ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় মধ্যপন্থী ইমানুয়েল ম্যাক্রনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জ্যঁ ক্লদ ইয়োঙ্কারসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা।
ভোট গ্রহণের আগে ইউরোপন্থী নেতা ম্যাক্রন বা কট্টর জাতীয়তাবাদী নেতা মেরিনা লি পেন এ দু’জনের কাউকেই সমর্থন না করলেও, এক টুইটবার্তায় ম্যাক্রনকে অভিনন্দন জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তার সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।’
হোয়াইট হাউস রোববার ম্যাক্রন এবং ফ্রান্সের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করে। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পল রায়ানও টুইটার বার্তায় ম্যাক্রনকে অভিনন্দন জানান।
থেরেসা মে এক টুইটবার্তায় লিখেছেন, ‘নির্বাচনে সাফল্যের জন্য ইমানুয়েল ম্যাক্রনকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাই। ফ্রান্স আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র। তার সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করতে চাই আমরা।’
ম্যাক্রনকে চীনা প্রেসিডেন্টও শি জিনপিং অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘আশা করছি, বৈশ্বিক শান্তি ও অগ্রগতির জন্য দায়িত্বশীল পদক্ষেপ রাখবেন ম্যাক্রন।’
ফ্রান্সের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদও ম্যাক্রনকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধের পক্ষে আমাদের নাগরিকরা ঐক্যবদ্ধ। তাদের বেশির ভাগই এর পক্ষে রায় দিয়েছেন।’
এছাড়া হিলারি ক্লিনটন ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও ম্যাক্রণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রোববার ফ্রান্সে দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এন মার্শ (অন দ্য মুভ) আন্দোলনের নেতা ইমানুয়েল ম্যাক্রন ৬৬.০৬ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। শতভাগ ভোট গণনার পর সোমবার ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একথা জানায়। দেশটিতে এ নির্বাচনে মোট দুই কোটি সাত লাখ ভোটার সাবেক অর্থমন্ত্রী ম্যাক্রনকে তাদের সমর্থন জানান।
মন্ত্রণালয় জানায়, ম্যাক্রনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতা মেরিনা লি পেন ৩৩.৯৪ শতাংশ ভোট পান। নির্বাচনে মোট এক কোটি ছয় লাখ ভোটার কট্টর জাতীয়তাবাদী এ নেতাকে তাদের সমর্থন জানান। নির্বাচনে মোট ৭৪.৬২ শতাংশ ভোট পড়ে। এদিকে ৬.৩৩ শতাংশ ভোটার এ দুই প্রার্থীর কাউকে ভোট না দিয়ে সাদা ব্যালট জমা দেন। আবার ২.২৪ শতাংশ ব্যালট বাতিল করা হয়। আগামী সপ্তাহে নতুন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। এএফপি।
No comments:
Post a Comment