একটা সময় ছিল যখন ব্লাড ক্যান্সার হলে মানুষকে বাঁচানো যায় না। এখন অবশ্য ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা বের হয়েছে। তবে এই চিকিৎসায় ব্লাড ক্যান্সার ভাল হয়েছে এমন তথ্য হাতে গুনা কয়েকটি। তবে চিকিৎসা করিয়ে রোগীকে অনেকদিন বাঁচিয়ে রাখা যায়। কিন্তু এই ধরণের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই জেনে নিন ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রতিরোধের কয়েকটি উপায়-
ব্লাড ক্যান্সারের প্রকারভেদ :-
A. শ্বেতকণিকা থেকে সৃষ্ট ব্লাড ক্যান্সারকে লিউকেমিয়া ব্লাড ক্যন্সার বলে। এই ধরণের ব্লাড ক্যান্সার তিন ধরণের হয়ে থাকে।
১। একিউট মাইলোবস্নাস্টিক লিউকেমিয়া
২। একিউট লিমফোবস্নাস্টিক লিউকেমিয়া
৩। ক্রনিক লিমফোসাইটিক লিউকেমিয়া
১। একিউট মাইলোবস্নাস্টিক লিউকেমিয়া
২। একিউট লিমফোবস্নাস্টিক লিউকেমিয়া
৩। ক্রনিক লিমফোসাইটিক লিউকেমিয়া
B. লসিকা গ্রন্থি থেকে সৃষ্ট এক ধরনের ব্লাড ক্যান্সারকে লিমফোমা বলে। এই ধরণের ব্লাড ক্যান্সার ২ ধরণের হয়ে থাকে।
১। হজকিন ও নন হজকিন লিমফোমা,
২। লিমফোবস্নাস্টিক লিমফোমা ইত্যাদি।
১। হজকিন ও নন হজকিন লিমফোমা,
২। লিমফোবস্নাস্টিক লিমফোমা ইত্যাদি।
C. মাইলোমা ও প্লাজমা সেল লিউকেমিয়া: প্লাজমা সেল থেকে সৃষ্ট বস্নাড ক্যান্সার।
ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ : -
রক্ত কণিকাগুলো সঠিক মাত্রায় উৎপন্ন না হলে রক্তশূন্যতা, রক্তক্ষরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে রোগীর মৃত্যু ঘনিয়ে আসে।
রক্ত কণিকাগুলো সঠিক মাত্রায় উৎপন্ন না হলে রক্তশূন্যতা, রক্তক্ষরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে রোগীর মৃত্যু ঘনিয়ে আসে।
রক্তশূন্যতাজনিত লক্ষণ : -
১। যেমন-অবসাদ ও দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড় ইত্যাদি।
২। শরীরে ইনফেকশনের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। ফলে লাগাতার জ্বর থাকতে পারে।
৩। রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা দেখা দেয়, যেমন নাক, দাঁতের মাড়ি, চোখ ও ত্বকে রক্তক্ষরণ এবং মাসিকের সময় বেশি রক্ত যাওয়া প্রভৃতি হতে পারে।
৪। শরীর বা হাড়ে ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা।
৫। লিভার ও স্পিলিন বড় হয়ে যাওয়া।
৬। গলায়, বগলে বা অন্যত্র লিম্ফনোড বড় হওয়া।
২। শরীরে ইনফেকশনের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। ফলে লাগাতার জ্বর থাকতে পারে।
৩। রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা দেখা দেয়, যেমন নাক, দাঁতের মাড়ি, চোখ ও ত্বকে রক্তক্ষরণ এবং মাসিকের সময় বেশি রক্ত যাওয়া প্রভৃতি হতে পারে।
৪। শরীর বা হাড়ে ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা।
৫। লিভার ও স্পিলিন বড় হয়ে যাওয়া।
৬। গলায়, বগলে বা অন্যত্র লিম্ফনোড বড় হওয়া।
প্রতিরোধের উপায় :
১। যেসব রোগীকে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি একসঙ্গে দেয়া হয় তাদের মধ্যে বস্নাড ক্যান্সারের প্রবণতা প্রায় ২০ গুণ বেড়ে যায়।
২। সকল ধরণের তেজস্ক্রিয়তা পরিহার করতে হবে।
৩। রাসায়নিক দ্রব্যাদির সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে।
৪। এক্স-রে বিভাগে ও নিউক্লিয়ার বিভাগের কাজ করার সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
৫। ধূমপান ও তামাক জর্দা পরিহার করতে হবে।
১। যেসব রোগীকে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি একসঙ্গে দেয়া হয় তাদের মধ্যে বস্নাড ক্যান্সারের প্রবণতা প্রায় ২০ গুণ বেড়ে যায়।
২। সকল ধরণের তেজস্ক্রিয়তা পরিহার করতে হবে।
৩। রাসায়নিক দ্রব্যাদির সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে।
৪। এক্স-রে বিভাগে ও নিউক্লিয়ার বিভাগের কাজ করার সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
৫। ধূমপান ও তামাক জর্দা পরিহার করতে হবে।
ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি :- আমাদের দেশে প্রতিবছর প্রতি লাখে ৪ থেকে ৫ জন বস্ন্যাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। সে হিসাব অনুযায়ী ১৫ কোটি মানুষের মধ্যে প্রতিবছর ৬-৭ হাজার লোক আক্রান্ত হচ্ছেন।
অধিক ঝুঁকির কারণ :-
১। কৃষি কাজে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা।
২। কলকারখানায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা।
৩। পরিবেশ দূষণ।
১। কৃষি কাজে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা।
২। কলকারখানায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা।
৩। পরিবেশ দূষণ।
ব্লাড ক্যান্সার নির্ণয় :-
১। বোনাম্যারো ও ট্রিফাইন বায়োপসি পরীক্ষা: কোমরের হাড় থেকে অস্থিমজ্জা সংগ্রহ করে পরীক্ষা।
২। লিমফোনোড এফএনএসি ও বায়োপসি পরীক্ষা: লসিকা গ্রন্থি থেকে টিস্যু নিয়ে পরীক্ষা।
১। বোনাম্যারো ও ট্রিফাইন বায়োপসি পরীক্ষা: কোমরের হাড় থেকে অস্থিমজ্জা সংগ্রহ করে পরীক্ষা।
২। লিমফোনোড এফএনএসি ও বায়োপসি পরীক্ষা: লসিকা গ্রন্থি থেকে টিস্যু নিয়ে পরীক্ষা।
আধুনিক চিকিৎসা :-
১। কেমোথেরাপি
২। বোনম্যারো ট্রান্সপ্লানটেশন (মেরুমজ্জা প্রতিস্থাপন)
৩। টার্গেট থেরাপি।
৪। ইমিউনো বা বায়োলজিক্যাল থেরাপি।
বি:দ্র: ক্যান্সার হলে কিংবা ক্যান্সারের কোন লক্ষণ দেখা দিলে কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
১। কেমোথেরাপি
২। বোনম্যারো ট্রান্সপ্লানটেশন (মেরুমজ্জা প্রতিস্থাপন)
৩। টার্গেট থেরাপি।
৪। ইমিউনো বা বায়োলজিক্যাল থেরাপি।
বি:দ্র: ক্যান্সার হলে কিংবা ক্যান্সারের কোন লক্ষণ দেখা দিলে কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
No comments:
Post a Comment