সন্দেহজনক লেনদেন, অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির শীর্ষ ৮ নেতাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কাছে তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা সামসুল আলম।
তিনি সংবাদিকদের বলেন, আমরা ব্যাংকগুলোর কাছে তাদের বিভিন্ন সময়ের লেনদেনের স্টেটমেন্ট চেয়েছি।
গত সোমবার বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে ১২৫ কোটি টাকার 'সন্দেহজনক' লেনদেনের অভিযোগ করে দুদক।
অভিযুক্ত নেতারা হলেন- ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলামখান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ও তার ছেলে তাবিথ আউয়াল, এম মোর্শেদ খান ও তার ছেলে ফয়সাল মোর্শেদ খান, হাবিবুন্নবী খান সোহেল।
এছাড়া অনুসন্ধানের এই তালিকায় ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের নামও রয়েছে।
বিএনপির এই নেতাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে কমিশন থেকে সোমবার দুদকের উপপরিচালক মো. সামসুল আলমকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়।
ইতিমধ্যে দুদকের এই তদন্ত নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
বিএনপি নেতাদেরঅভিযোগ, নির্বাচনের বছর ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানির লক্ষ্যে’ দুদককে দিয়ে এই কাজ করাচ্ছে সরকার।
আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সেই অভিযোগ নাকচ করে বলছেন, দুদকের কাজে সরকারের কোনো ‘হস্তক্ষেপ নেই’
অনুসন্ধানের জন্য দুদক উপপরিচালক মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বে দুই সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। দলের অন্য সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন।
দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, বিএনপির ওই নেতারা এইচএসবিসি ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আরব বাংলাদেশ ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংকসহ বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিদেশে টাকা পাচারসহ বিভিন্ন নাশকতায় অর্থ লেনদেন করে যাচ্ছেন বলে একটি অভিযোগ দুদকে আসে।
No comments:
Post a Comment