ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর কট্টর বিরোধীরা আগামী মে মাসে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে স্বীকৃতি না দিতে ফ্রান্স ও ইউরোপের অন্য দেশগুলোর প্রতি মঙ্গলবার আহবান জানিয়ে বলেছে, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা আরো পাকাপোক্ত করতেই এ নির্বাচন করা হচ্ছে। এটি বড় লজ্জার। খবর এএফপি’র।
দেশটিতে মাসের পর মাস ধরে চরম রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এদিকে মাদুরো ভেনিজুয়েলার অনেক আইন পরিবর্তন করায় দেশটির প্রধান বিরোধী জোটকে নির্বাচনের বাইরে থাকতে হচ্ছে। কেননা, নির্বাচনে প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে এ জোটের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ইউরোপ সফরের শুরুতে কারাকাসের নির্বাসিত মেয়র এন্টোনিও লাদেজমা বলেন, ‘স্বৈরশাসকের হাত থেকে ভেনিজুয়েলাকে মুক্ত করতে চাপ বৃদ্ধির জন্য আমরা ফরাসি সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘দেশটিতে চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। চরম আর্থিক সংকটের কারণে লোকজনকে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে এবং তারা প্রয়োজনীয় ঔষধও পাচ্ছে না।’
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়ান ইয়েভ লি ড্রিয়ান বলেন, ফ্রান্স ভেনিজুয়েলায় ‘নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন দেখতে চায়।’ আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ ফুরির সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার তিনি একথা বলেন। লাদেজমা ও ভেনিজুয়েলার অন্য আইনপ্রণেতারা ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের উপদেষ্টাদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যাচ্ছেন। ম্যাক্রন গত জানুয়ারিতে বলেছিলেন যে তিনি আশা করছেন বিভিন্ন দেশ মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অবরোধ আরোপ করবে।
কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সত্ত্বেও মাদুরোর আলোচনায় বসার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। বরং তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্যে মে মাসের নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। এ নির্বাচন বয়কট করা বিরোধী গ্রুপ বলছে, নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র মাদুরো ও তার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এছাড়া ওয়াশিংটন মাদুরোকে একজন ‘স্বৈরশাসক’ হিসেবে অভিহিত করেছে। এএফপি।
No comments:
Post a Comment