ব্রিটেনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিউ ইকোনমিকস ফাউন্ডেশন শনিবার 'হ্যাপি প্ল্যানেট সূচক' শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেখানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূচকে বাংলাদেশ ৩৮ দশমিক ৪ স্কোর পেয়ে অষ্টম স্থান অর্জন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের পরে রয়েছে- শ্রীলংকা ৩৩ দশমিক ৮ স্কোর নিয়ে ২৮তম, পাকিস্তান ৩১ দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে ৩৬তম এবং ভারত ২৯ দশমিক ২ স্কোর নিয়ে ৫০তম অবস্থানে।
৪৪ দশমিক ৭ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা অঞ্চলের দেশ কোস্টারিকা। আর ১২ দশমিক ৮ স্কোর নিয়ে আফ্রিকার দেশ সাদ রয়েছে সর্বশেষ অবস্থানে।
গবেষণায় বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, গত ২৫ বছরে মানব উন্নয়নে বাংলাদেশ জোরদার উন্নতি করেছে। ২০১৪ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে লোকবল নিয়োগ দিয়ে সারা বিশ্বে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতির মুখে থাকা দেশটির জন্য এটা ছিল আবশ্যিক উদ্যোগ।
জরিপে বলা হয়েছে, জিম্বাবুয়ের চেয়ে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু অন্তত ২০ বছর বেশি। যদিও মাথাপিছু আয় একই। সীমিত সম্পদের মধ্যেও দেশটির অর্জন অনেক।
হ্যাপি প্ল্যানেট সূচক পরিমাপে সবার জন্য টেকসই জীবনযাপন বিবেচনায় নেয়া হয়। এতে বিশ্বকে বলা হয়, দেশগুলো কীভাবে দীর্ঘ, সুখী ও টেকসই জীবন নিশ্চিত করতে পারে।
যেভাবে তৈরি সূচক
জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন ও আয়ু বিবেচনায় নেয়া হয়, এগুলো সমানভাবে সবার জন্য প্রযোজ্য কি না দেখা হয়, এরপর এর ফল প্রতিটি দেশের পরিবেশগত উদ্যোগের সঙ্গে মেলানো হয়।
তালিকার শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে- ১. কোস্টারিকা, ২. মেক্সিকো, ৩. কলম্বিয়া, ৪. ভানুয়াতু, ৫. ভিয়েতনাম, ৬. পানামা, ৭. নিকারাগুয়া, ৮. বাংলাদেশ, ৯. থাইল্যান্ড ও ১০. ইকুয়েডর।
আর তালিকায় সবচেয়ে নিচে থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে- ১৪০. সাদ, ১৩৯. লুক্সেমবার্গ, ১৩৮. টোগো, ১৩৭. বেনিন, ১৩৬. মঙ্গোলিয়া, ১৩৫. আইভরি কোস্ট, ১৩৪, তুর্কমেনিস্তান, ১৩৩. সিয়েরা লিওন, ১৩২. সোয়াজিল্যান্ড ও ১৩১. বুরুন্ডি।
No comments:
Post a Comment