বিভিন্ন দেশে ভিসা প্রক্রিয়া জটিলতা হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে মানবপাচার অনেকটাই বন্ধ ছিলো। কিন্তু বর্তমানে বেশকিছু দেশে বাংলাদেশিদের যেতে ভিসার প্রয়োজন না হওয়ায় এই দেশগুলোকে মানবপাচারের নতুন রুট হিসেবে বেছে নিচ্ছে মানবপাচারকারীরা। তারা মানবপাচারে সবচেয়ে সহজ পথ হিসেবে বেছে নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়াকে। এই দেশটিতে ভিসা ছাড়া যাওয়ার সুযোগ থাকায় বিদেশে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মানবপাচারকারীদের প্রথমে ঢাকা থেকে বালি বা জাকার্তায় নিয়ে যায়। এরপর সুযোগমতো নৌকাযোগে জাভা সাগর পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া বা অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর চেষ্টা করে। এনিয়ে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। সর্বশেষ মালয়েশিয়াতে ১৭২ জন বাংলাদেশি গ্রেপ্তারের পর নতুন রুট সম্পর্কে জানতে পেরেছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাসের কর্মকর্তারা ইন্দোনেশিয়া হয়ে মালয়েশিয়াতে মানবপাচারের নতুন রুট সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়া সরকার একাধিক অভিযান এবং সমুদ্রপথে টহল জোরদারের পর মানবপাচারের রুট পরিবর্তন করেছে পাচারকারী চক্র। পোর্ট এন্ট্রি (বন্দরে প্রবেশের পর) ভিসার সুযোগ নিয়ে এই চক্র প্রথমে মানবপাচার করছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও বালিতে। পরে জাভা সাগর পাড়ি দিয়ে প্রথমে মালয়েশিয়ায় পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। সুযোগ পেলে অস্ট্রেলেশিয়ায় (অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নিউ গিনি ও তৎসংলগ্ন কিছু প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ) পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালের মে মাসে বাংলাদেশি পর্যটকদের বিনা ভিসায় ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণের সুবিধা দেয়া হয়। এ সময় বলা হয়, ৩০ দিন অবস্থানের জন্য বাংলাদেশিদের ইন্দোনেশিয়ার বিমানবন্দরে ৩০ ডলার পরিশোধ করতে হবে। সঙ্গে হোটেল বুকিং, ফিরতি বিমান টিকিট ও আর্থিক সচ্ছলতার কাগজপত্র থাকতে হবে। বালি ও জাকার্তা বিমানবন্দর দিয়ে ভিসা ছাড়া প্রবেশের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এ কারণে সহজেই ইন্দোনেশিয়া প্রবেশে বেগ পেতে হচ্ছে না আদম পাচারকারী চক্রের। এর ষোলআনা সুযোগ নিচ্ছে চক্রটি।
No comments:
Post a Comment