গুলশানের রেস্টুরেন্টে জিম্মি ও নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের শিকার নিজ দেশের নাগরিকদের মরদেহ নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কয়েকটি দেশ। এই পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে জাপান, ইতালি ও ভারতের নাগরিক রয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এখনো নিহতদের পরিচয় ও সংখ্যা আনুষ্ঠানিকভাবে কর্তৃপক্ষ জানায়নি। এই তিন দেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়েছে।
ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রী পাওলো গেন্তিলোনি শনিবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। মাহমুদ আলী হতাহতদের পরিচয় ও নাগরিকত্ব সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া মাত্রই ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো গেন্তিলোনি বলেছেন, ঢাকায় রেস্টুরেন্টে হামলায় নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯ জন ইতালীয় নাগরিক বলে শনাক্ত হয়েছে। পুরো তথ্য পাওয়ার পর ইতালির সরকার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশে বিশেষ বিমান পাঠাবে।
এদিকে, জাপান সরকার প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে হামলায় নিহতদের মধ্যে ছয় থেকে সাত জন জাপানি নাগরিক রয়েছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাপান সরকার একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে ভারতের একজন তরুণী তারুশি জেইন হামলায় নিহত হয়েছেন। তার পরিবার দ্রুত বাংলাদেশে আসছে। ইতিমধ্যে নয়াদিল্লি, টোকিও রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসাসহ প্রয়োজনীয় কাজ সহযোগিতা করতে নির্দেশ দিয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক মিয়ানমার সফর সংক্ষিপ্ত করে শনিবারই ঢাকায় ফিরেছেন।
No comments:
Post a Comment