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান নেয়।’
তিনি আরও লিখেন, ‘দীর্ঘ ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট ঝড়ের কারণে আকাশে অবস্থান নেয়ায় জ্বালানি সঙ্কটে পড়ে বিমানটি। যাত্রীদের হাহাকার এবং উৎকণ্ঠার ভেতর দিয়ে অবশেষে ঝড়ের ভেতরই ইমার্জেন্সি ঢাকাতে অবতরণ করতে হয়েছে। জেট এয়ারওয়েজর পাইলটের দক্ষতায় সকাল ১০টায় শত ঝাঁকুনি আর ঝড়ের ভেতরেও অবশেষে সর্তক অবতরণ করে। এতে বেঁচে গেল শতাধিক যাত্রী। তবে জ্বালানি সঙ্কটে না পড়লে ঝড় থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারতো প্লেইনটি, জানিয়েছে জেট কর্তৃপক্ষ।’
বিমানবন্দর ফ্লাইট সূত্রে জানা গেছে, শুধু এ ফ্লাইট দুটি নয়, রোববার সকালে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভোর সোয়া ৬টা সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত (২ ঘণ্টা) ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ছিল। ফলে আন্তর্জাতিক রুটের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ছেড়ে আসা বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটও দেরিতে অবতরণ করে।

যে কারণে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল ব্রাজিলের ফুটবল দল


বিমান দুর্ঘটনায় ব্রাজিলের ফুটবল ক্লাব শাপেকোয়েন্স নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল ২০১৬ সালে। ৭১ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন সেই মর্মান্তিক বিমান-দুর্ঘটনায়!
কীভাবে হয়েছিল সেই দুর্ঘটনা?
দুর্ঘটনার প্রায় ২ বছর পর অবশেষে প্রকাশিত হল শাপেকোয়েন্স ট্র্যাজেডির পিছনের কারণ। বিমানের জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় ঘটেছিল ওই দুর্ঘটনা! চোখের পানিতে প্রাণহীন মানুষগুলোকে শেষ বিদায় জানিয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ।
কলম্বিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সালের ওই বিমান দুর্ঘটনার কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, আকাশে ওড়ার আগে ওই বিমানে পর্যাপ্ত জ্বালানি ছিল না। সেটাই দুর্ঘটনার আসল কারণ।
বলিভিয়ার সান্তা ক্রুজে সাময়িক বিশ্রামের পরে কলম্বিয়ার মেদেলিনে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল বিমানটির।
সান্তা ক্রুজ থেকে বিমানটি যে পরিমান জ্বালানি নিয়ে উড়তে শুরু করে, পথের দূরত্ব অনুযায়ী তা যথেষ্ট ছিল না।
সাধারণত ওড়ার বিমানে সময়ে জ্বালানি বেশি রাখতে হয়। এক্ষেত্রে বিমানটি সেই সব নিয়ম মেনে চলেনি।
এর আগেও বেশ কয়েকবার কম জ্বালানি নিয়ে বিমান চলাচল করেছে। তখন দুর্ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু শাপেকোয়েন্স দলটা রক্ষা পায়নি।
সংশ্লিষ্ট বিমানের পাইলটরা তেলের এই ঘাটতির বিষয় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন।
কলম্বিয়ার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে এ ব্যাপারে জানানো হয়নি। রানওয়েতে আগে নামতে দেয়ার অনুরোধও জানানো হয়নি।

আর্মেনিয়ার সংকট নিরসনে ‘আন্তরিক’ আলোচনার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

আর্মেনিয়ার রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ‘আন্তরিকভাবে’ আলোচনা করতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গণআন্দোলনের মুখ দেশটির প্রবীণ শাসক সার্জ সার্কিসিয়ানের পদত্যাগের পর ওয়াশিংটন শনিবার এ আহ্বান জানায়। খবর এএফপি’র।
 
গত দুই সপ্তাহ ধরে আর্মেনিয়ায় ব্যাপক আন্দোলন হয়। সার্কিসিয়ানের ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টি প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দ্বিতীয় ও শেষ মেয়াদ সমাপ্তের পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে মনোনয়ন দেয়ার ঘোষণা দেয়ায় এ আন্দোলন শুরু হয়। খবরে বলা হয়, বিরোধী দলের এমপি নিকোল পাশিনিয়ানের নেতৃত্বে এ আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সার্কিসিয়ান পদত্যাগে বাধ্য হন।
 
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আর্মেনিয়ার বন্ধু দেশ হিসেবে আমরা সংবিধান অনুযায়ী একটি নতুন সরকার গঠনে আন্তরিকভাবে আলোচনা করতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। এছাড়া আমরা এমন একটি প্রস্তাব গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি যাতে আর্মেনিয়ার সকল জনগণের স্বার্থের প্রতিফলন ঘটে।’ এএফপি।

ইতিহাসের প্রথম সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে চীন-ভারত-পাকিস্তান

ইতিহাসের প্রথম সামরিক সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে চলেছে চীন, ভারত ও পাকিস্তান। জানা গেছে, আগামী সেপ্টেম্বরে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই বহুদেশীয় সন্ত্রাসবিরোধী মহড়া। আর সেখানেই অংশ নেবে চীন, ভারত ও পাকিস্তানসহ মোট আটটি দেশ।
 
বেইজিংয়ের নেতৃত্বাধীন সাংহাই জোট (এসসিও) এর তত্ত্বাবধানেই ওই যৌথ সামরিক মহড়া হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো)’র পাল্টা হিসেবে এই এসসিও গড়ে তুলেছে চীন।
 
রাশিয়ার উরাল পর্বতমালার কাছে ওই সামরিক মহড়া হবে। এসসিও’র সদস্য সবক’টি দেশ এই মহড়ায় অংশ নেবে। এসসিও গোষ্ঠীর দেশগুলির মধ্যে শান্তিস্থাপন এবং সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতা বাড়ানোই এই মহড়ার লক্ষ্য। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

Saturday, April 28, 2018

ব্রাজিলে দাসপ্রথা নিষিদ্ধ করা হয় ১৮৮৮ সালে ।


৫০০ থেকে ১৮২২ সাল পর্যন্ত ব্রাজিল একটি পর্তুগিজ উপনিবেশ ছিল। ১৮২২ সালে এটি স্বাধীনতা অর্জন করে। দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় অনেক শান্তিপূর্ণভাবে উপনিবেশ থেকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ব্রাজিলের উত্তরণ ঘটে। এসময় দেশে কোন রক্তপাত বা অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটেনি। স্বাধীন হবার পর একজন সম্রাট ব্রাজিল শাসন করতেন। ১৮৮৮ সালে দাসপ্রথা নিষিদ্ধ করা হয়। ১৮৮৯ সালে সামরিক অফিসারেরা রক্তপাতহীন কু-এর মাধ্যমে সম্রাটকে ক্ষমতা থেকে অপসারিত করে ব্রাজিলে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র স্থাপন করেন।
১৯৩০ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলির জমিদারেরা দেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন। সেই বছর ব্রাজিলে আরেকটি অভ্যুত্থান ঘটে যার ফলে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত সামরিক স্বৈরশাসকেরা ব্রাজিল শাসন করেন। ১৯৪৫ সালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৪ সালে অর্থনৈতিক সমস্যা ও রাজনৈতিক টানাপোড়েনের রেশ ধরে আরেকটি সামরিক কু ঘটে। এই সামরিক জান্তাটি ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ব্রাজিল শাসন করে। ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত এই সরকার বিরোধীদের উপর বেশ নিপীড়ন চালায়। ১৯৮০-র দশকের শুরুতে জান্তাটি কঠোরতা হ্রাস করে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে এগোতে থাক।

নেইমারকে নিয়ে সুখবর দিল ব্রাজিল

১৭ মে ট্রেনিংয়ে ফিরবেন ব্রাজিলের ‍সুপারস্টার নেইমার।

ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে লিগ ওয়ানে মার্সেইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে পায়ের চোটের কারণে ছিটকে পড়েন নেইমার। তাকে অস্ত্রোপচারও করাতে হয়। অস্ত্রোপচারের পর এখন ব্রাজিলে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আছেন।

দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠছেন নেইমার। ব্রাজিল ফুটবল দলের ডাক্তার রডডিগো লাসমার ফুটবল প্রেমিদের দিয়েছেন সুখবর। তিনি জানালেন, ১৭ মে ট্রেনিং শুরু করতে পারবেন নেইমার এবং বিশ্বকাপের আগেই পুরোপুরি ফিট হয়ে যাবেন পিএসজির তারকা।



রডডিগো লাসমার গ্লোবোএসপোর্তকে বলেছেন,‘নেইমার বেশ পরিশ্রম করছেন। আমরা আশা করছি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সে ভালো প্রস্তুতি নিতে পারবে। সেরা উপায়ে তাকে সুস্থ করে তোলা হচ্ছে। রিহ্যাবেও সে যথেস্ট সাপোর্ট করছে। আমাদেরকে তার শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে। এই মুহূর্তে শারীরিকভাবে একটু দূর্বল। ট্রেনিংয়ে ফেরার পর এটা ঠিক হয়ে যাবে। ইনজুরি থেকে ফেরার পর প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। নেইমারকেও করা হবে।’

নেইমার ট্রেনিংয়ে নামার একমাস পরই ব্রাজিল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে। ১৮ জুন তাদের প্রথম ম্যাচ সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে। এই গ্রুপে ব্রাজিলের সাথে রয়েছে কোস্টারিকা ও সার্বিয়া।

ব্রাজিল ফুটবল প্রধানকে নিষিদ্ধ করল ফিফা!

দূর্নীতির দায়ে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান মার্কো পোল ডেল নেরোকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সব ধরনের ফুটবলীয় কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রন সংস্থা ফিফা। এক বিবৃবিতে ফিফা জানিয়েছে ঘুষ ও দূর্নীতির একাধিক তথ্য প্রমানিত হওয়ায় ডেল নেরোকে এই শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। একইসাথে তাকে এক মিলিয়ন সুইন ফ্র্যাংক জরিমানাও করা হয়েছে।
জানা গেছে, ফিফার এথিকস কমিটি এই শাস্তির ঘোষণা করেছে। ২০১৫ সালে ফিফার দূর্নীতি বিরোধী যে অভিযান শুরু হয় তারই ধারাবাহিকতায় ডেল নেরোকে শাস্তি প্রদান করা হল। দীর্ঘদিন ধরেই ডেল নেরোর বিপক্ষে দূর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে আসছিল এথিকস কমিটি। বিভিন্ন ফুটবল টুর্নামেন্টে গণমাধ্যম ও মার্কেটিং স্বত্ত নিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওঠে ডেল নেরোর বিপক্ষে।
তদন্তে কোপা আমেরিকা, কনমেবল, কোপা লিবারেটেডরস, কোপা ডো ব্রাসিলসহ বিভিন্ন টুর্নামেন্টে তার দূর্নীতির সংশ্লিষ্টতা প্রমানিত হয়। ডেল নেরোর বিপক্ষে ফিফার শাস্তি তাৎক্ষনিক ভাবেই কার্যকর করা হয়েছে।

ব্রাজিলে চিনি উৎপাদন কমবে ৮ লাখ টন: কোনাব

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাড়তি উৎপাদনের জের ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম কমতির দিকে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে খাতসংশ্লিষ্টদের জন্য সুখবর জানিয়েছে বিশ্বের শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী দেশ ব্রাজিল। চলতি মৌসুমে দেশটিতে খাদ্যপণ্যটির উৎপাদন আগের মৌসুমের তুলনায় ৮ লাখ টনের বেশি কমতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ব্রাজিলের চিনি শিল্প-সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কোনাব এ পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে কোনাবের প্রাক্কলনের সঙ্গে ব্রাজিলে চিনি উৎপাদন বিষয়ে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) পূর্বাভাসে বড় ব্যবধান দেখা গেছে। খবর এগ্রিমানি।
কোনাবের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ মৌসুমে ব্রাজিলে সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৬০ হাজার টন চিনি উৎপাদন হতে পারে, যা আগের মৌসুমের তুলনায় ৮ লাখ ৩০ হাজার টন কম। ২০১৬-১৭ মৌসুমে দেশটিতে মোট ৩ কোটি ৮৬ লাখ ৯০ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছিল।
ব্রাজিলের চিনি উৎপাদনকারী বিভিন্ন অঞ্চলে এবারের মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ার জের ধরে আখের ফলন কমার সম্ভাবনা রয়েছে। কোনাবের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ মৌসুমে দেশটিতে সব মিলিয়ে ৬৩ কোটি ৩০ লাখ টন আখ উৎপাদন হতে পারে, যা আগের মৌসুমের তুলনায় ২ কোটি ৪০ লাখ টন কম। ২০১৬-১৭ মৌসুমে ব্রাজিলে সব মিলিয়ে ৬৫ কোটি ৭০ লাখ টন আখ উৎপাদন হয়েছিল। এবারের মৌসুমে আখ উৎপাদন কমলে ব্রাজিলের চিনি শিল্পে কাঁচামাল সংকট দেখা দিতে পারে। এ আশংকা থেকে দেশটিতে চিনি উৎপাদনের প্রাক্কলন কমানো হয়েছে।
তবে ভিন্ন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ইউএসডিএ। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ মৌসুমে ব্রাজিলে মোট ৩ কোটি ৯১ লাখ ৫০ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছিল, যা আগের মৌসুমের তুলনায় ১২৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেশি। প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় ২০১৭-১৮ মৌসুমে দেশটিতে ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়ে সব মিলিয়ে ৪ কোটি ২ লাখ টন চিনি উৎপাদন হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

জেরুজালেমে ইসরাইলের দূতাবাস উদ্বোধন করবেন ট্রাম্প!


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, অধিকৃত ফিলিস্তিনের বায়তুল মুকাদ্দাস শহরে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস উদ্বোধন করার জন্য তিনি আগামী মাসে ইসরাইল সফর করতে পারেন।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ক্ষোভ উপেক্ষা করেই তিনি বায়তুল মুকাদ্দাস শহরে দূতাবাস উদ্বোধনের কথা বললেন।
গত ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস বায়তুল মুকাদ্দাসে সরিয়ে নেয়ার কথা ঘোষণা করেন।
সে সময় তিনি বায়তুল মুকাদ্দাস শহরকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবেও ঘোষণা করেন।
শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র যে নীতি অনুসরণ করে আসছিল তা থেকে সরে যাওয়ার কারণে ট্রাম্পর মধ্যে কোনো দুঃখ নেই।
জার্মান নেতা অ্যাঙ্গেলা মারকেলের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, আমি ইসরাইল যেতে পারি এবং আমি এর জন্য অনেক গর্বিত।
এর আগে, আরও কয়েকজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তেল আবিব থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস শহরে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার কথা বললেও তা বাস্তবায়ন করেননি।
এ সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, বহু বছর ধরে বহু প্রেসিডেন্ট মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ তা বাস্তবায়ন করেননি। তারা সবাই নির্বাচনী প্রচারণায় এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্তু কেউ তা বাস্তবায়ন করেননি, আমি করেছি। সূত্র: পার্সটুডে।

পেরুতে পাওয়া গেল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘শিশুবলি’র গণকবর

পেরুর উত্তরের উপকূল এলাকায় সাড়ে ৫শ’ বছর আগে বলি বা উৎসর্গ করা শিশুদের বিশাল এক গণকবর খুঁজে পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। ধারণা করা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকারের শিশুবলির ঘটনার নিদর্শন এটি।
 
জানা গেছে, ত্রুজিল্লো’র কাছে দেহাবশেষগুলো আবিষ্কার হয়েছে। এক সময় এই এলাকা প্রাচীন চিমু সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। ওই সময়ে সেখানে ১৪০টিরও বেশি শিশুকে বলি দেয়া হয়। মানবশিশু ছাড়াও তাদের সঙ্গে দুই শতাধিক লামা শাবকের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে সেই গণকবরে। লামাগুলোকে মানবশিশুদের সঙ্গেই উৎসর্গ করা হয়েছিল বলে মনে করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
২০১১ সালে হুয়ানচাকুইতো-লাস লামাস নামে পরিচিত এলাকাটিতে সাড়ে তিন হাজার বছরের পুরনো একটি মন্দির খননকালে প্রথম ৪০ জন মানুষ এবং ৭৪টি লামার দেহাবশেষ খুঁজে পান প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষকরা। এভাবে চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত মোট ১৪০ জন মানুষের মৃতদেহ পাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে খননকাজ ও গবেষণায় নিয়োজিত দলটি।
লাশগুলো ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সের শিশু-কিশোরদের। তবে বেশিরভাগেরই বয়স ৮ থেকে ১২ বছরের মধ্যে বলে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। দেহাবশেষগুলোর হাড় কাটা দেখে গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন যে শিশুগুলো নরবলির শিকার হয়েছে। তাদের স্টার্নামের মাঝেও (পাঁজরের মাঝখানে ওপরের হাড়) কাটা রয়েছে। এমনকি বেশ কিছু মরদেহের পাঁজরের হাড় ভাঙা, যা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের পাঁজর হৃদপিণ্ড বের করে নেয়া হয়েছিল।
বেশ কয়েকটি মৃতদেহে সিঁদুরের মতো উজ্জ্বল লাল রঙের পদার্থের নমুনা পাওয়া গেছে। এগুলো বলি অনুষ্ঠানের অংশ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময়টিতে ‘এল নিনো’র মতো চরম বৈরি আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছিল অঞ্চলটিতে। যার ফলে ভয়াবহ বৃষ্টিপাত ও বন্যা দেখা দিয়েছিল। খননের সময় মাটির এই স্তর পরীক্ষা করে গবেষকরা মনে করছেন, এই তীব্র প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে এত বড় মাপের বলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। 

বিবিসি ও সিএনএন।

কলকাতার ভাগাড়ের মাংস পাচার হচ্ছে বাংলাদেশে

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি চক্র বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেয়া মৃত পশুর মাংস সরবরাহ করতো। এমনকি এর মধ্যে মৃত কুকুর-বেড়ালেরও মাংস ছিল। শুধু কলকাতা নয়, সীমান্ত পেরিয়ে এসব মাংস নাকি পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশেও। 
 
কলকাতার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় ভাগাড়ের মাংস সরবরাহকারী চক্রের কয়েক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে দমদমের আড়াই নম্বর গেটের কাছে একটি ফ্রায়েড চিকেনের দোকানে মাংস দেয়ার সময় এক সরবরাহকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে স্থানীয় মানুষ। 
 
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার হওয়া একজন জানিয়েছে তারা শুধু কলকাতা নয় ওই মাংস প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও নেপালেও পাচার করে থাকে। গ্রেফতার মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, ‘বাংলাদেশের মাংস ব্যবসায়ীদেরও তারা সরবরাহ করে। গরু ও মহিষের মাংসের সঙ্গে চোরাইপথে প্যাকেটে করে ওই মাংস পৌঁছে দেয়। পুলিশ এখন খতিয়ে দেখছে মাংস পাচারকারীদের সঙ্গে জঙ্গি চক্রের কোনো যোগাযোগ আছে কি না। 
 
প্রায় প্রতিদিনই দেশের হোটেল রেস্তোরাঁগুলোয় গরু, খাসির মাংসের নানা পদ খেয়ে থাকেন আপনি। কোথাও কোথাও রাস্তাতেও কম দামে বিক্রি হয় মাংসের নানা মুখরোচক খাবার। সরল বিশ্বাসেই এসব খাবার মুখে তুলছেন হয়তো। কিন্তু এসব মাংসের উৎস নিয়ে হয়তো মাথা ঘামানোর প্রয়োজনই মনে করছেন না। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতার পুলিশ যে খবর শুনিয়েছে, তা জানলে ঘৃণায় বমি আসতে চাইবে নিশ্চিত। সেখানকার একটি চক্র বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁয় নাকি সরবরাহ করতো বিভিন্ন ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেয়া মৃত পশুর মাংস। 
 
জানা গেছে, এই মাংস সাধারণত বাংলাদেশে আসতো প্যাকেটজাত হয়ে টুকরো আকারে। যা গরু ও খাসির মাংসের নামে স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হতো হোটেল, রেস্তোরাঁ ও সুপার সপগুলোয়। ক্রেতারাও অল্প দামে মাংস পেয়ে খুশি হতেন।  কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ভাগাড় থেকে আনা মৃত পশুর মাংস হিমঘরে রাখার খরচ কেজি প্রতি দেড়শো রুপি। সবমিলিয়ে আড়াইশো রুপিতে বাজারে বিক্রি হতো এই মরা পশুর মাংস।  হিমঘরে মরা মশুর মাংসকে বিভিন্ন রাসায়নিকের সাহায্যে প্রক্রিয়াকরণ করা হত। পরে তা প্যাকেটজাত করে চালান করা হতো সস্তার হোটেলে। 
 
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই চক্র ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরেও। বাংলাদেশ ও নেপালে রফতানি করা টাটকা মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হতো এই ভাগাড়ের পচা মাংস। পুরো ব্যবসায় মধ্যস্থতা করত বেশ কয়েকজন। এবার বাংলাদেশে ঠিক কারা ওই চক্রকে সাহায্য করতো তা জানতে চেষ্টা করছে পুলিশ। 
 
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মৃত পশুর এই মাংস খেলে নানা শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি থাকে। পেটের সংক্রমণ থেকে শুরু করে মস্তিষ্কের জটিল সমস্যা, এমনকি শরীর জুড়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে সেপ্টিসিমিয়ার মতো গুরুতর সমস্যার ঝুঁকি থাকে। কারণ এসব মাংসে থাকে সালমোনেল্লা, সিগেলা, ক্লসট্রিডিয়াম, ই-কোলাই, ব্যাসিলাসের মতো ভয়ঙ্কর সব জীবাণু। এছাড়া থাকে টিনিয়াসোলিয়াম নামে এক কৃমির ডিম।

Friday, April 27, 2018

জর্দান নেবে ৮১৩ গার্মেন্টকর্মী


মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। সেখানে নির্মাণ, পর্যটন, তৈরি পোশাক, গৃহকর্ম, সেবাখাতসহ বিভিন্ন সেক্টরে আমাদের প্রচুর জনবল কাজ করছে। তাদের পাঠানো রেমিটেন্সে আমাদের অর্থনীতির ধমনীতে রক্তসঞ্চার হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্দান আরও কর্মী নেবে বাংলাদেশ থেকে। ৮১৩ জন কর্মী নেবে দেশটির সিডনি অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। মহিলা মেশিন অপারেটর পদে এসব জনবল নেয়া হবে। বিমানভাড়াসহ প্রায় সব খরচ দেবে নিয়োগকারী কোম্পানি।
বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) মাধ্যমে সরকারিভাবে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বাছাই প্রক্রিয়া। প্রবাসে গিয়ে জীবনমান উন্নত করার প্রত্যয় থাকলে আপনিও আবেদন করতে পারেন। আজই যোগাযোগ করুন নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
যোগ্যতা
বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, জর্দানে নারী মেশিন অপারেটর পদে কাজে যেতে চাইলে দেশের কোনো কারখানায় একই পদে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
ন্যূনতম পঞ্চম শ্রেণী পাস হতে হবে। ইংরেজিতে লিখতে ও পড়তে জানলে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। প্রার্থীকে বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী হতে হবে। কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকলে অযোগ্যতা হিসেবে ধরা হবে। বিজ্ঞপ্তিটি পাওয়া যাবে www.boesl.org.bd ওয়েবসাইটে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে জনবল বাছাই করা হবে। সাক্ষাৎকারের সময় সঙ্গে রাখতে হবে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের চার কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি, মূল পাসপোর্ট এবং পাসপোর্টের ছবিযুক্ত অংশের এক সেট রঙিন ও চার সেট সাদা-কালো ফটোকপি।
এ ছাড়া বর্তমানে কর্মরত অফিসের পরিচয়পত্র, পরিচয়পত্র না থাকলে হাজিরা কার্ড, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার সনদ (যদি থাকে) সঙ্গে নিতে হবে। নিজের সচল মোবাইল নম্বরসহ পরিবার-পরিজনের আরও দুটি নম্বর বোয়েসেলের ফরমে উল্লেখ করতে হবে।
সাক্ষাৎকার কখন
সরাসরি মেশিন টেস্ট ও সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রার্থী বাছাই করা হবে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে সাক্ষাৎকার ও বাছাইপ্রক্রিয়া। ২৭ এপ্রিলও সাক্ষাৎকার পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। যেকোনো একটি তারিখে সকাল ৭টায় বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, দারুস সালাম, ঢাকা ঠিকানায় হাজির হতে হবে। বাংলাদেশের যেকোনো অঞ্চলের নারীরা এ বাছাইপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন।
পরীক্ষা পদ্ধতি
পরীক্ষার দিন উপস্থিত প্রার্থীদের লাইনে দাঁড়িয়ে সিরিয়াল নম্বর সংগ্রহ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে তাদের একে একে নেয়া হবে মেশিন টেস্ট। সেলাইসহ মেশিনের বিভিন্ন কাজ দেখা হতে পারে। কাজে দক্ষতা দেখাতে পারলে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে।
একই দিনে নেয়া হবে মৌখিক পরীক্ষা। ভাইভায় প্রার্থীর নিজের সম্পর্কে ও কাজের দক্ষতার বিষয়ে জানতে চাওয়া হতে পারে। বিদেশে কাজ করার মানসিকতা আছে কিনা, পরিবারের অনুমতি মিলবে কিনা ইত্যাদি বিষয়েও জানতে চায় নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ।
বাছাইয়ের পর করণীয়
নির্বাচিতদের মেডিকেল টেস্ট করতে হবে। দিতে হবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীরা বোয়েসেল নির্ধারিত মেডিকেলকেন্দ্রে শুক্র ও শনিবার মেডিকেল টেস্ট করাতে পারবেন। মেডিকেল ফি ১০০০ টাকা।
এ সময় লাগবে পাসপোর্টের ফটোকপি ও সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের দুই কপি রঙিন ছবি। ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হবে বোয়েসেল অফিসে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের সময় লাগবে ২২০ টাকা। এ সময় এক কপি রঙিন ছবি, মূল পাসপোর্ট ও পাসপোর্টের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে।
পরবর্তী সব কার্যক্রমের বিষয়ে প্রার্থীর দেয়া মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। বোয়েসেলের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে কোনো সময়ে যোগাযোগ করতে হবে, তা ও জানানো হবে মোবাইলে।
চাকরির শর্ত
চুক্তি অনুসারে দুই বছরের জন্য নেয়া হবে কর্মীদের। চাইলে বাড়ানো যাবে চুক্তির মেয়াদ। একজন কর্মীকে দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করতে হবে। সপ্তাহে এক দিন ছুটি। কর্মী চাইলে অতিরিক্ত সময় কাজ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার মজুরি পাওয়া যাবে।
চাকরিতে যোগদানের সময় বিমানভাড়া এবং দুই বছর চাকরি শেষে দেশে ফিরে আসার বিমানভাড়া দেবে নিয়োগকারী কোম্পানি। নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান কর্মীদের থাকা-খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরিবহন সুবিধা দেবে। বিদেশ যাওয়ার আগে নিজের নামে ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে।
খরচাপাতি
নির্বাচিত প্রার্থীদের বোয়েসেলের সার্ভিস চার্জ, বহির্গমন ট্যাক্স, সার্ভিস চার্জের ১৫ শতাংশ ভ্যাট, রেজিস্ট্রেশন ফি, স্মার্টকার্ড ফি ও ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ ফিসহ প্রায় সব খরচ দেবে নিয়োগকারী কোম্পানি।
মেডিকেল ফির জন্য ১০০০ টাকা, ফিঙ্গারপ্রিন্টের ফি বাবদ ২২০ টাকা এবং অঙ্গীকারনামার স্ট্যাম্প কেনার জন্য ৩০০ টাকা ছাড়া আর কোনো বাড়তি ফি দিতে হবে না প্রার্থীকে।
বেতন-ভাতা
মহিলা মেশিন অপারেটরদের বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৬ হাজার টাকা মাসিক বেতন দেবে সিডনি অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানি লিমিটেড। তবে ওভারটাইমসহ প্রতি মাসে বেতন পড়বে প্রায় ২২ হাজার টাকা।
এ ছাড়া হাজিরাভাতা, টার্গেটভাতা, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, উৎসব বোনাসসহ অন্য সুবিধা দেয়া হবে। জর্দানের ছুটির দিনগুলোতে কাজ করলে পাওয়া যাবে বাড়তি টাকা। বছরে ১৪ দিন নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়া যাবে।
প্রয়োজনে মিলবে ১৫ দিনের চিকিৎসা ছুটিও। দুই বছর পর আবার কাজ করতে চাইলে চুক্তি নবায়ন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে দুই মাসের ছুটি পাওয়া যাবে দেশে আসার জন্য।
যোগাযোগ
বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল), প্রবাসী কল্যাণ ভবন (পঞ্চম তলা), ৭১/৭২, ইস্কাটন গার্ডেন রোড (রমনা থানার পশ্চিম পাশে), রমনা, ঢাকা-১০০০। ফোন : ০২-৯৩৩৬৫০৮, ৯৩৬১৫১৫ ও ৯৩৬১১২৫।
 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates