সয়াবিন উৎপাদনকারী দেশগুলোর বৈশ্বিক তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। তালিকায় এর পরই রয়েছে ব্রাজিলের নাম। তবে চলতি বছর শেষে তালিকায় পরিবর্তন আসছে। প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে সয়াবিন উৎপাদনকারীদের বৈশ্বিক তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে উঠতে যাচ্ছে ব্রাজিলের নাম। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে। খবর এগ্রিমানি।
ইউএসডিএর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সব মিলিয়ে ১১ কোটি ৯৫ লাখ ১৮ হাজার টন সয়াবিন উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি। দেশটির ইতিহাসে কৃষিপণ্যটির উৎপাদনে এটাই সর্বোচ্চ রেকর্ড। অন্যদিকে একই সময় ব্রাজিলে সয়াবিন উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৭০ লাখ টনে। ব্রাজিলের ইতিহাসেও এটা সয়াবিন উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
চলতি বছর শেষে ব্রাজিলে সয়াবিন উৎপাদনের পরিমাণ ১১ কোটি ৭০ লাখ টনে অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ। অন্যদিকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যটির উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমে ১১ কোটি ৬৪ লাখ ৮৩ হাজার টনে নেমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্য দিয়ে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সয়াবিন উৎপাদনকারী দেশগুলোর বৈশ্বিক তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে ব্রাজিলের শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসার জোরালো সম্ভাবনা দেখছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সয়াবিন আবাদের আওতায় জমির ব্যবহার আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ কমে ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৯৩ হাজার হেক্টরে দাঁড়াতে পারে বলে জানিয়েছে ইউএসডিএ। গত বছর দেশটিতে ৩ কোটি ৬২ লাখ ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদ হয়েছিল। অন্যদিকে চলতি বছর ব্রাজিলে ৩ কোটি ৬৫ লাখ হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদের সম্ভাবনা দেখছে প্রতিষ্ঠানটি, যা আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেশি। মূলত বাড়তি আবাদের জের ধরে বছর শেষে ব্রাজিলের সয়াবিন উৎপাদন খাতে চাঙ্গাভাব বজায় থাকতে পারে বলে জানিয়েছে ইউএসডিএ।
No comments:
Post a Comment