Saturday, July 2, 2016
কার্নিভ্যালের শহর রিও ডি জেনিরো
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ নানাভাবে তাদের আনন্দ-উৎসব উদ্যাপন করে থাকে। বছরের বিভিন্ন সময় পৃথিবীর নানা প্রান্তে কোনো না কোনো উৎসব চলেই। এসব আনন্দ-উৎসবের মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎসবটি বা কার্নিভ্যালটির নাম রিও কার্নিভ্যাল। ব্রাজিল এবং বিভিন্ন ক্যাথলিক দেশের শহর ও গ্রামে এ কার্নিভ্যাল উদ্যাপিত হয়ে থাকে। এর জন্যই ব্রাজিলের শহর রিও ডি জেনিরো সারা পৃথিবীর কাছে কার্নিভ্যালের রাজধানীর খেতাব পেয়েছে। প্রতিবছর প্রায় পাঁচ লাখ পর্যটক এ কার্নিভ্যাল দেখতে ব্রাজিলে ভিড় জমায়। ব্রাজিলের মানুষ এ কার্নিভ্যালের মাধ্যমে মূলত তাদের নাচ ও গানের দক্ষতা সারা পৃথিবীর মানুষের সামনে তুলে ধরে। আর এর জন্য তাদের প্রস্তুতি চলে সারা বছর ধরেই। উৎসবপ্রিয় ব্রাজিলের মানুষ বিশ্বখ্যাত এ কার্নিভ্যালের প্রস্তুতি নেয় মূলত তাদের ঐতিহ্যবাহী সাম্বাকে কেন্দ্র করে। রিও কার্নিভ্যালের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো- এটা শুধু পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে পর্যাপ্ত বিনোদনই দেয় না বরং এটা ব্রাজিলের প্রকৃত সংস্কৃতিকে সারা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরে। চার দিনের এ কার্নিভ্যালটি খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টারের ৪০ দিন আগে উদ্যাপিত হয়ে থাকে। ব্রাজিলের অসহায়, গরিব কৃষ্ণাঙ্গরাই এ কার্নিভ্যালটির সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ত এবং তাদের কাছেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ কার্নিভ্যালটি সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করে। মূলত উৎসব চলাকালে সেখানে ধনী-দরিদ্রের কোনো বৈষম্য থাকে না। ১৮৫০ সালের দিকে পর্তুগিজরা রিওতে এ উৎসবটির ধারণা নিয়ে আসে। এরপর যত দিন যেতে থাকে ব্রাজিলের কৃষ্ণাঙ্গ ক্রীতদাসরা উৎসবটির সঙ্গে তত বেশি সম্পৃক্ত হতে থাকে। একসময় উৎসব চলাকালে সব ক্রীতদাসকে মুক্ত রাখার রেওয়াজ চালু হয়। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে উৎসবটিতে প্রতিযোগিতা সংযুক্ত হয়। এরপর থেকেই এর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে দ্রুতগতিতে। মূলত এভাবেই একটি শহরের কার্নিভ্যাল সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠে। জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সংস্কৃতিমনা প্রত্যেকের কাছে।
Labels:
আন্তর্জাতিক,
ব্রাজিল,
লাতিন আমেরিকা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment