উচ্চশিক্ষায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছুঁটছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। ইউরোপ, অষ্ট্রেলিয়া এবং কানাডা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের মত শীর্ষসব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তবে আবাসন, যাতায়াত এবং ভিসাগত জটিলতায় অন্যসব দেশের থেকে কিছুটা পিছ পা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাংলাদেশিদের অবস্থান। তবে চলতি অর্থবছরে সেইসব সংকট ও সংর্কীণতা কাটিয়ে শীর্ষ পঁচিশে স্থান দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী পাঠানোয় তালিকায় শীর্ষ পঁচিশটি দেশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। বিগত পাঁচ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ৫৩.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৭ সালের ‘ওপেন ডোর রিপোর্ট’, ‘ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনাল এক্সচেঞ্জ’ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়া বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ৯.৭ শতাংশ, যা আন্তর্জাতিক গড় ৩.৪ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে এডুকেশন ইউএসএ বাংলাদেশ দেশজুড়ে ১৩ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিক প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৭ তে প্রায় ত্রিশটি কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা, বাংলাদেশে শিক্ষক এবং কাউন্সেলর নেটওয়ার্ক দৃঢ় করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামগুলোর প্রসার করবে।
২০১৬-১৭ তে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দশ লাখেরও বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি করেছে, যা রেকর্ড দশ লাখ আশি হাজার সংখ্যায় পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্র উচ্চশিক্ষার্থে মোট আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ক্রমাগত বিস্তার টানা এগারো বছরের মতো অব্যাহত রয়েছে।
তবে সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির কবলে পড়ে কিছু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ভোগান্তি পোহাতে হলেও তার প্রভাব চলতি শিক্ষাবর্ষে পড়েনি বলে এ পরিসংখ্যনে তাই বলছে। যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী প্রবেশে অন্যসব দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে কিছুটা পদ্ধতিগত পার্থক্য রয়েছে। তাছাড়া প্রতিবছর ঠিক কোন সময়ে দেশটির কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্কলার জন্য আহবান করে তা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটু খুঁজে বের করা কঠিন।
তবে সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির কবলে পড়ে কিছু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ভোগান্তি পোহাতে হলেও তার প্রভাব চলতি শিক্ষাবর্ষে পড়েনি বলে এ পরিসংখ্যনে তাই বলছে। যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী প্রবেশে অন্যসব দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে কিছুটা পদ্ধতিগত পার্থক্য রয়েছে। তাছাড়া প্রতিবছর ঠিক কোন সময়ে দেশটির কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্কলার জন্য আহবান করে তা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটু খুঁজে বের করা কঠিন।
যেখাবে তথ্য পাওয়া যেতে পারে:
বাংলাদেশে, এডুকেশন ইউএসএ-এর পরামর্শ সেবা এবং রেফারেন্স বিষয়াদি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়, তার মধ্যে ঢাকার বারিধারায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের আমেরিকান সেন্টার, ধানমন্ডিতে এডওয়ার্ড এম. কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিসেস এন্ড দ্য আর্টস এবং চট্টগ্রামে আমেরিকান কর্নার, যেখানে প্রশিক্ষিত উপদেষ্টারা ইনফরমেশন সেশন পরিচালনা করে থাকেন এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাউন্সেলিং সেবা দিয়ে থাকেন। এডুকেশন ইউএসএ-এর রেফারেন্স লাইব্রেরি এবং স্থানীয়ভাবে পরামর্শ সেবা সিলেট, খুলনা এবং রাজশাহীর আমেরিকান কর্নারগুলোতে পাওয়া যায়।
এডুকেশন ইউএসএ এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৭ সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের আরও তথ্যের জন্য ভিজিট করতে পারেন https://www.facebook.com/EdUSABangladesh এই ঠিকানায়। তবে দেশটির সরকারের দেওয়া অভিবাসন নীতির কড়াকড়ি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শর্ত আরোপ না করে তাহলে আগামী বছরে এ ফলাফল আরও ভালো কিছু ইঙ্গিত দিবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের বিভিন্ন পরামর্শ প্রতিষ্ঠান। সেই সাথে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন উচ্চতর গবেষণা ও পড়াশুনায় অনেক বেশি আগ্রহী হবে।
No comments:
Post a Comment