বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
বুধবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এর আগে বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে আসেন ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেয়া, না নেয়ার বিষয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে একজন জানতে চেয়েছিলেন। সিইসি তাদের বলেছেন, এটি আদালতের বিষয়।আদালত যদি অনুমতি দেন তাহলে ইসির কিছু করার নেই। আর না করলেও ইসির কোনো ভূমিকা থাকবে না। কমিশন সংবিধান ও আইন অনুযায়ী সবকিছু করবে।
সিইসির সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পার্লামেন্টারি প্রতিনিধিদলটি জেন লিমবাটর্টের নেতৃত্বে অংশ নিয়েছিল।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকের ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, তারা আগামী সংসদ এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। সিইসি তাদের বলেছেন, রাষ্ট্রপতি পদে সংসদ সদস্যরা ভোট দেন। এবার যেহেতু একজন প্রার্থী ছিলেন। তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। বর্তমানে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলায় কারও ন্যূনতম দুই বছর কারাদণ্ড হলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন। সেক্ষেত্রে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ড হওয়ায় তিনিও অযোগ্য। তবে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে এবং উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ রয়েছে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর।
No comments:
Post a Comment