১০ বছরের কম বয়সী মেয়েদের স্কুলে মাথায় স্কার্ফ পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রস্তাব করেছে অস্ট্রিয়ার নতুন জোট সরকার। অস্ট্রিয়ার শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, নতুন প্রস্তাবিত এই শিশু সুরক্ষা আইন সামনের গ্রীষ্মেই কার্যকর করা হবে এবং ইসলামিক প্রভাব থেকে অস্ট্রিয়ার সংস্কৃতি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক আইন হবে।
অস্ট্রিয়ার প্রধান মুসলিম দল বলছে, এই পরিকল্পনা একেবারেই গঠনমূলক নয়। তারা জানায়, কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিক স্কুলের খুব অল্পসংখ্যক মেয়েই হিজাব পরে। ভাইস চ্যান্সেলর হেইঞ্জ ক্রিশ্চিয়ান স্ট্রাখে এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন- ইসলামিক রাজনীতি থেকে শিশুদের রক্ষার উদ্দেশ্যে এমন প্রস্তাব এনেছে সরকার।
অস্ট্রিয়ায় এর আগে জোট সরকার প্রকাশ্যে নিকাবসহ মুখ ঢেকে রাখার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তবে নারীদের হিজাব পরার ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। গত বছর অস্ট্রিয়ার ভেতরে ইসলাম ভীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভ্যান ডার বেলেন দেশের সব নারীকে মাথায় স্কার্ফ পরে একাত্মতা প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
এদিকে যেসব নারীরা পুরুষের মতো জিন্স ও শার্ট পরেন তারা হিজড়া সন্তানের জন্ম দেন বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের কেরালাম কাসারাগড়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক রজিত কুমার। শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে শ্রেণীকক্ষে তিনি এক মন্তব্য করেন করেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। এমন মন্তব্যের পর বিপুল সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
রজিত কুমার বলেন, যেসব নারী জিন্স, শার্ট ইত্যাদি পুরুষ পোশাক পরেন তারা হিজড়া সন্তান প্রসব করেন। শুধুমাত্র কেরালাতেই তিন লাখেরও বেশি হিজড়া রয়েছে। যেসব দম্পতির জীবনযাপন নারী, পুরুষ বিভাজন মেনে তারাই শুধু ভালো সন্তানের জন্ম দিতে পারে। এছাড়া অসৎ চরিত্রের বাবা মায়ের সন্তান অটিস্টিক বা সেরিব্রাল পালসির মতো অসুখে ভোগে।
No comments:
Post a Comment