ঘূর্ণিঝড় নিদার আঘাতে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্বের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র হংকং। মঙ্গলবার ভোরে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়টির কারণে চীনের এই বিশেষ এলাকাটির প্রায় সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। নিচু এলাকাগুলোতে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
চলতি বছরে হংকংয়ে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এটি। ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটারের চেয়েও বেশি বেগের ঝড়ো বাতাস নিয়ে বয়ে চলা ঘূর্ণিঝড়টির কারণে ভোরে হংকং জুড়ে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৫০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ক্যাথে প্যাসিফিক ও ড্রাগনএয়ার অন্তত দুপুর ২টা (স্থানীয় সময়) পর্যন্ত তাদের সব ফ্লাইট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। প্রায় ৩২৫টি ফ্লাইটের সময়সূচী পুনরায় র্নিধারণ করতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব কারণে কয়েকশত যাত্রী বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন। ফেরি, ট্রাম, ট্রেন ও বাস সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে।
সোমবার ৮ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দেয়ার পরপরই লোকজন কর্মক্ষেত্র ছেড়ে দ্রুত বাসায় ফিরতে শুরু করে। সন্ধ্যার মধ্যেই অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় ও রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে পড়ে।
হংকং অবজারভেটরি জানিয়েছে, নিদা আস্তে আস্তে চীনের মূলভূখণ্ডের গুয়াংডংয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তবে ঘূণিঝড়টির কেন্দ্রের বাতাস দুর্বল হয়ে পড়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে হংকং স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ক্লিয়ারিং লিমিটেড (এইচকেইএক্স) তাদের সিকিউরিটি মার্কেটে সকালের লেনদেন দেরিতে শুরু হবে বলে ঘোষণা করেছে। পরে সকালের লেনদেন স্থগিত করে দুপুর পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্কেত ৮ মাত্রায় অপরিবর্তিত থাকলে সারাদিন লেনদেন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে।
নিদার কারণে গুয়াংডং প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অফিস, কলকারখানা এবং স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই এলাকার শেনঝেন ও ঝুহাই বিমানবন্দরসহ বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রদেশটির দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি এলাকা থেকে ৩৫ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিডি নিউজ।
No comments:
Post a Comment