পরকীয়ার কারণে রংপুর স্পেশাল জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক রথীশ চন্দ্র ভৌমিককে হত্যা করা হয়।
আর এই হত্যার পরিকল্পনা করা হয় দুই মাস আগে। ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যা করেন স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার ভৌমিক ও তাঁর প্রেমিক কামরুল ইসলাম।
আর এই হত্যার পরিকল্পনা করা হয় দুই মাস আগে। ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যা করেন স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার ভৌমিক ও তাঁর প্রেমিক কামরুল ইসলাম।
দুজনই রংপুরের তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। রথীশকে হত্যার পর মাটিচাপা দিতে দুই ছাত্রকেও ব্যবহার করেন তাঁরা।
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ আজ বুধবার রংপুরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
পাঁচদিন নিখোঁজ থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে রথীশ চন্দ্র ভৌমিক ওরফে বাবুসোনার লাশ উদ্ধার করেন র্যাব-১৩ সদস্যরা।
এর আগে রথীশের স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার ভৌমিক ও মেয়ে অদিতি ভৌমিককে আটক করে র্যাব। স্নিগ্ধাকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি পরকীয়ার কারণে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এরপর তাঁর দেওয়া তথ্যানুযায়ী র্যাব উদ্ধার অভিযান চালায়। রাত ১১টার দিকে রথীশের বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে তাজহাট মোল্লাপাড়া জামে মসজিদের কাছে স্নিগ্ধার প্রেমিক কামরুল ইসলামের ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির একটি ঘরের মেঝে খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করেন র্যাব সদস্যরা। পরে রথীশের ভাই সুশান্ত কুমার ভৌমিক গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
র্যাবের ডিজির আজ প্রেস ব্রিফিং করে জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রথীশকে ভাত ও দুধের সঙ্গে ১০টি ঘুমের বড়ি খাওয়ানো হয়। ঘুমের বড়ি খাওয়ানোর পর অচেতন হয়ে গেলে তাঁর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন স্নিগ্ধা ও কামরুল। হত্যার পর রাতে মৃতদেহ শোয়ার ঘরেই রেখে দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষক কামরুল পরদিন শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে রথীশের বাড়ি থেকে বের হন। সকাল ৯টার দিকে তিনি একটি ভ্যান নিয়ে আসেন। একটি আলমারি পরিবর্তনের নাম করে সেই আলমারিতে রথীশের লাশ ভরে তাঁদের বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে শহরের তাজহাট মোল্লাপাড়া এলাকায় কামরুলের ভাইয়ের নির্মাণাধীন একটি বাড়ির ঘরের বালু খুঁড়ে পুঁতে রাখেন। লাশ চাপা দিতে কামরুল তাঁর সঙ্গে দুজন ছাত্রকে ব্যবহার করেন।
র্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আমি বলব যে, পারিবারিক অশান্তি, বিদ্বেষ, দ্বন্দ্ব, অবিশ্বাস, এই থেকেই মূলত। তার সঙ্গে রয়েছে পরকীয়া, এ থেকেই অবিশ্বাসের সূত্রপাত আর কি, তো এগুলোই মূলত প্রাথমিকভাবে এই হত্যার কারণ। এবং তাঁর (রথীশ চন্দ্র ভৌমিক) স্ত্রী আমাদের যেভাবে বলেছে, প্রায় দুই মাস আগেই তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তাঁর স্ত্রী ও কামরুল মাস্টার গর্তের মধ্যে চাপা দিয়ে সেটা সমান করেছিল। এখন আমরা আরো খোঁজ নিব, আরো কেউ ছিল কিনা।’
রথীশ চন্দ্র ভৌমিক রংপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ছিলেন।
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ আজ বুধবার রংপুরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
পাঁচদিন নিখোঁজ থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে রথীশ চন্দ্র ভৌমিক ওরফে বাবুসোনার লাশ উদ্ধার করেন র্যাব-১৩ সদস্যরা।
এর আগে রথীশের স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার ভৌমিক ও মেয়ে অদিতি ভৌমিককে আটক করে র্যাব। স্নিগ্ধাকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি পরকীয়ার কারণে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এরপর তাঁর দেওয়া তথ্যানুযায়ী র্যাব উদ্ধার অভিযান চালায়। রাত ১১টার দিকে রথীশের বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে তাজহাট মোল্লাপাড়া জামে মসজিদের কাছে স্নিগ্ধার প্রেমিক কামরুল ইসলামের ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির একটি ঘরের মেঝে খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করেন র্যাব সদস্যরা। পরে রথীশের ভাই সুশান্ত কুমার ভৌমিক গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
র্যাবের ডিজির আজ প্রেস ব্রিফিং করে জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রথীশকে ভাত ও দুধের সঙ্গে ১০টি ঘুমের বড়ি খাওয়ানো হয়। ঘুমের বড়ি খাওয়ানোর পর অচেতন হয়ে গেলে তাঁর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন স্নিগ্ধা ও কামরুল। হত্যার পর রাতে মৃতদেহ শোয়ার ঘরেই রেখে দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষক কামরুল পরদিন শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে রথীশের বাড়ি থেকে বের হন। সকাল ৯টার দিকে তিনি একটি ভ্যান নিয়ে আসেন। একটি আলমারি পরিবর্তনের নাম করে সেই আলমারিতে রথীশের লাশ ভরে তাঁদের বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে শহরের তাজহাট মোল্লাপাড়া এলাকায় কামরুলের ভাইয়ের নির্মাণাধীন একটি বাড়ির ঘরের বালু খুঁড়ে পুঁতে রাখেন। লাশ চাপা দিতে কামরুল তাঁর সঙ্গে দুজন ছাত্রকে ব্যবহার করেন।
র্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আমি বলব যে, পারিবারিক অশান্তি, বিদ্বেষ, দ্বন্দ্ব, অবিশ্বাস, এই থেকেই মূলত। তার সঙ্গে রয়েছে পরকীয়া, এ থেকেই অবিশ্বাসের সূত্রপাত আর কি, তো এগুলোই মূলত প্রাথমিকভাবে এই হত্যার কারণ। এবং তাঁর (রথীশ চন্দ্র ভৌমিক) স্ত্রী আমাদের যেভাবে বলেছে, প্রায় দুই মাস আগেই তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তাঁর স্ত্রী ও কামরুল মাস্টার গর্তের মধ্যে চাপা দিয়ে সেটা সমান করেছিল। এখন আমরা আরো খোঁজ নিব, আরো কেউ ছিল কিনা।’
রথীশ চন্দ্র ভৌমিক রংপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ছিলেন।
No comments:
Post a Comment