ঢাকা থেকে আমাদের প্রতিনিধি --- নুর হুসাইন-----------
বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম দিন আজ। শুধু জন্ম দিন নয়, এই একই দিনে সিদ্ধিলাভ আর মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন তিনি। আজ শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম উত্সব। বৈশাখের পূর্ণিমা তিথিতে এই পুণ্যোত্সবে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা স্নান করেন, শুচিবস্ত্র পরিধান করে মন্দিরে মন্দিরে বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকেন। অর্চনার পাশাপাশি তারা পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা করেন।
পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় বোধি বৃক্ষতলে জগত্ আলোকিত করে মানবমুক্তির পথ বের করেন মহামতি গৌতম। লাভ করেন বুদ্ধত্ব। কপিলাবস্তু থেকে শ্রাবস্তী, বৈশালী, চুনার, কৌশাম্বী, কনৌজ, মথুরা, আলবী (বর্তমান নেপাল, ভারত, ভুটান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান) প্রভৃতি বহু জায়গায় তিনি ৪৫ বছর ধর্মপ্রচার করেন। জীবনের শেষ অধ্যায়ে তিনি রাজগৃহ থেকে কুশীনগর গমন করেন। কুশীনগরের কাছে পাবা নগরে উপস্থিত হয়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি মল্লদের শালবনে শালগাছের নিচে শয়ন করেন।
পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় বোধি বৃক্ষতলে জগত্ আলোকিত করে মানবমুক্তির পথ বের করেন মহামতি গৌতম। লাভ করেন বুদ্ধত্ব। কপিলাবস্তু থেকে শ্রাবস্তী, বৈশালী, চুনার, কৌশাম্বী, কনৌজ, মথুরা, আলবী (বর্তমান নেপাল, ভারত, ভুটান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান) প্রভৃতি বহু জায়গায় তিনি ৪৫ বছর ধর্মপ্রচার করেন। জীবনের শেষ অধ্যায়ে তিনি রাজগৃহ থেকে কুশীনগর গমন করেন। কুশীনগরের কাছে পাবা নগরে উপস্থিত হয়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি মল্লদের শালবনে শালগাছের নিচে শয়ন করেন।
তখন আকাশে বৈশাখী পূর্ণিমার চাঁদ উঠেছে। আলোয় চারদিক উদ্ভাসিত। অনন্ত আকাশের তলে যুগ্ম শালবৃক্ষের নিচে সমবেত শিষ্যগণ। তিনি উচ্চারণ করেন মহাবাণী, উত্পন্ন দ্রব্য মাত্রেরই বিনাশ অবশ্যম্ভাবী, অপ্রমত্ত হয়ে কর্তব্য সম্পাদন কর। বৈশাখী পূর্ণিমাতেই ৮০ বছর বয়সে বুদ্ধ লাভ করেন মহাপরিনির্বাণ। বুদ্ধের মূলমন্ত্র ‘সব্বে সত্তা সুখিতা ভবন্তু/জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’। বুদ্ধ বলেছেন, জগতে কর্মই সব। মানুষ তার কর্ম অনুসারে ফল ভোগ করবে। ভাল কাজ করলে ভাল ফল এবং খারাপ কাজের জন্য খারাপ ফল পাবে। কর্মানুসারে মানুষ অল্প আয়ু, দীর্ঘ আয়ু, জটিল ব্যাধিগ্রস্ত, নীরোগ, বিশ্রী সুশ্রী, সুখী-দুঃখী, উঁচু-নিচু, জ্ঞান-মূর্খতা ইত্যাদি প্রাপ্ত হয়। মানুষ কর্মের অধীন।
সারাবিশ্বের বুদ্ধ অনুসারী ভক্তরা আজ বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভক্তিতে পালন করবে দিনটি। বাংলাদেশের বৌদ্ধ সমপ্রদায় যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে উদযাপন করবে পবিত্র দিবসটি। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এ উপলক্ষে দেশের বৌদ্ধ সমপ্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন। আজ সরকারি ছুটি।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ, বুড্ডিস্ট ফেডারেশন, বুড্ডিস্ট ইয়ুথ ফোরাম, বুড্ডিস্ট কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন প্রভৃতি সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করবে। এর মধ্যে রয়েছে প্রভাত ফেরি, বুদ্ধ পূজা, শোভাযাত্রা, সেমিনার, প্রদীপ প্রজ্বলন এবং সমবেত প্রার্থনা।
জেপি’র শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে জেপি নেতৃদ্বয় বলেন, মহামতি গৌতম বৌদ্ধ পৃথিবীতে সকল জনগণের জন্য অহিংসার মহান বাণী প্রচার করে গেছেন, শান্তি ও সৌহার্দ্যের এবং সকল জীবে ভালোবাসা ছিল তার আদর্শের মূলমন্ত্র, আজকে এই সংঘাতপূর্ণ বিশ্বে তার বাণী সৌহার্দ্য স্থাপন করতে পারে। কারণ তার শিক্ষার মূল মন্ত্র ছিল জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।
No comments:
Post a Comment