বাংলাদেশে একটি কনসার্ট করতে এসে ঢাকার শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে দশ ঘন্টা আটকে পড়েছিল ব্রাজিলের দুই রক ব্যান্ড ক্রিসিউন এবং নার্ভোকেয়স। এরপর অনুষ্ঠান না করেই ফিরে গেছে তারা।
গত ৮ই মে ঢাকার টিসিবি ভবনে 'দ্য মেটাল মর্গ' শিরোনামে তাদের শো করার কথা ছিল। তবে এই অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের অনুমতি না মেলায় তাদেরকে প্রায় দশ ঘন্টার মত এয়ারপোর্টে আটকে থাকতে হয়। তবে এসবির পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোন কারণ দেখানো হয়নি বলে জানান আয়োজক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান।
তবে এই দুটো ব্যান্ডের সদস্যরা এসে এয়ারপোর্টে দীর্ঘ সময় আটকে থাকার ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করা হলে, এ নিয়ে ভক্তদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। বিদেশি শিল্পীদের গ্রেপ্তার করা হয়- এমন খবরও সামাজিক মাধ্যমে ঘুরতে থাকে।
বেসরকারি একটি রেডিও স্টেশনের সঙ্গে পার্টনারশিপে এই প্রোগ্রামের উদ্যোক্তা র্যাপটর এন্টারটেইনমেন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান রাফিউদ্দীন খান রুশো বলেছেন, গ্রেপ্তার নয়, তাদের ডিটেইন (জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক) করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, "এটা দু:খজনক যে অনুমতি না থাকায় আমাদের শেষমুহূর্তে অনুষ্ঠানটি বাতিল করতে হয়েছে। অনুষ্ঠান হওয়ার কথা যেখানে ৯ই মে মঙ্গলবার, সেখানে সোমবারও অনুমতি না মেলায় আমাদের অনুষ্টান বাতিলের ঘোষণা দিতে হয়। কিন্তু শিল্পীরা নির্ধারিত সময়মতোই এয়ারপোর্টে পৌঁছে যান ৯ তারিখ রাত একটার পর। তখন তাদের ইমিগ্রেশনে আটকে দেয়া হয়। নয়জন শিল্পীর পাসপোর্টেও তারা নিয়ে যায়"।
"এসবির পক্ষ থেকে আমাদের ভ্যালিড কারণ বলা হয়নি, পরবর্তী ডেটের(তারিখের) জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে"।
ক্রিসিউন এবং নার্ভোকেয়স বিভিন্ন দেশে সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এসেছিল শো করতে। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে শোয়ের অনুমতি পাওয়া যায় বলে জানান র্যাপটরের কর্মকর্তারা। তবে অনুষ্ঠানটি আর করা সম্ভব হয়নি। বেশকিছু শর্তে অঙ্গীকারনামা দেয়ার পর ব্রাজিলের ব্যান্ডের শিল্পীদের ইমিগ্রেশন থেকে মুক্তি মেলে।
শর্তে কী ছিল জানতে চাইলে মি খান বলেন, নির্দিষ্ট আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি দর্শক থাকতে পারবে না এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতে পারে এমন কোনও পরিবেশনা করা যাবে না।
বুধবার সকালে ফেরত যায় ক্রিসিউন এবং নার্ভোকেয়স ব্যান্ডের সদস্যরা।
বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই দুই ব্যান্ড দলের সদস্যদের ঢাকায় অনুষ্ঠান করার জন্য 'সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স' ছিল না। এছাড়া তাদের এখানে এসে অনুষ্ঠান করতে যে ক্যাটাগরির ভিসা দরকার, সেটাও ছিল না। ব্যান্ড দল দুটিকে দশ ঘন্টা নয়, অল্প কিছুক্ষণের জন্য আটকে রাখা হয় বলেও দাবি করেন তিনি।
No comments:
Post a Comment