সরকার বিদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পদে বড় ধরনের নিয়োগ ও রদবদল করেছে। বৈদেশিক সম্পর্কে গতি আনার লক্ষ্যে এ রদবদল করা হয়েছে বলে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এবার একযোগে অন্তত ছয় রাষ্ট্রদূতকে নিয়োগ ও বদলি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক আবিদা ইসলামকে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বর্তমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমানকে ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পদে বদলি করা হয়েছে।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজারুল কায়েস ইন্তেকাল করায় সেখানে রাষ্ট্রদূত পদটি শূন্য হয়েছিল। ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সেখ সেকান্দার আলীকে লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পদে বদলি করা হয়েছে। লিবিয়ায় রাষ্ট্রদূত পদটি দীর্ঘদিন ধরেই শূন্য আছে। সেখানে গৃহযুদ্ধ চলতে থাকায় কেউ সেখানে রাষ্ট্রদূত পদে যোগ দিতে আগ্রহী নন। সেখ সেকান্দারকে লিবিয়ায় নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে প্রমাণ হল যে, তিনি উচ্চপর্যায়ের নেক নজরে নেই।
সুইডেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম সারওয়ারকে ওমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পদে বদলি করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রশাসন অনুবিভাগের মহাপরিচালক নাজমুল ইসলামকে সুইডেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করা হয়েছে। ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ পেয়েছেন ভারতের মুম্বাইয়ে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার সামিনা নাজ।
সম্প্রতি দিল্লিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরীকে বেইজিংয়ে বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ দেয়া হয়। কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার জকি আহাদকে কুনমিংয়ে কনসাল জেনারেল পদে বদলি করা হয়। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের মিনিস্টার পদে নিযুক্ত তৌফিক আলমকে কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনার পদে বদলি করা হয়েছে। তবে জকি আহাদ ছেলেমেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি থাকায় আরও এক বছর কলকাতায় নিযুক্ত রাখার আবেদন করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার আবেদন সক্রিয় বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে।
No comments:
Post a Comment